• বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের
    বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা তাদের অবস্থান বজায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

    বুধবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

    জাপানের তিন স্তম্ভের প্রতিশ্রুতি
    রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।

    তিনি আরও বলেন, “এই তিন স্তম্ভ ধরে আমরা সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাব।”

    সংস্কার কার্যক্রমে জাপানের সমর্থন
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

    বিনিয়োগে আগ্রহ
    অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের অবস্থানকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকার যেসব সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করছে।”

    রাষ্ট্রদূত জানান, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরও কোনো জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশ ত্যাগ করেনি, বরং তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।”

    রোহিঙ্গা সংকট ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন
    রোহিঙ্গা ইস্যুতে অধ্যাপক ইউনূসের উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান এ বিষয়ে বাংলাদেশকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে।

    অধ্যাপক ইউনূস রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান, যা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িক পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

    উচ্চ পর্যায়ের আমন্ত্রণ
    রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান, যেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও বক্তব্য রাখবেন। তিনি বলেন, “এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ আলোচনা চালানোর বড় একটি সুযোগ।”

    উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক সবসময়ই শক্তিশালী ছিল, এবং এটি ভবিষ্যতেও থাকবে।”

    উপস্থিতি
    সাক্ষাৎকালে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ ও জাপানের এই সম্পর্ক কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক শক্তিশালী মৈত্রী হিসেবে বিবেচিত হবে।
    বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা তাদের অবস্থান বজায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বুধবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। জাপানের তিন স্তম্ভের প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, “এই তিন স্তম্ভ ধরে আমরা সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাব।” সংস্কার কার্যক্রমে জাপানের সমর্থন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বিনিয়োগে আগ্রহ অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের অবস্থানকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকার যেসব সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করছে।” রাষ্ট্রদূত জানান, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরও কোনো জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশ ত্যাগ করেনি, বরং তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।” রোহিঙ্গা সংকট ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন রোহিঙ্গা ইস্যুতে অধ্যাপক ইউনূসের উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান এ বিষয়ে বাংলাদেশকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে। অধ্যাপক ইউনূস রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান, যা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িক পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। উচ্চ পর্যায়ের আমন্ত্রণ রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান, যেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও বক্তব্য রাখবেন। তিনি বলেন, “এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ আলোচনা চালানোর বড় একটি সুযোগ।” উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক সবসময়ই শক্তিশালী ছিল, এবং এটি ভবিষ্যতেও থাকবে।” উপস্থিতি সাক্ষাৎকালে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ও জাপানের এই সম্পর্ক কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক শক্তিশালী মৈত্রী হিসেবে বিবেচিত হবে।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 946 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ভারত থেকে প্রিন্ট হয়ে আসছে মেট্রোরেলের নতুন টিকিট
    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেলের টিকিট সংকট মোকাবিলায় চার লাখ নতুন একক যাত্রার টিকিট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এই টিকিটগুলোর মূল সরবরাহকারী জাপান হলেও প্রিন্টিংয়ের কাজটি ভারত থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রথম চালানে ২০ হাজার নতুন টিকিট দেশে পৌঁছাবে।

    টিকিট সংকট ও সমাধান
    বর্তমানে মেট্রোরেলে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিট প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে ৪০ হাজার টিকিট বিদ্যমান, যার ফলে সংকট দেখা দিয়েছে। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, "মানুষজন অনেক কার্ড নিয়ে গেছে। কিছু টেকনিক্যাল কারণে নষ্ট হয়েছে এবং কিছু গ্রাহকরা হারিয়েছে।"

    নতুন চালানের প্রথম অংশ, ২০ হাজার টিকিট, ১৬ ডিসেম্বর ভারত থেকে পাঠানো হবে। এরা ট্রেনে এসে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে।

    নতুন টিকিটের বৈশিষ্ট্য
    ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, নতুন টিকিটের ডিজাইন আগের মতোই থাকবে। তবে রঙের কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। একক যাত্রার টিকিটের রং লাল করা হয়েছে, যাতে সহজে চেনা যায়।

    মেট্রোরেলের টিকিটের ধরন
    মেট্রোরেলে দুটি ধরনের টিকিট ব্যবহৃত হয়:

    এমআরটি পাস বা র‍্যাপিড পাস: এটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারযোগ্য, এবং যাত্রীরা নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে পারেন।
    একক যাত্রার টিকিট: স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কেনা যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছে স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় টিকিট ফেরত দিতে হয়।
    টিকিট সরবরাহ ও প্রক্রিয়া
    টিকিটগুলো জাপান, থাইল্যান্ড এবং ভারত যৌথভাবে সরবরাহ করে। তবে কার্ড প্রিন্টিংয়ের কাজটি ভারত থেকে সম্পন্ন হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আবদুর রউফ বলেন, "ট্রেনে আনার কারণে সময় লাগছে। তবে আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই আমরা সেগুলো হাতে পাব।"

    ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
    টিকিট সংকট নিরসনে ডিএমটিসিএল ধাপে ধাপে নতুন টিকিট সরবরাহের মাধ্যমে যাত্রীসেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

    এই উদ্যোগ মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় আরও গতি আনবে এবং যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    ভারত থেকে প্রিন্ট হয়ে আসছে মেট্রোরেলের নতুন টিকিট ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেলের টিকিট সংকট মোকাবিলায় চার লাখ নতুন একক যাত্রার টিকিট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এই টিকিটগুলোর মূল সরবরাহকারী জাপান হলেও প্রিন্টিংয়ের কাজটি ভারত থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রথম চালানে ২০ হাজার নতুন টিকিট দেশে পৌঁছাবে। টিকিট সংকট ও সমাধান বর্তমানে মেট্রোরেলে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিট প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে ৪০ হাজার টিকিট বিদ্যমান, যার ফলে সংকট দেখা দিয়েছে। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, "মানুষজন অনেক কার্ড নিয়ে গেছে। কিছু টেকনিক্যাল কারণে নষ্ট হয়েছে এবং কিছু গ্রাহকরা হারিয়েছে।" নতুন চালানের প্রথম অংশ, ২০ হাজার টিকিট, ১৬ ডিসেম্বর ভারত থেকে পাঠানো হবে। এরা ট্রেনে এসে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। নতুন টিকিটের বৈশিষ্ট্য ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, নতুন টিকিটের ডিজাইন আগের মতোই থাকবে। তবে রঙের কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। একক যাত্রার টিকিটের রং লাল করা হয়েছে, যাতে সহজে চেনা যায়। মেট্রোরেলের টিকিটের ধরন মেট্রোরেলে দুটি ধরনের টিকিট ব্যবহৃত হয়: এমআরটি পাস বা র‍্যাপিড পাস: এটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারযোগ্য, এবং যাত্রীরা নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে পারেন। একক যাত্রার টিকিট: স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কেনা যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছে স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় টিকিট ফেরত দিতে হয়। টিকিট সরবরাহ ও প্রক্রিয়া টিকিটগুলো জাপান, থাইল্যান্ড এবং ভারত যৌথভাবে সরবরাহ করে। তবে কার্ড প্রিন্টিংয়ের কাজটি ভারত থেকে সম্পন্ন হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আবদুর রউফ বলেন, "ট্রেনে আনার কারণে সময় লাগছে। তবে আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই আমরা সেগুলো হাতে পাব।" ভবিষ্যতের পরিকল্পনা টিকিট সংকট নিরসনে ডিএমটিসিএল ধাপে ধাপে নতুন টিকিট সরবরাহের মাধ্যমে যাত্রীসেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। এই উদ্যোগ মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় আরও গতি আনবে এবং যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 171 Views 0 Προεπισκόπηση
  • বিএনপির ৩১ দফা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল। এই একত্রিশ দফায় তারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল, যা অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব বোঝানোর ক্ষেত্রে বিএনপি কেন ব্যর্থ হয়েছে?

    প্রথমত, ৩১ দফার মূল দিকগুলো জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো হয়নি। বিএনপির নেতারা, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব, দলের ইতিহাস এবং এর ভালো দিকগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, জাতির জন্য যে সব ভালো কাজ করা হয়েছে, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোর কথা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য কাজ করা, তবে জনগণের মধ্যে এই পরিকল্পনাগুলোর সম্পর্কে তথ্য ছড়ানোতে তারা সফল হয়নি।

    দ্বিতীয়ত, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ দলের ইতিহাস এবং এর নীতি নিয়ে সচেতন নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দলটির অনেক নেতা হয়তো দলের ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, বা তারা একে সাধারণ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি। দলটির ইতিহাসে যে সব সফলতা ও উন্নতি রয়েছে, সেগুলো জনগণের মধ্যে তুলে ধরলে দলটি আরো জনপ্রিয় হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিএনপি সেই প্রচেষ্টা করতে পারেনি, যার ফলে তারা সাধারণ জনগণের সমর্থন পেতে পারেনি।

    তৃতীয়ত, ৩১ দফার পেছনে বিএনপির উদ্দীপনা এবং রাজনৈতিক চিন্তা যথেষ্ট ইতিবাচক হলেও তা প্রকাশে এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরার ক্ষেত্রে দলটি ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য এই দফাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না, এবং জনগণের মধ্যে এ সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে ওঠেনি।
    তবে, ৩১ দফার মধ্যে যে উদ্দেশ্য ছিল তা একটি বড় রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ছিল। বিএনপিকে এর জন্য প্রশংসা করতে হবে, তবে তাদের উপরও কিছু দায়িত্ব বর্তায়। যদি তারা দলটির ইতিহাস, নীতি ও মূল্যবোধের প্রতি অবহেলা না করে, এবং রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারত, তবে তাদের ৩১ দফার পরিকল্পনা আরও সফল হতে পারতো।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে তাদের ভুলগুলো কীভাবে ঠিক করতে হবে? প্রথমে, তাদের উচিত দলের ইতিহাস ও নীতির প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য ও জ্ঞান থাকা উচিত, যাতে তারা দলের উন্নতি এবং জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিএনপির উচিত জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করা, বিশেষ করে দলের মূল পরিকল্পনা ও ৩১ দফার লক্ষ্যসমূহ নিয়ে কার্যকরী প্রচারণা চালানো।

    বিএনপির জন্য পরামর্শ হলো, তারা যদি তাদের দলের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে পারে, নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করতে পারে এবং জনগণের স্বার্থে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে, তবে দলটি আবার জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক শক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

    আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    বিএনপির ৩১ দফা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল। এই একত্রিশ দফায় তারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল, যা অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব বোঝানোর ক্ষেত্রে বিএনপি কেন ব্যর্থ হয়েছে? প্রথমত, ৩১ দফার মূল দিকগুলো জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো হয়নি। বিএনপির নেতারা, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব, দলের ইতিহাস এবং এর ভালো দিকগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, জাতির জন্য যে সব ভালো কাজ করা হয়েছে, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোর কথা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য কাজ করা, তবে জনগণের মধ্যে এই পরিকল্পনাগুলোর সম্পর্কে তথ্য ছড়ানোতে তারা সফল হয়নি। দ্বিতীয়ত, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ দলের ইতিহাস এবং এর নীতি নিয়ে সচেতন নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দলটির অনেক নেতা হয়তো দলের ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না, বা তারা একে সাধারণ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি। দলটির ইতিহাসে যে সব সফলতা ও উন্নতি রয়েছে, সেগুলো জনগণের মধ্যে তুলে ধরলে দলটি আরো জনপ্রিয় হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিএনপি সেই প্রচেষ্টা করতে পারেনি, যার ফলে তারা সাধারণ জনগণের সমর্থন পেতে পারেনি। তৃতীয়ত, ৩১ দফার পেছনে বিএনপির উদ্দীপনা এবং রাজনৈতিক চিন্তা যথেষ্ট ইতিবাচক হলেও তা প্রকাশে এবং জনগণের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরার ক্ষেত্রে দলটি ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য এই দফাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না, এবং জনগণের মধ্যে এ সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তবে, ৩১ দফার মধ্যে যে উদ্দেশ্য ছিল তা একটি বড় রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ছিল। বিএনপিকে এর জন্য প্রশংসা করতে হবে, তবে তাদের উপরও কিছু দায়িত্ব বর্তায়। যদি তারা দলটির ইতিহাস, নীতি ও মূল্যবোধের প্রতি অবহেলা না করে, এবং রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারত, তবে তাদের ৩১ দফার পরিকল্পনা আরও সফল হতে পারতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে তাদের ভুলগুলো কীভাবে ঠিক করতে হবে? প্রথমে, তাদের উচিত দলের ইতিহাস ও নীতির প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য ও জ্ঞান থাকা উচিত, যাতে তারা দলের উন্নতি এবং জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিএনপির উচিত জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করা, বিশেষ করে দলের মূল পরিকল্পনা ও ৩১ দফার লক্ষ্যসমূহ নিয়ে কার্যকরী প্রচারণা চালানো। বিএনপির জন্য পরামর্শ হলো, তারা যদি তাদের দলের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে পারে, নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করতে পারে এবং জনগণের স্বার্থে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে, তবে দলটি আবার জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক শক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • গুম-খুনে জড়াবে না র‍্যাব: ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তির অঙ্গীকার ডিজির
    গুম-খুনে জড়াবে না র‍্যাব: ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তির অঙ্গীকার ডিজির
    EYENEWSBD.COM
    গুম-খুনে জড়াবে না র‍্যাব: ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তির অঙ্গীকার ডিজির - Eye News BD
    র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজিপি) একেএম শহিদুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ এবং নতুন যুগের সূচনা বলে ধরা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে র‍্যাবের বিরুদ্ধে গুম, খুন, এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান ডিজির ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে এমন কাজে আর না জড়ানোর অঙ্গীকার, র‍্যাবের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করছে।নেতিবাচক ইতিহাসের
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 97 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না মোদি সরকার
    ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না মোদি সরকার
    EYENEWSBD.COM
    ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না মোদি সরকার - Eye News BD
    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেও কূটনৈতিক আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে। দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির বক্তব্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে। মূল বিষয়গুলো: ১. শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান: - ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন যে, ভারতের সরকার শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 129 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা
    আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “জুলাই আগস্ট মাসে গণহত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি জানতেন এবং এসব বাস্তবায়ন করতে সরাসরি তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

    মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “গণহত্যা চলাকালে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে সারা পৃথিবীর থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। তিনি দেশে সংঘটিত গণহত্যার তথ্য প্রকাশে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এতোবড় অপরাধকে বিশ্ব থেকে আড়াল করতে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে তাকে কে-বা কারা নির্দেশ দিয়েছেন বা করা এর সঙ্গে জড়িত, সেটি জানার জন্যও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

    এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

    সেদিন প্রথমবারের মত ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছিলেন পলক। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পলকসহ সেই সাবেক নয় মন্ত্রীকে আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
    ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই আগস্ট মাসে গণহত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি জানতেন এবং এসব বাস্তবায়ন করতে সরাসরি তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “গণহত্যা চলাকালে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে সারা পৃথিবীর থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। তিনি দেশে সংঘটিত গণহত্যার তথ্য প্রকাশে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এতোবড় অপরাধকে বিশ্ব থেকে আড়াল করতে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে তাকে কে-বা কারা নির্দেশ দিয়েছেন বা করা এর সঙ্গে জড়িত, সেটি জানার জন্যও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সেদিন প্রথমবারের মত ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছিলেন পলক। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পলকসহ সেই সাবেক নয় মন্ত্রীকে আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করছে সরকার
    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

    জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়, ​জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করছে সরকার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ​জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 358 Views 0 Προεπισκόπηση
  • হোটেল-রেস্তোরাঁয় ‘স্মোকিং জোন’ বন্ধের দাবি
    প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান

    ধূমপানের ক্ষতি থেকে নারী-শিশুর সুরক্ষায় হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে অবহিত করতে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে আগত নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হয়। একইসঙ্গে সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে স্মোকিং জোন বন্ধ করা জরুরি বলে জানান প্রজ্ঞা ও আত্মা।

    সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

    এ সময় প্রজ্ঞা এবং আত্মা এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসডিজি’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তামাক একটি বাধা। বর্তমানে দেশে ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। বছরে ১ লাখ ৬১,০০০ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। এই পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটিসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিলসহ বেশকিছু প্রস্তাব আইন সংশোধনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    বৈঠকে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শংকর মৈত্র, আত্মা এর আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, মিজান চৌধুরী ও প্রজ্ঞা এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।
    হোটেল-রেস্তোরাঁয় ‘স্মোকিং জোন’ বন্ধের দাবি প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান ধূমপানের ক্ষতি থেকে নারী-শিশুর সুরক্ষায় হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে অবহিত করতে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে আগত নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হয়। একইসঙ্গে সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে স্মোকিং জোন বন্ধ করা জরুরি বলে জানান প্রজ্ঞা ও আত্মা। সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ সময় প্রজ্ঞা এবং আত্মা এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসডিজি’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তামাক একটি বাধা। বর্তমানে দেশে ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। বছরে ১ লাখ ৬১,০০০ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। এই পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটিসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিলসহ বেশকিছু প্রস্তাব আইন সংশোধনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৈঠকে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শংকর মৈত্র, আত্মা এর আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, মিজান চৌধুরী ও প্রজ্ঞা এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • নিঃসঙ্গতা বেড়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানির মানুষের। দেশটির এক তৃতীয়াংশ মানুষ নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্বকে একটি গুরুতর মানসিক চাপ হিসেবে অনুভব করছেন বলে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে।

    দেশটির শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিমা সংস্থা টেকনিকার ক্রাঙ্কেনকাসে (টিকে) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে এই সমস্যা বিশেষভাবে প্রকট। প্রায় ৬০% জার্মান নাগরিক প্রায়ই, মাঝে মাঝে বা খুব কম হলেও নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন বলে জরিপে উঠে এসেছে।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বার্লিনে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়G

    এ বছরের মে মাসে ফোরসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিনিধিত্বমূলক টেলিফোনিক জরিপের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ১, ৪০৩ জন অংশগ্রহণ করেন।

    জরিপে দেখা গেছে, তরুণরা নিঃসঙ্গতায় বেশি ভোগেন। ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৬৮% বলেছেন যে, তারা প্রায়ই, মাঝে মাঝে বা খুব কম হলেও নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্ব অনুভব করেন। এছাড়া এই বয়সের ৩৬% খুব বেশি বা বেশ গুরুতর চাপ হিসেবে অনুভব করেন। তুলনামূলকভাবে ৪০ থেকে ৫৯ বছর এবং ৬০ বা তার বেশি বয়সি গোষ্ঠীর মধ্যে এই হার যথাক্রমে ১৯% এবং ২১%।

    বুধবার বার্লিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই জরিপের ফলাফল উপস্থাপনের সময় সমাজবিজ্ঞানী জানোশ শোবিন বলেন, “নিঃসঙ্গতা সাধারণত জীবনযাপনের পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। আর এটি তরুণ বয়সে বেশি ঘটে থাকে। যেমন বাড়ি ছেড়ে যাওয়া, নতুন শহরে স্থানান্তর বা কাজের পরিবর্তন এসব কারণে নিঃসঙ্গতা অনুভূত হতে পারে।”

    জরিপে দেখা গেছে, সিঙ্গেল বা অবিবাহিত ব্যক্তিরা সঙ্গী থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় তিনগুণ বেশি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন। যদিও নিঃসঙ্গতার মাত্রা পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমান। তবে সঙ্গীর উপস্থিতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অবিবাহিত বা সঙ্গীছাড়াদের মধ্যে ৩৩% বলেছেন যে তারা খুব বেশি বা বেশ গুরুতরভাবে নিঃসঙ্গতায় ভোগেন। তবে যাদের সঙ্গী আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই হার মাত্র ২২%।

    পুরুষদের জন্য নিঃসঙ্গতা এখনও ট্যাবু
    গবেষণায় দেখা গেছে, নিঃসঙ্গতা অনুভবের জন্য শিক্ষার ধাপ, কাজ, অথবা কেউ বড় বা ছোট শহরে বাস করছে কিনা—এসব কোনো বড় কারণ নয়। একইভাবে, পুরুষ ও নারীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতার সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। নিঃসঙ্গতার বড় কারণ বলা হচ্ছে ব্যক্তির সম্পর্ক এবং সামাজিকভাবে তার অবস্থানকে। তবে দরিদ্রতা নিঃসঙ্গতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বয়স্ক ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে তরুণ এককদের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। চাকরি হারানো বা সম্পর্কে বিচ্ছেদ বা মৃত্যুজনিত কারণে সঙ্গী হারানোর ফলে সামাজিক সমন্বয় ভেঙে পড়ে এতে করে নিঃসঙ্গতা বাড়ে।

    জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরুষ যদি নিঃসঙ্গতা বা এরকাকীত্বে ভোগেন তবে সেটি স্বীকার করা তাদের জন্য কঠিন। শুধুমাত্র ২২% পুরুষ নিঃসঙ্গতার কথা অন্যকে বলেন। নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৪০%। পুরুষদের না বলার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, অন্যদের বোঝা বাড়াতে না চাওয়া। প্রায় ২৯% বলেছেন যে নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলা তাদের জন্য অস্বস্তিকর। ৯% উল্লেখ করেছেন যে তাদের এমন কোনো ব্যক্তি নেই যার সঙ্গে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

    নিঃসঙ্গতা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্ক
    নিঃসঙ্গতার কারণে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার বৃদ্ধি ঘটে। যারা নিঃসঙ্গতা অনুভব করেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ২৩% তাদের স্বাস্থ্যকে খারাপ বলে মনে করেন, যেখানে যারা নিঃসঙ্গ নন তাদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ১৩%। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বা বিষন্নতা মতো সমস্যা নিঃসঙ্গতা বাড়াতে পারে। নিঃসঙ্গতা মানসিক চাপ, ক্লান্তি, উদ্বেগ, এবং ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    টেকনিকারের বোর্ড চেয়ারম্যান জেন্স বাস বলেন, “নিঃসঙ্গতা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এটি প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি ডিমেনশিয়া সম্পর্কেও উল্লেখ করেন।

    তার ভাষ্য, নিঃসঙ্গ মানুষ পিঠ, পেটের ব্যথা, হাঁপানি ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা বেশি ভোগেন। তবে, নিঃসঙ্গতা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা কেন সম্পর্কিত, তা এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য।
    নিঃসঙ্গতা বেড়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানির মানুষের। দেশটির এক তৃতীয়াংশ মানুষ নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্বকে একটি গুরুতর মানসিক চাপ হিসেবে অনুভব করছেন বলে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিমা সংস্থা টেকনিকার ক্রাঙ্কেনকাসে (টিকে) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে এই সমস্যা বিশেষভাবে প্রকট। প্রায় ৬০% জার্মান নাগরিক প্রায়ই, মাঝে মাঝে বা খুব কম হলেও নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বার্লিনে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়G এ বছরের মে মাসে ফোরসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিনিধিত্বমূলক টেলিফোনিক জরিপের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ১, ৪০৩ জন অংশগ্রহণ করেন। জরিপে দেখা গেছে, তরুণরা নিঃসঙ্গতায় বেশি ভোগেন। ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৬৮% বলেছেন যে, তারা প্রায়ই, মাঝে মাঝে বা খুব কম হলেও নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্ব অনুভব করেন। এছাড়া এই বয়সের ৩৬% খুব বেশি বা বেশ গুরুতর চাপ হিসেবে অনুভব করেন। তুলনামূলকভাবে ৪০ থেকে ৫৯ বছর এবং ৬০ বা তার বেশি বয়সি গোষ্ঠীর মধ্যে এই হার যথাক্রমে ১৯% এবং ২১%। বুধবার বার্লিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই জরিপের ফলাফল উপস্থাপনের সময় সমাজবিজ্ঞানী জানোশ শোবিন বলেন, “নিঃসঙ্গতা সাধারণত জীবনযাপনের পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। আর এটি তরুণ বয়সে বেশি ঘটে থাকে। যেমন বাড়ি ছেড়ে যাওয়া, নতুন শহরে স্থানান্তর বা কাজের পরিবর্তন এসব কারণে নিঃসঙ্গতা অনুভূত হতে পারে।” জরিপে দেখা গেছে, সিঙ্গেল বা অবিবাহিত ব্যক্তিরা সঙ্গী থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় তিনগুণ বেশি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন। যদিও নিঃসঙ্গতার মাত্রা পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমান। তবে সঙ্গীর উপস্থিতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অবিবাহিত বা সঙ্গীছাড়াদের মধ্যে ৩৩% বলেছেন যে তারা খুব বেশি বা বেশ গুরুতরভাবে নিঃসঙ্গতায় ভোগেন। তবে যাদের সঙ্গী আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই হার মাত্র ২২%। পুরুষদের জন্য নিঃসঙ্গতা এখনও ট্যাবু গবেষণায় দেখা গেছে, নিঃসঙ্গতা অনুভবের জন্য শিক্ষার ধাপ, কাজ, অথবা কেউ বড় বা ছোট শহরে বাস করছে কিনা—এসব কোনো বড় কারণ নয়। একইভাবে, পুরুষ ও নারীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতার সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। নিঃসঙ্গতার বড় কারণ বলা হচ্ছে ব্যক্তির সম্পর্ক এবং সামাজিকভাবে তার অবস্থানকে। তবে দরিদ্রতা নিঃসঙ্গতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বয়স্ক ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে তরুণ এককদের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। চাকরি হারানো বা সম্পর্কে বিচ্ছেদ বা মৃত্যুজনিত কারণে সঙ্গী হারানোর ফলে সামাজিক সমন্বয় ভেঙে পড়ে এতে করে নিঃসঙ্গতা বাড়ে। জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরুষ যদি নিঃসঙ্গতা বা এরকাকীত্বে ভোগেন তবে সেটি স্বীকার করা তাদের জন্য কঠিন। শুধুমাত্র ২২% পুরুষ নিঃসঙ্গতার কথা অন্যকে বলেন। নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৪০%। পুরুষদের না বলার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, অন্যদের বোঝা বাড়াতে না চাওয়া। প্রায় ২৯% বলেছেন যে নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলা তাদের জন্য অস্বস্তিকর। ৯% উল্লেখ করেছেন যে তাদের এমন কোনো ব্যক্তি নেই যার সঙ্গে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। নিঃসঙ্গতা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্ক নিঃসঙ্গতার কারণে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার বৃদ্ধি ঘটে। যারা নিঃসঙ্গতা অনুভব করেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ২৩% তাদের স্বাস্থ্যকে খারাপ বলে মনে করেন, যেখানে যারা নিঃসঙ্গ নন তাদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ১৩%। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বা বিষন্নতা মতো সমস্যা নিঃসঙ্গতা বাড়াতে পারে। নিঃসঙ্গতা মানসিক চাপ, ক্লান্তি, উদ্বেগ, এবং ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। টেকনিকারের বোর্ড চেয়ারম্যান জেন্স বাস বলেন, “নিঃসঙ্গতা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এটি প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি ডিমেনশিয়া সম্পর্কেও উল্লেখ করেন। তার ভাষ্য, নিঃসঙ্গ মানুষ পিঠ, পেটের ব্যথা, হাঁপানি ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা বেশি ভোগেন। তবে, নিঃসঙ্গতা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা কেন সম্পর্কিত, তা এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 474 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু
    ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে একই বছরের ৮ মে।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। এবছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্ণমান এবং পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

    এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করা হয়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ওয়েবসাইটে কেন্দ্র ও কেন্দ্রওয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
    ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে একই বছরের ৮ মে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। এবছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্ণমান এবং পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করা হয়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ওয়েবসাইটে কেন্দ্র ও কেন্দ্রওয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 92 Views 0 Προεπισκόπηση