নরেন্দ্র মোদির পাঁচটি উগ্র বক্তব্য, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে:
১. “মুসলিমরা সন্তুষ্ট থাকলে, দেশ অগ্রসর হতে পারে না” (2014)
২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারে একটি বক্তব্যে বলেছিলেন, "মুসলিমরা যদি সন্তুষ্ট থাকে, তবে দেশ অগ্রসর হতে পারে না।" তাঁর এই বক্তব্যটি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত এবং সমালোচিত হয়েছিল। অনেক সমালোচক এই মন্তব্যকে ভারতের মুসলিম জনগণের প্রতি ঘৃণার উদ্রেককারী এবং বিভাজনমূলক বলে আখ্যা দিয়েছিল। মোদির এই মন্তব্যটি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক এবং জাতীয় স্তরে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
২. “গোলি মারো সেলু কোকি” (2019)
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লিতে এক সমাবেশে বিজেপির প্রার্থী কিরণ বেহরিকে সমর্থন জানাতে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, "গোলি মারো সেলু কোকি" (যাদের বিরুদ্ধে মূর্খতায় অভিযোগ রয়েছে, তাদের গুলি মারো)। এই মন্তব্যটি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি উগ্রতা এবং হিংসাত্মক আচরণের উস্কানি হিসেবে দেখা হয়েছিল। এই বক্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু হয়, এবং মোদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
৩. "কাশ্মীরে হামলাকারী পাকিস্তানের লোকজন" (2016)
২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ওপর এক হামলার পর মোদি পাকিস্তানকে একাধিকবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেছিলেন, "কাশ্মীরের হামলাকারীরা পাকিস্তান থেকেই এসেছে," এবং পাকিস্তানকে দোষারোপ করে পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিরতি বিষয়ে মন্তব্য করেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, মোদির এই বক্তব্যটি পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং এই ধরনের বক্তব্য যুদ্ধপ্ররোচনামূলক হতে পারে।
৪. "গুজরাটে মুসলিমদের দিকে তাকালে গন্ধ আসে" (2002)
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদি একটি মন্তব্য করেছিলেন যা মুসলিম জনগণের প্রতি বৈরিতা এবং ঘৃণা প্রকাশের জন্য সমালোচিত হয়েছিল। মোদি বলেছিলেন, "গুজরাটে মুসলিমদের দিকে তাকালে গন্ধ আসে"। এই উগ্র মন্তব্যটি গুজরাট দাঙ্গার পর ব্যাপক প্রতিবাদ এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল, এবং মোদি তখন থেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
৫. "এটি রাজনৈতিক দেশ না, এটি হিন্দু দেশ" (2015)
২০১৫ সালে, মোদি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "ভারত একটি রাজনৈতিক দেশ নয়, এটি একটি হিন্দু দেশ।" এই মন্তব্যটি হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন জুগানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল, তবে ভারতীয় সংবিধানের অধীনে সকল ধর্মের সমান অধিকার থাকা সত্ত্বেও এটি অনেক সমালোচককে উদ্বিগ্ন করেছিল। তাদের দাবি ছিল যে, মোদির এই বক্তব্য ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মৌলিক নীতির বিপরীতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রতির প্রতি আঘাত।
মোদির এসব বক্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য দেওয়া হলেও, তা সমালোচকদের কাছে বিপুলভাবে বিতর্কিত হয়ে ওঠে এবং ভারতীয় সমাজে বিভাজন এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়।
১. “মুসলিমরা সন্তুষ্ট থাকলে, দেশ অগ্রসর হতে পারে না” (2014)
২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারে একটি বক্তব্যে বলেছিলেন, "মুসলিমরা যদি সন্তুষ্ট থাকে, তবে দেশ অগ্রসর হতে পারে না।" তাঁর এই বক্তব্যটি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত এবং সমালোচিত হয়েছিল। অনেক সমালোচক এই মন্তব্যকে ভারতের মুসলিম জনগণের প্রতি ঘৃণার উদ্রেককারী এবং বিভাজনমূলক বলে আখ্যা দিয়েছিল। মোদির এই মন্তব্যটি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক এবং জাতীয় স্তরে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
২. “গোলি মারো সেলু কোকি” (2019)
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লিতে এক সমাবেশে বিজেপির প্রার্থী কিরণ বেহরিকে সমর্থন জানাতে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, "গোলি মারো সেলু কোকি" (যাদের বিরুদ্ধে মূর্খতায় অভিযোগ রয়েছে, তাদের গুলি মারো)। এই মন্তব্যটি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি উগ্রতা এবং হিংসাত্মক আচরণের উস্কানি হিসেবে দেখা হয়েছিল। এই বক্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু হয়, এবং মোদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
৩. "কাশ্মীরে হামলাকারী পাকিস্তানের লোকজন" (2016)
২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ওপর এক হামলার পর মোদি পাকিস্তানকে একাধিকবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেছিলেন, "কাশ্মীরের হামলাকারীরা পাকিস্তান থেকেই এসেছে," এবং পাকিস্তানকে দোষারোপ করে পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিরতি বিষয়ে মন্তব্য করেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, মোদির এই বক্তব্যটি পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং এই ধরনের বক্তব্য যুদ্ধপ্ররোচনামূলক হতে পারে।
৪. "গুজরাটে মুসলিমদের দিকে তাকালে গন্ধ আসে" (2002)
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদি একটি মন্তব্য করেছিলেন যা মুসলিম জনগণের প্রতি বৈরিতা এবং ঘৃণা প্রকাশের জন্য সমালোচিত হয়েছিল। মোদি বলেছিলেন, "গুজরাটে মুসলিমদের দিকে তাকালে গন্ধ আসে"। এই উগ্র মন্তব্যটি গুজরাট দাঙ্গার পর ব্যাপক প্রতিবাদ এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল, এবং মোদি তখন থেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
৫. "এটি রাজনৈতিক দেশ না, এটি হিন্দু দেশ" (2015)
২০১৫ সালে, মোদি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "ভারত একটি রাজনৈতিক দেশ নয়, এটি একটি হিন্দু দেশ।" এই মন্তব্যটি হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন জুগানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল, তবে ভারতীয় সংবিধানের অধীনে সকল ধর্মের সমান অধিকার থাকা সত্ত্বেও এটি অনেক সমালোচককে উদ্বিগ্ন করেছিল। তাদের দাবি ছিল যে, মোদির এই বক্তব্য ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মৌলিক নীতির বিপরীতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রতির প্রতি আঘাত।
মোদির এসব বক্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য দেওয়া হলেও, তা সমালোচকদের কাছে বিপুলভাবে বিতর্কিত হয়ে ওঠে এবং ভারতীয় সমাজে বিভাজন এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়।
নরেন্দ্র মোদির পাঁচটি উগ্র বক্তব্য, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে:
১. “মুসলিমরা সন্তুষ্ট থাকলে, দেশ অগ্রসর হতে পারে না” (2014)
২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারে একটি বক্তব্যে বলেছিলেন, "মুসলিমরা যদি সন্তুষ্ট থাকে, তবে দেশ অগ্রসর হতে পারে না।" তাঁর এই বক্তব্যটি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত এবং সমালোচিত হয়েছিল। অনেক সমালোচক এই মন্তব্যকে ভারতের মুসলিম জনগণের প্রতি ঘৃণার উদ্রেককারী এবং বিভাজনমূলক বলে আখ্যা দিয়েছিল। মোদির এই মন্তব্যটি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক এবং জাতীয় স্তরে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
২. “গোলি মারো সেলু কোকি” (2019)
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লিতে এক সমাবেশে বিজেপির প্রার্থী কিরণ বেহরিকে সমর্থন জানাতে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, "গোলি মারো সেলু কোকি" (যাদের বিরুদ্ধে মূর্খতায় অভিযোগ রয়েছে, তাদের গুলি মারো)। এই মন্তব্যটি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি উগ্রতা এবং হিংসাত্মক আচরণের উস্কানি হিসেবে দেখা হয়েছিল। এই বক্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু হয়, এবং মোদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
৩. "কাশ্মীরে হামলাকারী পাকিস্তানের লোকজন" (2016)
২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ওপর এক হামলার পর মোদি পাকিস্তানকে একাধিকবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেছিলেন, "কাশ্মীরের হামলাকারীরা পাকিস্তান থেকেই এসেছে," এবং পাকিস্তানকে দোষারোপ করে পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিরতি বিষয়ে মন্তব্য করেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, মোদির এই বক্তব্যটি পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং এই ধরনের বক্তব্য যুদ্ধপ্ররোচনামূলক হতে পারে।
৪. "গুজরাটে মুসলিমদের দিকে তাকালে গন্ধ আসে" (2002)
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদি একটি মন্তব্য করেছিলেন যা মুসলিম জনগণের প্রতি বৈরিতা এবং ঘৃণা প্রকাশের জন্য সমালোচিত হয়েছিল। মোদি বলেছিলেন, "গুজরাটে মুসলিমদের দিকে তাকালে গন্ধ আসে"। এই উগ্র মন্তব্যটি গুজরাট দাঙ্গার পর ব্যাপক প্রতিবাদ এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল, এবং মোদি তখন থেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
৫. "এটি রাজনৈতিক দেশ না, এটি হিন্দু দেশ" (2015)
২০১৫ সালে, মোদি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "ভারত একটি রাজনৈতিক দেশ নয়, এটি একটি হিন্দু দেশ।" এই মন্তব্যটি হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন জুগানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল, তবে ভারতীয় সংবিধানের অধীনে সকল ধর্মের সমান অধিকার থাকা সত্ত্বেও এটি অনেক সমালোচককে উদ্বিগ্ন করেছিল। তাদের দাবি ছিল যে, মোদির এই বক্তব্য ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মৌলিক নীতির বিপরীতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রতির প্রতি আঘাত।
মোদির এসব বক্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য দেওয়া হলেও, তা সমালোচকদের কাছে বিপুলভাবে বিতর্কিত হয়ে ওঠে এবং ভারতীয় সমাজে বিভাজন এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়।
0 Yorumlar
0 hisse senetleri
216 Views
0 önizleme