• স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন মির্জা ফখরুল
    স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন মির্জা ফখরুল
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 2 0 Προεπισκόπηση
  • বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টার বার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
    ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন।

    ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি” প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারেই ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে যদি এর সঙ্গে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন যুক্ত হয়, তাহলে নির্বাচন আরও ছয় মাস বিলম্বিত হতে পারে।

    তিনি নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন, “প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।”

    ড. ইউনূসের মতে, নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের শেষের দিক। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের প্রধান কাজ হবে ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা।

    কোথায় সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান হবে?
    ড. ইউনূস জানান, গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন, যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

    তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এবার গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদান স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।”

    কেন এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ?
    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নতুন কমিশনের কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।

    কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া?
    ড. ইউনূস তার ভাষণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে:

    ১ঃ ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে হবে।
    ২ঃ নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
    ৩ঃ ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
    ৪ঃ প্রথমবারের ভোটারদের অভিজ্ঞতা মসৃণ ও ইতিবাচক করতে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
    ৫ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ভাষণ একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়, যেখানে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য, নতুন ভোটারদের সম্পৃক্ততা, এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তার কথায় স্পষ্ট যে, নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের একটি সুযোগ।

    ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার দেওয়া পরিকল্পনা কেবল সময়োপযোগী নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রক্রিয়ায় কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং জাতি কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে।

    বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই আশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে, আমরা কতটা সঠিক পথে এগোচ্ছি।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টার বার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন। ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি” প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারেই ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে যদি এর সঙ্গে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন যুক্ত হয়, তাহলে নির্বাচন আরও ছয় মাস বিলম্বিত হতে পারে। তিনি নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন, “প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।” ড. ইউনূসের মতে, নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের শেষের দিক। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের প্রধান কাজ হবে ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা। কোথায় সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান হবে? ড. ইউনূস জানান, গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন, যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এবার গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদান স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।” কেন এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নতুন কমিশনের কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া? ড. ইউনূস তার ভাষণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে: ১ঃ ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে হবে। ২ঃ নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৩ঃ ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। ৪ঃ প্রথমবারের ভোটারদের অভিজ্ঞতা মসৃণ ও ইতিবাচক করতে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ৫ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ভাষণ একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়, যেখানে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য, নতুন ভোটারদের সম্পৃক্ততা, এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তার কথায় স্পষ্ট যে, নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের একটি সুযোগ। ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার দেওয়া পরিকল্পনা কেবল সময়োপযোগী নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রক্রিয়ায় কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং জাতি কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই আশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে, আমরা কতটা সঠিক পথে এগোচ্ছি। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 16χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • ডিপজলের রাজনৈতিক অবস্থান: আ.লীগ থেকে বিএনপির ব্যানারে নতুন আলোচনা
    ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং ‘মুভিলর্ড’ খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। তবে এবার তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ভিন্ন কারণে।

    ডিপজল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেন।

    এতে তিনি লেখেন, “১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। লাখো শহীদের রক্তে লেখা বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।”

    রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এই পোস্ট দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। অথচ এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চেয়েছিলেন।

    ডিপজল মূলত ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে দলীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে গেলে শর্ত পূরণ না করায় তাকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়নি। এমনকি ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

    আওয়ামী লীগের কোনো প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না এবং দল বা সহযোগী সংগঠনের কোনো পর্যায়েই তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে শর্ত পূরণ না হওয়ায় মনোনয়ন ফরম ক্রয়ের সুযোগ পাননি ডিপজল।

    অন্যদিকে, তার অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস বিবেচনায় তাকে বিএনপি-সমর্থক হিসেবেই বেশি পরিচিত মনে করা হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

    ডিপজলের পোস্টে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে তার বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন, কিন্তু দলীয় শর্ত পূরণ না করতে পারায় আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। এখন তার বর্তমান পদক্ষেপ বিএনপির প্রতি পুনরায় সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।

    একটি জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
    ডিপজলের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তি পর্যায়ে দলবদলের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। একদিকে তার চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা এবং দানবীর হিসেবে পরিচিতি, অন্যদিকে তার রাজনৈতিক দোদুল্যমানতা তাকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

    একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বিপরীত রাজনৈতিক দলে অবস্থান করতে পারেন কিনা, এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত প্রশ্ন। ডিপজল যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন এবং বর্তমানে বিএনপির প্রতি তার নতুন করে প্রকাশিত সমর্থন, তা রাজনীতির জটিল এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হিসাব-নিকাশেরই প্রতিফলন।

    ডিপজলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বড় উদাহরণ। তার পোস্ট থেকে বোঝা যায়, তিনি আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান। তবে এটি ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তার মতো ব্যক্তিত্বের দলবদল শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, জনমনে কৌতূহল এবং বিতর্ক উভয়ই সৃষ্টি করেছে।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    ডিপজলের রাজনৈতিক অবস্থান: আ.লীগ থেকে বিএনপির ব্যানারে নতুন আলোচনা ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং ‘মুভিলর্ড’ খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। তবে এবার তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ভিন্ন কারণে। ডিপজল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেন। এতে তিনি লেখেন, “১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। লাখো শহীদের রক্তে লেখা বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।” রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এই পোস্ট দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। অথচ এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চেয়েছিলেন। ডিপজল মূলত ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে দলীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে গেলে শর্ত পূরণ না করায় তাকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়নি। এমনকি ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গিয়ে ব্যর্থ হন। আওয়ামী লীগের কোনো প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না এবং দল বা সহযোগী সংগঠনের কোনো পর্যায়েই তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে শর্ত পূরণ না হওয়ায় মনোনয়ন ফরম ক্রয়ের সুযোগ পাননি ডিপজল। অন্যদিকে, তার অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস বিবেচনায় তাকে বিএনপি-সমর্থক হিসেবেই বেশি পরিচিত মনে করা হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ডিপজলের পোস্টে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে তার বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন, কিন্তু দলীয় শর্ত পূরণ না করতে পারায় আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। এখন তার বর্তমান পদক্ষেপ বিএনপির প্রতি পুনরায় সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। একটি জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ডিপজলের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তি পর্যায়ে দলবদলের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। একদিকে তার চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা এবং দানবীর হিসেবে পরিচিতি, অন্যদিকে তার রাজনৈতিক দোদুল্যমানতা তাকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বিপরীত রাজনৈতিক দলে অবস্থান করতে পারেন কিনা, এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত প্রশ্ন। ডিপজল যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন এবং বর্তমানে বিএনপির প্রতি তার নতুন করে প্রকাশিত সমর্থন, তা রাজনীতির জটিল এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হিসাব-নিকাশেরই প্রতিফলন। ডিপজলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বড় উদাহরণ। তার পোস্ট থেকে বোঝা যায়, তিনি আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান। তবে এটি ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তার মতো ব্যক্তিত্বের দলবদল শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, জনমনে কৌতূহল এবং বিতর্ক উভয়ই সৃষ্টি করেছে। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    Fake
    1
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 7χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • 0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 807 Views 0 Προεπισκόπηση
  • অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন
    বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করুন।
    অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করুন।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করুন
    তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জনগণের অধিকার।
    পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করুন তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জনগণের অধিকার।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • বাণিজ্য বৈষম্য দূর করুন
    বাংলাদেশের পণ্যের উপর শুল্ক ও অশুল্ক বাধা সৃষ্টি করে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবেন না। ন্যায্য বাজার সুবিধা নিশ্চিত করুন।
    বাণিজ্য বৈষম্য দূর করুন বাংলাদেশের পণ্যের উপর শুল্ক ও অশুল্ক বাধা সৃষ্টি করে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবেন না। ন্যায্য বাজার সুবিধা নিশ্চিত করুন।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন
    সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করতে হবে। সমস্যা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
    বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করতে হবে। সমস্যা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • দুই স্বৈরাচারের সমান সমান বিদায়।
    দুই স্বৈরাচারের সমান সমান বিদায়।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • 0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 778 Views 0 Προεπισκόπηση