• ভারত কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নাক গলায়, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়?

    ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তারা প্রায়ই দাবি করে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, যখন তাদের নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে?

    ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রায়ই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে, যা অনেক সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ, ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাদের দেশে মুসলমানরা চরম বৈষম্যের শিকার। গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লি দাঙ্গা, ধর্মীয় মব লিঞ্চিং—এসব ঘটনাগুলোই বলে দেয় ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অবস্থা কতটা শোচনীয়।

    ভারতের এই নাক গলানোর প্রবণতা নতুন নয়। এটি শুরু হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। সেই সময় ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করার জন্য তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল। এর ফলে তারা নিজেদের একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের এই নাক গলানোর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ভারতের সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয় নাগরিক সুবিধা থেকে। "সিএএ-এনআরসি" এর মতো বিতর্কিত আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাট—প্রতিটি অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নৈতিক অবস্থান নিতে চায়, যা অনেকাংশেই দ্বৈতনীতির উদাহরণ।

    ভারতের এই নাক গলানোর উদ্দেশ্য কী?
    ১. রাজনৈতিক ফায়দা তোলা:
    ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।

    ২. আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি:
    ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল।

    ৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব:
    সংখ্যালঘু ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে তারা বাংলাদেশের শাসক দলের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল।

    ভারতের দ্বৈতনীতি: কথায় এক, কাজে আরেক
    ভারতের এই নাক গলানোর আচরণ সরাসরি দ্বৈতনীতির পরিচায়ক। তারা যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে কেন তারা নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ?

    ভারতে মুসলিমদের অবস্থা দেখে স্পষ্ট যে, তারা শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। এ অবস্থায় তাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।

    বাংলাদেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত?
    বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় নীতিগত ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার রয়েছে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
    বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজের উচিত এই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেওয়া। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের দ্বৈতনীতি তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে তাদের এই আচরণের বিরোধিতা করা জরুরি।

    ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য যে দেশীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো তাদের দ্বৈতনীতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

    "যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তার অন্যের ঘরে নাক গলানো শোভা পায় না।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক

    #IndiaBangladeshRelations #MinorityRights #DiplomaticHypocrisy #BangladeshIndiaPolitics #HumanRightsViolations #ReligiousFreedom #SouthAsianPolitics #IndiaMuslimMinorities
    ভারত কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নাক গলায়, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়? ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তারা প্রায়ই দাবি করে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, যখন তাদের নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে? ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রায়ই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে, যা অনেক সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ, ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাদের দেশে মুসলমানরা চরম বৈষম্যের শিকার। গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লি দাঙ্গা, ধর্মীয় মব লিঞ্চিং—এসব ঘটনাগুলোই বলে দেয় ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অবস্থা কতটা শোচনীয়। ভারতের এই নাক গলানোর প্রবণতা নতুন নয়। এটি শুরু হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। সেই সময় ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করার জন্য তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল। এর ফলে তারা নিজেদের একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের এই নাক গলানোর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয় নাগরিক সুবিধা থেকে। "সিএএ-এনআরসি" এর মতো বিতর্কিত আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাট—প্রতিটি অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নৈতিক অবস্থান নিতে চায়, যা অনেকাংশেই দ্বৈতনীতির উদাহরণ। ভারতের এই নাক গলানোর উদ্দেশ্য কী? ১. রাজনৈতিক ফায়দা তোলা: ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। ২. আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি: ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল। ৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব: সংখ্যালঘু ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে তারা বাংলাদেশের শাসক দলের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল। ভারতের দ্বৈতনীতি: কথায় এক, কাজে আরেক ভারতের এই নাক গলানোর আচরণ সরাসরি দ্বৈতনীতির পরিচায়ক। তারা যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে কেন তারা নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ? ভারতে মুসলিমদের অবস্থা দেখে স্পষ্ট যে, তারা শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। এ অবস্থায় তাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত? বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় নীতিগত ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার রয়েছে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না। বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজের উচিত এই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেওয়া। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের দ্বৈতনীতি তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে তাদের এই আচরণের বিরোধিতা করা জরুরি। ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য যে দেশীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো তাদের দ্বৈতনীতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। "যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তার অন্যের ঘরে নাক গলানো শোভা পায় না। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক #IndiaBangladeshRelations #MinorityRights #DiplomaticHypocrisy #BangladeshIndiaPolitics #HumanRightsViolations #ReligiousFreedom #SouthAsianPolitics #IndiaMuslimMinorities
    0 Commentarii 0 Distribuiri 5K Views 0 previzualizare
  • নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। নিচে তার পাঁচটি উগ্র বক্তব্য তুলে ধরা হলো:

    ১. বাংলাদেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের ঘোষণা (২০১৯)
    ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে এবং ভারতের জনগণের অধিকার দখল করছে। আমরা তাদের সনাক্ত করব এবং ভারত থেকে তাড়িয়ে দেব।"
    এই মন্তব্যে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই এটিকে ভারতের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেন।

    ২. ‘বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক’ (২০১৬)
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়ে বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তারা মমতার ভোটব্যাংক হয়ে গেছে।"
    এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার একে অসৌজন্যমূলক হিসেবে দেখে।

    ৩. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে’ মন্তব্য (২০১৫)
    ঢাকা সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন:

    "ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।"
    এই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

    ৪. বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা (২০১৪)
    ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় নরেন্দ্র মোদি বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি এবং এরা মূলত উগ্রপন্থী।"
    এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার একে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে দেখে।

    ৫. বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ মন্তব্য (২০২১)
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন:

    "বাংলাদেশে হিন্দুরা ক্রমাগত নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, আর ভারত এটা সহ্য করবে না।"
    এই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষ মোদির এই মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে মনে করে।

    নরেন্দ্র মোদির এসব উগ্র মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তার বক্তব্য প্রায়ই দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, এসব মন্তব্য ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়।

    #NarendraModi #IndiaBangladesh #ControversialStatements #SouthAsianPolitics #Diplomacy
    নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। নিচে তার পাঁচটি উগ্র বক্তব্য তুলে ধরা হলো: ১. বাংলাদেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের ঘোষণা (২০১৯) ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: "বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে এবং ভারতের জনগণের অধিকার দখল করছে। আমরা তাদের সনাক্ত করব এবং ভারত থেকে তাড়িয়ে দেব।" এই মন্তব্যে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই এটিকে ভারতের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেন। ২. ‘বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক’ (২০১৬) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়ে বলেন: "বাংলাদেশ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তারা মমতার ভোটব্যাংক হয়ে গেছে।" এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার একে অসৌজন্যমূলক হিসেবে দেখে। ৩. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে’ মন্তব্য (২০১৫) ঢাকা সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন: "ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।" এই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ৪. বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা (২০১৪) ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় নরেন্দ্র মোদি বলেন: "বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি এবং এরা মূলত উগ্রপন্থী।" এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার একে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে দেখে। ৫. বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ মন্তব্য (২০২১) ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন: "বাংলাদেশে হিন্দুরা ক্রমাগত নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, আর ভারত এটা সহ্য করবে না।" এই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষ মোদির এই মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে মনে করে। নরেন্দ্র মোদির এসব উগ্র মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তার বক্তব্য প্রায়ই দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, এসব মন্তব্য ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়। #NarendraModi #IndiaBangladesh #ControversialStatements #SouthAsianPolitics #Diplomacy
    0 Commentarii 0 Distribuiri 5K Views 0 previzualizare
  • পিক আউটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে লেখালেখি শুরু করতে এখনই নিবন্ধন করুন! আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা, এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। ভেরিফিকেশন সফল হলে আপনি উন্মুক্তভাবে লিখতে পারবেন এবং আমাদের গর্বিত সদস্য হয়ে উঠবেন। শুরু করুন আজই!
    পিক আউটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে লেখালেখি শুরু করতে এখনই নিবন্ধন করুন! আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা, এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। ভেরিফিকেশন সফল হলে আপনি উন্মুক্তভাবে লিখতে পারবেন এবং আমাদের গর্বিত সদস্য হয়ে উঠবেন। শুরু করুন আজই!
    0 Commentarii 0 Distribuiri 323 Views 0 previzualizare
  • বিসিএস ও সিবিএস: কেন এই পদ্ধতিকে থার্ড ক্লাস বলা হচ্ছে?
    বিসিএস ও সিবিএস: কেন এই পদ্ধতিকে থার্ড ক্লাস বলা হচ্ছে?
    0 Commentarii 0 Distribuiri 722 Views 0 previzualizare
  • আমরা খামু কি সরকারকে বলেন আমরা একটা ডাল ভাত খেতে পারি না ঘর ভাড়া দিয়েও থাকতে পারে না
    https://www.youtube.com/watch?v=CCPh-rceFTo
    আমরা খামু কি সরকারকে বলেন আমরা একটা ডাল ভাত খেতে পারি না ঘর ভাড়া দিয়েও থাকতে পারে না https://www.youtube.com/watch?v=CCPh-rceFTo
    0 Commentarii 0 Distribuiri 330 Views 0 previzualizare
  • বিদেশি মাফিয়ারা দেশের বাজারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টায়!
    বিদেশি মাফিয়ারা দেশের বাজারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টায়!
    0 Commentarii 0 Distribuiri 308 Views 0 previzualizare

  • ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
    ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
    পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

    আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
    পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।




    মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি

    ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
    মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
    বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 4K Views 0 previzualizare
  • ৩ মাস ক্ষমতায় আসছেন অফিস আদালতা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিক করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের তার ভাতা দিচ্ছেন না
    ৩ মাস ক্ষমতায় আসছেন অফিস আদালতা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিক করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের তার ভাতা দিচ্ছেন না
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • রেলওয়ের ওয়েম্যানদের জীবন: সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ
    রেলওয়ের ওয়েম্যানদের জীবন: সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ
    EYENEWSBD.COM
    রেলওয়ের ওয়েম্যানদের জীবন: সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ - Eye News BD
    বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ওয়েম্যানদের জীবন এক কথায় কঠিন পরিশ্রম, সীমিত সুবিধা এবং চরম দায়িত্বের মিশ্রণ। নিরাপদ রেলপথ রক্ষায় তাদের ভূমিকা অপরিসীম, তবুও তাদের জীবন ও কর্মপরিবেশে রয়েছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ।ওয়েম্যানদের ভূমিকা ও দায়িত্বওয়েম্যানরা রেললাইনের ত্রুটি খুঁজে বের করে তা মেরামত করেন। এ কাজের মধ্যে রয়েছে রেললাইনের পাথর বা স্লিপার পুনরায় স্থাপন, আগাছা পরিষ্কার, লাইন সমান করা, এবং রেলপথের নিরাপত্তা নিশ্চ
    0 Commentarii 0 Distribuiri 194 Views 0 previzualizare
  • রানিংসমস্যা আগে থেকে বেশি সরকার যখন আসছে স্বপ্ন দেশ ভালোভাবে চলবে কিন্তু এখন উল্টোটা
    রানিংসমস্যা আগে থেকে বেশি সরকার যখন আসছে স্বপ্ন দেশ ভালোভাবে চলবে কিন্তু এখন উল্টোটা
    0 Commentarii 0 Distribuiri 395 Views 0 previzualizare