-
- EXPLORE
-
-
Actualizaciones Recientes
-
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর নয়। দেশটির অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোর থেকেও অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির একটি অনলাইন প্রতিবেদন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের অচলাবস্থামার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ঢোকার চেষ্টা করলে একটি বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানেজনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর নয়। দেশটির অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোর থেকেও অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির একটি অনলাইন প্রতিবেদন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের অচলাবস্থামার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ঢোকার চেষ্টা করলে একটি বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানেEYENEWSBD.COMযুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ টিকটক: চমকপ্রদ কারণ ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা - Eye News BDজনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর নয়। দেশটির অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোর থেকেও অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির একটি অনলাইন প্রতিবেদন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের অচলাবস্থামার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ঢোকার চেষ্টা করলে একটি বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে লে0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 0 Vista previaPlease log in to like, share and comment!
-
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড বEYENEWSBD.COMবছরের শুরুতেই চমক: বুবলীর নতুন পরিচয় ‘পিনিকে’! - Eye News BDঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 0 Vista previa -
ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি জিওকয়েন লঞ্চ করেছে, যা পলিগন ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এ উদ্যোগকে দেশের ক্রিপ্টো অর্থনীতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।জিও, যাদের বর্তমানে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করেছে। জিও স্পেস ব্রাউজার নামে তাদের একটি ওয়েব ৩-ভিত্তিক ব্রাউজারও চালু হ
ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি জিওকয়েন লঞ্চ করেছে, যা পলিগন ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এ উদ্যোগকে দেশের ক্রিপ্টো অর্থনীতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।জিও, যাদের বর্তমানে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করেছে। জিও স্পেস ব্রাউজার নামে তাদের একটি ওয়েব ৩-ভিত্তিক ব্রাউজারও চালু হEYENEWSBD.COMজিওকয়েন পলিগনে লঞ্চ: ভারতে ক্রিপ্টোর জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ - Eye News BDভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি জিওকয়েন লঞ্চ করেছে, যা পলিগন ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এ উদ্যোগকে দেশের ক্রিপ্টো অর্থনীতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।জিও, যাদের বর্তমানে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করেছে। জিও স্পেস ব্রাউজার নামে তাদের একটি ওয়েব ৩-ভিত্তিক ব্রাউজারও চালু হ0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 0 Vista previa -
0 Commentarios 0 Acciones 744 Views 0 Vista previa
-
বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করতে হবে। সমস্যা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করতে হবে। সমস্যা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 0 Vista previa -
বাণিজ্য বৈষম্য দূর করুন
বাংলাদেশের পণ্যের উপর শুল্ক ও অশুল্ক বাধা সৃষ্টি করে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবেন না। ন্যায্য বাজার সুবিধা নিশ্চিত করুন।বাণিজ্য বৈষম্য দূর করুন বাংলাদেশের পণ্যের উপর শুল্ক ও অশুল্ক বাধা সৃষ্টি করে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবেন না। ন্যায্য বাজার সুবিধা নিশ্চিত করুন।0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 0 Vista previa -
পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করুন
তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জনগণের অধিকার।পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করুন তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জনগণের অধিকার।0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 0 Vista previa -
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করুন।অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করুন।0 Commentarios 0 Acciones 832 Views 0 Vista previa -
0 Commentarios 0 Acciones 259 Views 0 Vista previa
-
বিএনপির ৩১ দফা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল। এই একত্রিশ দফায় তারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল, যা অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব বোঝানোর ক্ষেত্রে বিএনপি কেন ব্যর্থ হয়েছে?
প্রথমত, ৩১ দফার মূল দিকগুলো জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো হয়নি। বিএনপির নেতারা, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব, দলের ইতিহাস এবং এর ভালো দিকগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, জাতির জন্য যে সব ভালো কাজ করা হয়েছে, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোর কথা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য কাজ করা, তবে জনগণের মধ্যে এই পরিকল্পনাগুলোর সম্পর্কে তথ্য ছড়ানোতে তারা সফল হয়নি।
দ্বিতীয়ত, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ দলের ইতিহাস এবং এর নীতি নিয়ে সচেতন নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দলটির অনেক নেতা হয়তো দলের ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, বা তারা একে সাধারণ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি। দলটির ইতিহাসে যে সব সফলতা ও উন্নতি রয়েছে, সেগুলো জনগণের মধ্যে তুলে ধরলে দলটি আরো জনপ্রিয় হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিএনপি সেই প্রচেষ্টা করতে পারেনি, যার ফলে তারা সাধারণ জনগণের সমর্থন পেতে পারেনি।
তৃতীয়ত, ৩১ দফার পেছনে বিএনপির উদ্দীপনা এবং রাজনৈতিক চিন্তা যথেষ্ট ইতিবাচক হলেও তা প্রকাশে এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরার ক্ষেত্রে দলটি ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য এই দফাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না, এবং জনগণের মধ্যে এ সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে ওঠেনি।
তবে, ৩১ দফার মধ্যে যে উদ্দেশ্য ছিল তা একটি বড় রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ছিল। বিএনপিকে এর জন্য প্রশংসা করতে হবে, তবে তাদের উপরও কিছু দায়িত্ব বর্তায়। যদি তারা দলটির ইতিহাস, নীতি ও মূল্যবোধের প্রতি অবহেলা না করে, এবং রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারত, তবে তাদের ৩১ দফার পরিকল্পনা আরও সফল হতে পারতো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে তাদের ভুলগুলো কীভাবে ঠিক করতে হবে? প্রথমে, তাদের উচিত দলের ইতিহাস ও নীতির প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য ও জ্ঞান থাকা উচিত, যাতে তারা দলের উন্নতি এবং জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিএনপির উচিত জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করা, বিশেষ করে দলের মূল পরিকল্পনা ও ৩১ দফার লক্ষ্যসমূহ নিয়ে কার্যকরী প্রচারণা চালানো।
বিএনপির জন্য পরামর্শ হলো, তারা যদি তাদের দলের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে পারে, নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করতে পারে এবং জনগণের স্বার্থে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে, তবে দলটি আবার জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক শক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন
লেখক ও সাংবাদিকবিএনপির ৩১ দফা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল। এই একত্রিশ দফায় তারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল, যা অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব বোঝানোর ক্ষেত্রে বিএনপি কেন ব্যর্থ হয়েছে? প্রথমত, ৩১ দফার মূল দিকগুলো জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো হয়নি। বিএনপির নেতারা, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব, দলের ইতিহাস এবং এর ভালো দিকগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, জাতির জন্য যে সব ভালো কাজ করা হয়েছে, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোর কথা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য কাজ করা, তবে জনগণের মধ্যে এই পরিকল্পনাগুলোর সম্পর্কে তথ্য ছড়ানোতে তারা সফল হয়নি। দ্বিতীয়ত, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ দলের ইতিহাস এবং এর নীতি নিয়ে সচেতন নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দলটির অনেক নেতা হয়তো দলের ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, বা তারা একে সাধারণ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি। দলটির ইতিহাসে যে সব সফলতা ও উন্নতি রয়েছে, সেগুলো জনগণের মধ্যে তুলে ধরলে দলটি আরো জনপ্রিয় হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিএনপি সেই প্রচেষ্টা করতে পারেনি, যার ফলে তারা সাধারণ জনগণের সমর্থন পেতে পারেনি। তৃতীয়ত, ৩১ দফার পেছনে বিএনপির উদ্দীপনা এবং রাজনৈতিক চিন্তা যথেষ্ট ইতিবাচক হলেও তা প্রকাশে এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরার ক্ষেত্রে দলটি ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য এই দফাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না, এবং জনগণের মধ্যে এ সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তবে, ৩১ দফার মধ্যে যে উদ্দেশ্য ছিল তা একটি বড় রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ছিল। বিএনপিকে এর জন্য প্রশংসা করতে হবে, তবে তাদের উপরও কিছু দায়িত্ব বর্তায়। যদি তারা দলটির ইতিহাস, নীতি ও মূল্যবোধের প্রতি অবহেলা না করে, এবং রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারত, তবে তাদের ৩১ দফার পরিকল্পনা আরও সফল হতে পারতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে তাদের ভুলগুলো কীভাবে ঠিক করতে হবে? প্রথমে, তাদের উচিত দলের ইতিহাস ও নীতির প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য ও জ্ঞান থাকা উচিত, যাতে তারা দলের উন্নতি এবং জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিএনপির উচিত জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করা, বিশেষ করে দলের মূল পরিকল্পনা ও ৩১ দফার লক্ষ্যসমূহ নিয়ে কার্যকরী প্রচারণা চালানো। বিএনপির জন্য পরামর্শ হলো, তারা যদি তাদের দলের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে পারে, নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করতে পারে এবং জনগণের স্বার্থে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে, তবে দলটি আবার জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক শক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক0 Commentarios 0 Acciones 2K Views 0 Vista previa -
বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের নাক গলানো কতটা যৌক্তিক?
ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়ে মন্তব্য করে আসছে। প্রায়ই তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংখ্যালঘু বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। অন্যদিকে, ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের খবর বারবার আন্তর্জাতিক সংবাদে উঠে আসে। এতে প্রশ্ন ওঠে—নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের নাক গলানো কতটা যৌক্তিক?
ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এটি কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার ইস্যু, কখনো মন্দির ভাঙা কিংবা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। অথচ ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রায়শই গণপিটুনি, ধর্মান্তর চাপ, কিংবা শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে দেখা যায়। মুসলিমদের এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতের এহেন আচরণ দ্বৈত নীতির উদাহরণ।
এই প্রবণতা কয়েক দশক ধরেই চলে আসছে। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং এর পর থেকে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিষয়ে কথিত ‘অভিভাবকত্বের’ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের ভেতরে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর এলেই ভারত এ নিয়ে কড়া বক্তব্য দিতে থাকে। তবে এর বিপরীতে, ভারতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাড়লেও বিষয়টি প্রায়শই অগ্রাহ্য করা হয়।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই কূটনৈতিক টানাপোড়েন মূলত দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে। তবে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি দুদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আলোচনার কেন্দ্রে।
ভারতের এহেন নাক গলানোর পেছনে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
১. রাজনৈতিক: সংখ্যালঘু ইস্যু সামনে এনে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলে চাপের মুখে ফেলতে চায়।
২. কূটনৈতিক: নিজেদের ‘বড় ভাই’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. অভ্যন্তরীণ মনোভাব: নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যে সমস্যা, তা ঢাকতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে সামনে আনে।
ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে একতরফা বিবৃতি দেয়, যা প্রায়শই বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নিয়ে তাদের মন্তব্য, ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এদিকে, ভারত নিজ দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে কৌশলগত নীরবতা পালন করে।
ভারতের দ্বৈতনীতি
ভারতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের সময় এই সমস্যা নতুন মাত্রা পেয়েছে। মুসলিমদের খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, ধর্মীয় স্থাপনা, এমনকি নাম নিয়েও আক্রমণ চালানো হয়। একদিকে মুসলিমদের উপর এই চাপ অন্যদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অভিভাবকত্বের ভূমিকা, দ্বিমুখী নীতির উদাহরণ।
ভারতের উচিত আগে নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তাদের পরিস্থিতি উন্নত করা। তারপরই অন্য দেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানোর নৈতিক অধিকার অর্জিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার এ ধরনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মেনে নিতে নারাজ, এবং এটি আঞ্চলিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিকবাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের নাক গলানো কতটা যৌক্তিক? ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়ে মন্তব্য করে আসছে। প্রায়ই তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংখ্যালঘু বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। অন্যদিকে, ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের খবর বারবার আন্তর্জাতিক সংবাদে উঠে আসে। এতে প্রশ্ন ওঠে—নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের নাক গলানো কতটা যৌক্তিক? ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এটি কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার ইস্যু, কখনো মন্দির ভাঙা কিংবা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। অথচ ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রায়শই গণপিটুনি, ধর্মান্তর চাপ, কিংবা শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে দেখা যায়। মুসলিমদের এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতের এহেন আচরণ দ্বৈত নীতির উদাহরণ। এই প্রবণতা কয়েক দশক ধরেই চলে আসছে। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং এর পর থেকে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিষয়ে কথিত ‘অভিভাবকত্বের’ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের ভেতরে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর এলেই ভারত এ নিয়ে কড়া বক্তব্য দিতে থাকে। তবে এর বিপরীতে, ভারতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাড়লেও বিষয়টি প্রায়শই অগ্রাহ্য করা হয়। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই কূটনৈতিক টানাপোড়েন মূলত দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে। তবে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি দুদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আলোচনার কেন্দ্রে। ভারতের এহেন নাক গলানোর পেছনে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ১. রাজনৈতিক: সংখ্যালঘু ইস্যু সামনে এনে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলে চাপের মুখে ফেলতে চায়। ২. কূটনৈতিক: নিজেদের ‘বড় ভাই’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ৩. অভ্যন্তরীণ মনোভাব: নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যে সমস্যা, তা ঢাকতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে সামনে আনে। ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে একতরফা বিবৃতি দেয়, যা প্রায়শই বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নিয়ে তাদের মন্তব্য, ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এদিকে, ভারত নিজ দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে কৌশলগত নীরবতা পালন করে। ভারতের দ্বৈতনীতি ভারতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের সময় এই সমস্যা নতুন মাত্রা পেয়েছে। মুসলিমদের খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, ধর্মীয় স্থাপনা, এমনকি নাম নিয়েও আক্রমণ চালানো হয়। একদিকে মুসলিমদের উপর এই চাপ অন্যদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অভিভাবকত্বের ভূমিকা, দ্বিমুখী নীতির উদাহরণ। ভারতের উচিত আগে নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তাদের পরিস্থিতি উন্নত করা। তারপরই অন্য দেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানোর নৈতিক অধিকার অর্জিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার এ ধরনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মেনে নিতে নারাজ, এবং এটি আঞ্চলিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিক0 Commentarios 0 Acciones 2K Views 0 Vista previa -
দরিদ্র পরিবার কেন বেশিরভাগ সময় দরিদ্রই থেকে যায়?
আজকের আধুনিক সমাজে অর্থনৈতিক অসমতা একটি দীর্ঘকালীন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, দরিদ্র পরিবারগুলি প্রায়শই তাদের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা একই অবস্থায় বছরের পর বছর থেকে যায়। তবে এর পেছনে একাধিক সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, যা এই দরিদ্রতার চক্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
১. শিক্ষার অভাব এবং দক্ষতার স্বল্পতা
দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো শিক্ষার অভাব। যেসব পরিবারে অর্থনৈতিক চাপ বেশি, সেখানে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে তারা অনেক সময় সক্ষম হয় না। এর ফলে, পরিবারের সদস্যরা ভালো শিক্ষা লাভ করতে পারে না, যার ফলে তারা দক্ষতা অর্জনেও ব্যর্থ হয়। দক্ষতার অভাব তাদেরকে ভালো চাকরি বা ব্যবসায়িক সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখে, যা তাদের আর্থিক অবস্থাকে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
২. স্বাস্থ্য খরচ এবং চিকিৎসার অভাব
দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোও মারাত্মক হয়ে ওঠে। যথাযথ চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবে একাধিক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া এবং তারপরে চিকিৎসার জন্য খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এই স্বাস্থ্য সমস্যা তাদের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং অনেক সময় চিরকালীন আর্থিক অসচ্ছলতা সৃষ্টি করে।
৩. অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব
দরিদ্র পরিবারগুলোতে কোনো প্রকার অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব দেখা দেয়। তাদের কাছে সাধারণত ভালো কাজের সুযোগ, উচ্চ আয় বা নতুন উদ্যোগের সুযোগ থাকে না। এমনকি যদি তারা কোনো ছোট ব্যবসা শুরু করে, তবে তাদের জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগের অভাব এবং ক্ষুদ্র ঋণের প্রতি সীমাবদ্ধতা তাদের ব্যবসার সাফল্য নিশ্চিত করতে বাধা দেয়। ফলে, তারা একাধারে গরিব অবস্থায় থেকেই যায়।
৪. সামাজিক বাধা এবং বৈষম্য
অনেক সময় দরিদ্র পরিবারগুলোর সামাজিক অবস্থান তাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জাতিগত, ধর্মীয় বা শ্রেণীগত বৈষম্যের কারণে তাদের কর্মক্ষেত্রে সঠিক সুযোগ এবং সম্মান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও, তারা যেসব অঞ্চলে বাস করে, সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
৫. ঋণের ফাঁদ
একটি দরিদ্র পরিবার যখন আর্থিক সংকটে পড়ে, তখন তারা অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে সংসারের বোঝা বইতে চায়। তবে, এই ঋণের উচ্চ সুদ এবং অনুকূল শর্তের অভাব তাদের আরো বেশি সংকটে ফেলে। একবার ঋণের ফাঁদে পড়লে, তারা কখনও ঋণ শোধ করতে সক্ষম হয় না, যার ফলে তারা দিন দিন আরও দরিদ্র হয়ে পড়ে।
৬. অপরিকল্পিত পরিবার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা
দরিদ্র পরিবারগুলিতে প্রায়শই পরিকল্পিত পরিবারবিন্যাসের অভাব থাকে, যার ফলে অধিক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এই পরিবারগুলিতে সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষাদান, স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পরিবারের আয়ের ওপর চাপ পড়ে, যা তাদের জীবনযাত্রাকে আরো কঠিন করে তোলে।
৭. রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবহেলা
দরিদ্র অঞ্চলে প্রাপ্তিসাধ্য সুবিধা বা সরকারি সাহায্য যথাযথভাবে পৌঁছানোও একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো দুর্নীতির কারণে ঠিকমতো দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছায় না, বা তারা সেগুলো ব্যবহার করতে জানে না। এ কারণে দরিদ্র পরিবারগুলির উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং তারা একই অবস্থায় পড়ে থাকে।
৮. মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবন্ধকতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব
দরিদ্রতার ফলে অনেক মানুষ মানসিকভাবে নিঃশেষিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে যে, তাদের পক্ষে কখনো উন্নতি সম্ভব নয়, এবং এই হতাশা তাদের উদ্যমকে বাধাগ্রস্ত করে। সন্তানদের জন্য দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা কমে যায়, যার ফলে তারা নিজেরাই একই চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
৯. আন্তর্জাতিক পরিবেশের প্রভাব
বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনেক সময় দরিদ্র পরিবারের অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। বৈশ্বিক বাজারে সংকট, মূল্যস্ফীতি, অথবা আন্তর্জাতিক সাহায্যের কমতি দরিদ্র পরিবারের জন্য আরো বড় বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের দারিদ্র্য দূরীকরণে বাধা সৃষ্টি করে।
দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য একদিনে বা একেবারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দূর করা সম্ভব নয়। এটি একটি বহুস্তরিক সমস্যা, যেখানে শিক্ষার অভাব, সামাজিক বৈষম্য, ঋণের ফাঁদ, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব, স্বাস্থ্য খরচ এবং সরকারি সাহায্যের অভাব একত্রিতভাবে কাজ করে। দরিদ্রতার চক্র থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এবং সামাজিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রয়োজন।
এটি একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের বিষয়, যেখানে রাষ্ট্র এবং জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় দরিদ্রতা মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে, যতক্ষণ না এই প্রতিবন্ধকতাগুলো সমাধান হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারবে না।
আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিকদরিদ্র পরিবার কেন বেশিরভাগ সময় দরিদ্রই থেকে যায়? আজকের আধুনিক সমাজে অর্থনৈতিক অসমতা একটি দীর্ঘকালীন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, দরিদ্র পরিবারগুলি প্রায়শই তাদের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা একই অবস্থায় বছরের পর বছর থেকে যায়। তবে এর পেছনে একাধিক সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, যা এই দরিদ্রতার চক্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। ১. শিক্ষার অভাব এবং দক্ষতার স্বল্পতা দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো শিক্ষার অভাব। যেসব পরিবারে অর্থনৈতিক চাপ বেশি, সেখানে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে তারা অনেক সময় সক্ষম হয় না। এর ফলে, পরিবারের সদস্যরা ভালো শিক্ষা লাভ করতে পারে না, যার ফলে তারা দক্ষতা অর্জনেও ব্যর্থ হয়। দক্ষতার অভাব তাদেরকে ভালো চাকরি বা ব্যবসায়িক সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখে, যা তাদের আর্থিক অবস্থাকে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। ২. স্বাস্থ্য খরচ এবং চিকিৎসার অভাব দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোও মারাত্মক হয়ে ওঠে। যথাযথ চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবে একাধিক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া এবং তারপরে চিকিৎসার জন্য খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এই স্বাস্থ্য সমস্যা তাদের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং অনেক সময় চিরকালীন আর্থিক অসচ্ছলতা সৃষ্টি করে। ৩. অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব দরিদ্র পরিবারগুলোতে কোনো প্রকার অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব দেখা দেয়। তাদের কাছে সাধারণত ভালো কাজের সুযোগ, উচ্চ আয় বা নতুন উদ্যোগের সুযোগ থাকে না। এমনকি যদি তারা কোনো ছোট ব্যবসা শুরু করে, তবে তাদের জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগের অভাব এবং ক্ষুদ্র ঋণের প্রতি সীমাবদ্ধতা তাদের ব্যবসার সাফল্য নিশ্চিত করতে বাধা দেয়। ফলে, তারা একাধারে গরিব অবস্থায় থেকেই যায়। ৪. সামাজিক বাধা এবং বৈষম্য অনেক সময় দরিদ্র পরিবারগুলোর সামাজিক অবস্থান তাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জাতিগত, ধর্মীয় বা শ্রেণীগত বৈষম্যের কারণে তাদের কর্মক্ষেত্রে সঠিক সুযোগ এবং সম্মান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও, তারা যেসব অঞ্চলে বাস করে, সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ৫. ঋণের ফাঁদ একটি দরিদ্র পরিবার যখন আর্থিক সংকটে পড়ে, তখন তারা অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে সংসারের বোঝা বইতে চায়। তবে, এই ঋণের উচ্চ সুদ এবং অনুকূল শর্তের অভাব তাদের আরো বেশি সংকটে ফেলে। একবার ঋণের ফাঁদে পড়লে, তারা কখনও ঋণ শোধ করতে সক্ষম হয় না, যার ফলে তারা দিন দিন আরও দরিদ্র হয়ে পড়ে। ৬. অপরিকল্পিত পরিবার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা দরিদ্র পরিবারগুলিতে প্রায়শই পরিকল্পিত পরিবারবিন্যাসের অভাব থাকে, যার ফলে অধিক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এই পরিবারগুলিতে সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষাদান, স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পরিবারের আয়ের ওপর চাপ পড়ে, যা তাদের জীবনযাত্রাকে আরো কঠিন করে তোলে। ৭. রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবহেলা দরিদ্র অঞ্চলে প্রাপ্তিসাধ্য সুবিধা বা সরকারি সাহায্য যথাযথভাবে পৌঁছানোও একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো দুর্নীতির কারণে ঠিকমতো দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছায় না, বা তারা সেগুলো ব্যবহার করতে জানে না। এ কারণে দরিদ্র পরিবারগুলির উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং তারা একই অবস্থায় পড়ে থাকে। ৮. মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবন্ধকতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব দরিদ্রতার ফলে অনেক মানুষ মানসিকভাবে নিঃশেষিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে যে, তাদের পক্ষে কখনো উন্নতি সম্ভব নয়, এবং এই হতাশা তাদের উদ্যমকে বাধাগ্রস্ত করে। সন্তানদের জন্য দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা কমে যায়, যার ফলে তারা নিজেরাই একই চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ৯. আন্তর্জাতিক পরিবেশের প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনেক সময় দরিদ্র পরিবারের অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। বৈশ্বিক বাজারে সংকট, মূল্যস্ফীতি, অথবা আন্তর্জাতিক সাহায্যের কমতি দরিদ্র পরিবারের জন্য আরো বড় বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের দারিদ্র্য দূরীকরণে বাধা সৃষ্টি করে। দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য একদিনে বা একেবারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দূর করা সম্ভব নয়। এটি একটি বহুস্তরিক সমস্যা, যেখানে শিক্ষার অভাব, সামাজিক বৈষম্য, ঋণের ফাঁদ, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব, স্বাস্থ্য খরচ এবং সরকারি সাহায্যের অভাব একত্রিতভাবে কাজ করে। দরিদ্রতার চক্র থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এবং সামাজিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রয়োজন। এটি একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের বিষয়, যেখানে রাষ্ট্র এবং জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় দরিদ্রতা মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে, যতক্ষণ না এই প্রতিবন্ধকতাগুলো সমাধান হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারবে না। আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিক0 Commentarios 0 Acciones 2K Views 0 Vista previa
Quizás te interese…