• বাংলাদেশে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার আগে, ভ্যাট আরোপের প্রেক্ষাপট এবং এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা দরকার।

    **ভ্যাট আরোপের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট**

    তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল জোগাড় করতে দ্রুত ভ্যাট আরোপের পথে হাঁটছে।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে কর আদায় বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে।

    নতুন ভ্যাটের ধরনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং অন্যান্য জ্বালানিতে ভ্যাট আরোপ। বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। মোবাইল সেবার মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট বৃদ্ধি।

    কর আরোপের ক্ষেত্রে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও রফতানিমুখী শিল্পকে কর ছাড় দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হয়।

    ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো
    মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি:

    ১. **ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    ২. **ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি:
    ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলি ভ্যাটের অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে অক্ষম। অনেক ব্যবসা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।

    ৩. **সামাজিক অস্থিরতা:**
    - ভ্যাট আরোপ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আন্দোলন ও প্রতিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে।
    - ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    ৪. **অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব:**
    - বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যেতে পারে।
    - ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে যায়।

    ---

    ### **সরকারের পক্ষে যুক্তি**
    ১. **রাজস্ব বৃদ্ধি:**
    - সরকারের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নে ভ্যাট বৃদ্ধি অপরিহার্য।

    ২. **অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ:**
    - ভ্যাট বৃদ্ধি করলে করের আওতা বাড়বে এবং অবৈধ ব্যবসা কমবে।

    ৩. **আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ:**
    - IMF ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে কর কাঠামো শক্তিশালী করতে হচ্ছে।

    ---

    ### **সমাধানের পথ**
    ১. **পরিকল্পিত ভ্যাট ব্যবস্থা:**
    - তাড়াহুড়া না করে পর্যায়ক্রমে ভ্যাট আরোপ করা।
    - ভোক্তাদের ওপর সরাসরি চাপ কমিয়ে প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করা।

    ২. **অবৈধ রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা:**
    - বড় করপোরেট ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর আদায় নিশ্চিত করা।
    - কালো টাকা সাদা করার নীতি কঠোরভাবে বাতিল করা।

    ৩. **নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা:**
    - নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমিয়ে রাখা।
    - সামাজিক সুরক্ষা খাত বাড়ানো।

    ৪. **কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ:**
    - ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার উপর ভ্যাটের চাপ কমিয়ে তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
    - বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।

    বর্তমান ভ্যাট আরোপের প্রক্রিয়া যদি তাড়াহুড়া করে করা হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, এবং প্রগতিশীল করনীতি গ্রহণ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

    বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

    ### ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির বিবরণ###

    - **৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:** জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এসব খাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়।

    - **শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:** সরকার সম্প্রতি দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ### ভ্যাট বৃদ্ধির পেছনের কারণ###

    - **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) শর্ত পূরণ:** IMF-এর ঋণ শর্ত পূরণে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ### ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব

    - **ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি:** হোটেল, রেস্তোরাঁ, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়িক খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    - **সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:** নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

    ### সমালোচনা ও সুপারিশ###

    - **ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া:** ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা করেছে।

    - **বেসিসের আহ্বান:** বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।

    সর্বশেষ ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
    বাংলাদেশে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার আগে, ভ্যাট আরোপের প্রেক্ষাপট এবং এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা দরকার। **ভ্যাট আরোপের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট** তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল জোগাড় করতে দ্রুত ভ্যাট আরোপের পথে হাঁটছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে কর আদায় বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে। নতুন ভ্যাটের ধরনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং অন্যান্য জ্বালানিতে ভ্যাট আরোপ। বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। মোবাইল সেবার মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট বৃদ্ধি। কর আরোপের ক্ষেত্রে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও রফতানিমুখী শিল্পকে কর ছাড় দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হয়। ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি: ১. **ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২. **ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলি ভ্যাটের অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে অক্ষম। অনেক ব্যবসা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। ৩. **সামাজিক অস্থিরতা:** - ভ্যাট আরোপ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আন্দোলন ও প্রতিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে। - ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৪. **অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব:** - বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যেতে পারে। - ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে যায়। --- ### **সরকারের পক্ষে যুক্তি** ১. **রাজস্ব বৃদ্ধি:** - সরকারের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নে ভ্যাট বৃদ্ধি অপরিহার্য। ২. **অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ:** - ভ্যাট বৃদ্ধি করলে করের আওতা বাড়বে এবং অবৈধ ব্যবসা কমবে। ৩. **আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ:** - IMF ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে কর কাঠামো শক্তিশালী করতে হচ্ছে। --- ### **সমাধানের পথ** ১. **পরিকল্পিত ভ্যাট ব্যবস্থা:** - তাড়াহুড়া না করে পর্যায়ক্রমে ভ্যাট আরোপ করা। - ভোক্তাদের ওপর সরাসরি চাপ কমিয়ে প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করা। ২. **অবৈধ রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা:** - বড় করপোরেট ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর আদায় নিশ্চিত করা। - কালো টাকা সাদা করার নীতি কঠোরভাবে বাতিল করা। ৩. **নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা:** - নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমিয়ে রাখা। - সামাজিক সুরক্ষা খাত বাড়ানো। ৪. **কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ:** - ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার উপর ভ্যাটের চাপ কমিয়ে তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। - বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। বর্তমান ভ্যাট আরোপের প্রক্রিয়া যদি তাড়াহুড়া করে করা হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, এবং প্রগতিশীল করনীতি গ্রহণ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ### ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির বিবরণ### - **৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:** জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এসব খাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়। - **শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:** সরকার সম্প্রতি দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। ### ভ্যাট বৃদ্ধির পেছনের কারণ### - **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) শর্ত পূরণ:** IMF-এর ঋণ শর্ত পূরণে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ### ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব - **ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি:** হোটেল, রেস্তোরাঁ, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়িক খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। - **সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:** নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ### সমালোচনা ও সুপারিশ### - **ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া:** ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা করেছে। - **বেসিসের আহ্বান:** বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। সর্বশেষ ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
    0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
  • বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে...
    বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে...
    WWW.JUGANTOR.COM
    সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
    বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে...
    0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
  • ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
    ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
    EYENEWSBD.COM
    বছরের শুরুতেই চমক: বুবলীর নতুন পরিচয় ‘পিনিকে’! - Eye News BD
    ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
    0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
  • প্রথম আলোর যে গোপণ তথ্য সামনে আনলেন মাসুদ কামাল | Prothom Alo | Social Media | Masood Kamal |ATNNews

    প্রথম আলোর যে গোপণ তথ্য সামনে আনলেন মাসুদ কামাল | Prothom Alo | Social Media | Masood Kamal |ATNNews
    0 Kommentare 0 Anteile 1KB Ansichten 0 Vorschau
  • কোন কারণে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ইভাঙ্কা?
    ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই তিনিই কিনা রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ছাড়েন ইভাঙ্কা। এর পরই তিনি তার সন্তানদের বড় করার এবং ব্যক্তিগত জীবনকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

    ২০২২ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার তৃতীয় দাফায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর, ইভাঙ্কা তার রাজনৈতিক পুনরাগমনের কোনো ইচ্ছা নেই বলে স্পষ্ট করেছিলেন। তার এই অবস্থান ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পরেও অপরিবর্তিত রয়েছে।

    আলোচনা থেকে দূরে
    ইভাঙ্কার এই সিদ্ধান্ত তার বাবার প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে একটি বড় পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেই সময় তিনি নানা সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। রাজনীতির অন্ধকার দিকগুলো এবং তীব্র চাপ তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    মায়ামিতে ব্যক্তিগত জীবন
    ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার বর্তমানে মায়ামিতে বসবাস করছেন। সেখানে তারা তুলনামূলক শান্ত জীবনযাপন করছেন। ইভাঙ্কা তার সামাজিক মাধ্যমে পারিবারিক বাগান, সার্ফিং ক্লাস এবং পরিবারের সঙ্গে বোর্ড গেম খেলার মুহূর্তগুলো নিয়মিতই শেয়ার করেন।

    তার এই পরিবর্তনের পেছনে একান্ত ব্যক্তিগত কারণও ছিল। তার মধ্যে ২০২২ সালে তার মা ইভানা ট্রাম্পের মৃত্যু অন্যতম। এছাড়া তার স্বামী কুশনারের থাইরয়েড ক্যান্সারের জন্য একাধিক অস্ত্রোপচারের সময় তাকে তার পাশে থাকতে হয়েছে।

    জ্যারেড কুশনারের ভূমিকা
    জ্যারেড কুশনারও বর্তমানে কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক ভূমিকা নিচ্ছেন না। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত উদ্যোগে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

    নতুন অধ্যায়
    ইভাঙ্কা এখন তার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রভাবকে মানবিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, খাদ্য সংকট মোকাবিলা এবং ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন।

    একই সঙ্গে তিনি তাদের পারিবারিক ব্যবসা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পেও ফিরেছেন। সম্প্রতি একটি আলবেনীয় দ্বীপে বিলাসবহুল প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ইভাঙ্কা বলেছেন, পুরনো দক্ষতাগুলোকে নতুন করে ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই আনন্দের।

    ৪৩ বছর বয়সি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরে আসা তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যেখানে পরিবার এবং সমাজসেবার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
    কোন কারণে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ইভাঙ্কা? ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই তিনিই কিনা রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ছাড়েন ইভাঙ্কা। এর পরই তিনি তার সন্তানদের বড় করার এবং ব্যক্তিগত জীবনকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০২২ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার তৃতীয় দাফায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর, ইভাঙ্কা তার রাজনৈতিক পুনরাগমনের কোনো ইচ্ছা নেই বলে স্পষ্ট করেছিলেন। তার এই অবস্থান ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পরেও অপরিবর্তিত রয়েছে। আলোচনা থেকে দূরে ইভাঙ্কার এই সিদ্ধান্ত তার বাবার প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে একটি বড় পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেই সময় তিনি নানা সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। রাজনীতির অন্ধকার দিকগুলো এবং তীব্র চাপ তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মায়ামিতে ব্যক্তিগত জীবন ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার বর্তমানে মায়ামিতে বসবাস করছেন। সেখানে তারা তুলনামূলক শান্ত জীবনযাপন করছেন। ইভাঙ্কা তার সামাজিক মাধ্যমে পারিবারিক বাগান, সার্ফিং ক্লাস এবং পরিবারের সঙ্গে বোর্ড গেম খেলার মুহূর্তগুলো নিয়মিতই শেয়ার করেন। তার এই পরিবর্তনের পেছনে একান্ত ব্যক্তিগত কারণও ছিল। তার মধ্যে ২০২২ সালে তার মা ইভানা ট্রাম্পের মৃত্যু অন্যতম। এছাড়া তার স্বামী কুশনারের থাইরয়েড ক্যান্সারের জন্য একাধিক অস্ত্রোপচারের সময় তাকে তার পাশে থাকতে হয়েছে। জ্যারেড কুশনারের ভূমিকা জ্যারেড কুশনারও বর্তমানে কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক ভূমিকা নিচ্ছেন না। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত উদ্যোগে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। নতুন অধ্যায় ইভাঙ্কা এখন তার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রভাবকে মানবিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, খাদ্য সংকট মোকাবিলা এবং ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি তাদের পারিবারিক ব্যবসা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পেও ফিরেছেন। সম্প্রতি একটি আলবেনীয় দ্বীপে বিলাসবহুল প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ইভাঙ্কা বলেছেন, পুরনো দক্ষতাগুলোকে নতুন করে ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই আনন্দের। ৪৩ বছর বয়সি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরে আসা তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যেখানে পরিবার এবং সমাজসেবার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
    0 Kommentare 0 Anteile 3KB Ansichten 0 Vorschau
  • ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
    ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিদেশযাত্রার আলোচনা শুরু হয়। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় বিদেশ গমনের দিনক্ষণ জানা গেলেও সেটা পিছিয়ে যায়। এবার জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারী লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।

    গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থগিত করতে হয় এটি।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন।

    যার মধ্যে রয়েছেন—বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।

    এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
    ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিদেশযাত্রার আলোচনা শুরু হয়। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় বিদেশ গমনের দিনক্ষণ জানা গেলেও সেটা পিছিয়ে যায়। এবার জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারী লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থগিত করতে হয় এটি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। যার মধ্যে রয়েছেন—বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার। এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
    0 Kommentare 0 Anteile 3KB Ansichten 0 Vorschau
  • ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার জন্য দুটি পিরামিড ১০০ ঘন্টার জন্য ভাড়া নিলেন মিস্টার বিস্ট

    ইউটিউবের বিখ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মিস্টার বিস্ট (MrBeast) তাঁর অস্বাভাবিক এবং ব্যতিক্রমী ভিডিও ধারণার জন্য পরিচিত। এবার তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি অবিশ্বাস্য পদক্ষেপ নিলেন—দুটি পিরামিড ১০০ ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিয়ে পুরো পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছেন।

    কেন এই পিরামিড ভাড়া?
    মিস্টার বিস্ট বরাবরই এমন চ্যালেঞ্জিং এবং নজরকাড়া কনটেন্ট তৈরি করেন যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। পিরামিড ভাড়া নিয়ে তিনি হয়তো এমন একটি ভিডিও তৈরি করছেন যা ইতিহাসে প্রথমবার হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হতে পারে একটি চ্যালেঞ্জ, যেমন "পিরামিডের ভেতরে টিকে থাকার প্রতিযোগিতা," "ধাঁধার সমাধান," অথবা "১০০ ঘণ্টায় পিরামিড নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার।"

    কোথা থেকে পিরামিড ভাড়া করলেন?
    মিস্টার বিস্ট এই পিরামিডগুলো হয় মিশরীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে জিজার পিরামিডের কোনো অংশ অথবা বিশেষভাবে নির্মিত একটি রেপ্লিকা ভাড়া নিয়েছেন। যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি, ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রহস্য উদঘাটিত হবে।

    ১০০ ঘণ্টার পরিকল্পনা
    মিস্টার বিস্ট পিরামিডে ১০০ ঘণ্টা অবস্থান করার সময়ে এমন কিছু উদ্ভাবনী কনটেন্ট তৈরি করবেন, যা ভক্তদের চমকে দেবে। এটি হতে পারে পিরামিডের গোপন পথ আবিষ্কার, ইতিহাসের সঙ্গে মজার চ্যালেঞ্জ, অথবা সম্পূর্ণ একটি গেম শো।

    ভিডিওটি কবে আসছে?
    মিস্টার বিস্টের ভিডিও সাধারণত আগাম প্রচার দিয়ে আসে, যা দর্শকদের উত্তেজনা বাড়ায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভিডিওটি মিস্টার বিস্টের একটি স্পেশাল এপিসোড হতে চলেছে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ইউটিউবে আসবে।

    কীভাবে এই ভিডিওটি অন্য ভিডিওর থেকে আলাদা?
    মিস্টার বিস্টের ভিডিওগুলো সবসময় ব্যতিক্রমী বাজেট এবং দৃষ্টিনন্দন কনটেন্টের জন্য আলোচিত। কিন্তু পিরামিড ভাড়া নিয়ে ১০০ ঘণ্টার ভিডিও সম্ভবত তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃসাহসী উদ্যোগ। এটি শুধুমাত্র বিনোদনমূলক নয়, বরং ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে মজার উপস্থাপনা হিসেবেও বিবেচিত হবে।

    দর্শকদের প্রতিক্রিয়া
    ইতিমধ্যেই মিস্টার বিস্টের ভক্তরা তাঁর এই পদক্ষেপে উত্তেজিত। সারা বিশ্বের দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন—"পিরামিডের ১০০ ঘণ্টা" নামক এই বিশেষ এপিসোড দেখতে।

    মিস্টার বিস্টের নতুন চমকপ্রদ উদ্যোগ আপনার কেমন লেগেছে? আপনি এই ভিডিও থেকে কী আশা করছেন? জানাতে ভুলবেন না!
    ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার জন্য দুটি পিরামিড ১০০ ঘন্টার জন্য ভাড়া নিলেন মিস্টার বিস্ট ইউটিউবের বিখ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মিস্টার বিস্ট (MrBeast) তাঁর অস্বাভাবিক এবং ব্যতিক্রমী ভিডিও ধারণার জন্য পরিচিত। এবার তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি অবিশ্বাস্য পদক্ষেপ নিলেন—দুটি পিরামিড ১০০ ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিয়ে পুরো পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছেন। কেন এই পিরামিড ভাড়া? মিস্টার বিস্ট বরাবরই এমন চ্যালেঞ্জিং এবং নজরকাড়া কনটেন্ট তৈরি করেন যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। পিরামিড ভাড়া নিয়ে তিনি হয়তো এমন একটি ভিডিও তৈরি করছেন যা ইতিহাসে প্রথমবার হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হতে পারে একটি চ্যালেঞ্জ, যেমন "পিরামিডের ভেতরে টিকে থাকার প্রতিযোগিতা," "ধাঁধার সমাধান," অথবা "১০০ ঘণ্টায় পিরামিড নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার।" কোথা থেকে পিরামিড ভাড়া করলেন? মিস্টার বিস্ট এই পিরামিডগুলো হয় মিশরীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে জিজার পিরামিডের কোনো অংশ অথবা বিশেষভাবে নির্মিত একটি রেপ্লিকা ভাড়া নিয়েছেন। যদিও বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি, ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রহস্য উদঘাটিত হবে। ১০০ ঘণ্টার পরিকল্পনা মিস্টার বিস্ট পিরামিডে ১০০ ঘণ্টা অবস্থান করার সময়ে এমন কিছু উদ্ভাবনী কনটেন্ট তৈরি করবেন, যা ভক্তদের চমকে দেবে। এটি হতে পারে পিরামিডের গোপন পথ আবিষ্কার, ইতিহাসের সঙ্গে মজার চ্যালেঞ্জ, অথবা সম্পূর্ণ একটি গেম শো। ভিডিওটি কবে আসছে? মিস্টার বিস্টের ভিডিও সাধারণত আগাম প্রচার দিয়ে আসে, যা দর্শকদের উত্তেজনা বাড়ায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভিডিওটি মিস্টার বিস্টের একটি স্পেশাল এপিসোড হতে চলেছে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ইউটিউবে আসবে। কীভাবে এই ভিডিওটি অন্য ভিডিওর থেকে আলাদা? মিস্টার বিস্টের ভিডিওগুলো সবসময় ব্যতিক্রমী বাজেট এবং দৃষ্টিনন্দন কনটেন্টের জন্য আলোচিত। কিন্তু পিরামিড ভাড়া নিয়ে ১০০ ঘণ্টার ভিডিও সম্ভবত তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃসাহসী উদ্যোগ। এটি শুধুমাত্র বিনোদনমূলক নয়, বরং ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে মজার উপস্থাপনা হিসেবেও বিবেচিত হবে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই মিস্টার বিস্টের ভক্তরা তাঁর এই পদক্ষেপে উত্তেজিত। সারা বিশ্বের দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন—"পিরামিডের ১০০ ঘণ্টা" নামক এই বিশেষ এপিসোড দেখতে। মিস্টার বিস্টের নতুন চমকপ্রদ উদ্যোগ আপনার কেমন লেগেছে? আপনি এই ভিডিও থেকে কী আশা করছেন? জানাতে ভুলবেন না!
    0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
  • জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    এ সময় প্রশ্ন রেখে শফিকুল আলম বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার চেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কি হতে পারে?

    তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে টেক্সট রেশনালাইজেশন করা হবে। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ রাখা হবে। যাতে আরও যুগোপযোগী হয়। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনকে যুগোপযোগী করা হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে সরকারের।

    প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি খুব হালনাগাদ করা হয়নি। এগুলো আরও হালনাগাদ করতে কাজ হচ্ছে।

    দেশের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতে কম্পিটিশন করতে পারে, সে রকম একটি মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চায় সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এজন্য শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হবে।

    শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিষয় অনেকাংশে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা কমিশন করা না হলেও অল্প সময়ে শিক্ষা খাতে যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব, তেমন কাজ করছে সরকার।
    জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় প্রশ্ন রেখে শফিকুল আলম বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার চেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কি হতে পারে? তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে টেক্সট রেশনালাইজেশন করা হবে। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ রাখা হবে। যাতে আরও যুগোপযোগী হয়। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনকে যুগোপযোগী করা হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে সরকারের। প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি খুব হালনাগাদ করা হয়নি। এগুলো আরও হালনাগাদ করতে কাজ হচ্ছে। দেশের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতে কম্পিটিশন করতে পারে, সে রকম একটি মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চায় সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এজন্য শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হবে। শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিষয় অনেকাংশে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা কমিশন করা না হলেও অল্প সময়ে শিক্ষা খাতে যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব, তেমন কাজ করছে সরকার।
    0 Kommentare 0 Anteile 4KB Ansichten 0 Vorschau
  • প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন পরীমণি

    ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি। দেখতে দেখতে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে ১০ বছর পার করেছেন তিনি। অভিনয় থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। স্বামী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। তবে অতীত নিয়ে না ভেবে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চান পরীমণি।

    সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেম, জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত ও সম্ভবনার গল্প শুনিয়েছেন পরীমণি।

    প্রেম নিয়ে বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন পরীমণি। তাকে দেখে যেকোনো ছেলেই দ্রুত প্রেমে পড়েন-এমন গুঞ্জনও আছে। তিনিও নাকি দ্রুত তাদের রিসিভ করেন। এ বিষয়ে পরীমণির ভাষ্য, আমি প্রেমে পড়ি না, প্রেম আমার ওপর পড়ে। আমি সময় বুঝি না। প্রেম আমার ওপর পড়লে আমি একেবারে পিষে যাই।
    প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন পরীমণি ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি। দেখতে দেখতে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে ১০ বছর পার করেছেন তিনি। অভিনয় থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। স্বামী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। তবে অতীত নিয়ে না ভেবে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চান পরীমণি। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেম, জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত ও সম্ভবনার গল্প শুনিয়েছেন পরীমণি। প্রেম নিয়ে বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন পরীমণি। তাকে দেখে যেকোনো ছেলেই দ্রুত প্রেমে পড়েন-এমন গুঞ্জনও আছে। তিনিও নাকি দ্রুত তাদের রিসিভ করেন। এ বিষয়ে পরীমণির ভাষ্য, আমি প্রেমে পড়ি না, প্রেম আমার ওপর পড়ে। আমি সময় বুঝি না। প্রেম আমার ওপর পড়লে আমি একেবারে পিষে যাই।
    0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
  • মাফ করে দিয়েন, আমাদের শেষ দেখা হলোই না: পরীমণি

    না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’র পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    নির্মাতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। এদিকে প্রথম সিনেমার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি।

    রোববার (২৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্মাতার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

    ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনিও….মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’

    পরীমণি ফেসবুকে পোস্টটি দেওয়া মাত্রই ১৩ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক। আরেকজন লেখেন, আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুক আমিন।

    প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তি পায় শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এতে জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পরীমণি। এ ছাড়া সিনেমায় আরও রয়েছেন, আনিসুর রহমান মিলন, পরীমণি, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াৎ, মিজু আহমেদ, রেবেকা প্রমুখ।
    মাফ করে দিয়েন, আমাদের শেষ দেখা হলোই না: পরীমণি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’র পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নির্মাতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। এদিকে প্রথম সিনেমার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি। রোববার (২৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্মাতার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনিও….মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’ পরীমণি ফেসবুকে পোস্টটি দেওয়া মাত্রই ১৩ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক। আরেকজন লেখেন, আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুক আমিন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তি পায় শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এতে জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পরীমণি। এ ছাড়া সিনেমায় আরও রয়েছেন, আনিসুর রহমান মিলন, পরীমণি, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াৎ, মিজু আহমেদ, রেবেকা প্রমুখ।
    0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
  • পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

    ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

    অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে।

    ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য।

    সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা।

    শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন।

    এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে।

    মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত?
    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়! ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা। শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন। এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে। মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত?
    0 Kommentare 0 Anteile 3KB Ansichten 0 Vorschau
  • ডিপজলের রাজনৈতিক অবস্থান: আ.লীগ থেকে বিএনপির ব্যানারে নতুন আলোচনা
    ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং ‘মুভিলর্ড’ খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। তবে এবার তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ভিন্ন কারণে।

    ডিপজল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেন।

    এতে তিনি লেখেন, “১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। লাখো শহীদের রক্তে লেখা বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।”

    রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এই পোস্ট দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। অথচ এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চেয়েছিলেন।

    ডিপজল মূলত ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে দলীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে গেলে শর্ত পূরণ না করায় তাকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়নি। এমনকি ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

    আওয়ামী লীগের কোনো প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না এবং দল বা সহযোগী সংগঠনের কোনো পর্যায়েই তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে শর্ত পূরণ না হওয়ায় মনোনয়ন ফরম ক্রয়ের সুযোগ পাননি ডিপজল।

    অন্যদিকে, তার অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস বিবেচনায় তাকে বিএনপি-সমর্থক হিসেবেই বেশি পরিচিত মনে করা হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

    ডিপজলের পোস্টে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে তার বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন, কিন্তু দলীয় শর্ত পূরণ না করতে পারায় আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। এখন তার বর্তমান পদক্ষেপ বিএনপির প্রতি পুনরায় সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।

    একটি জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
    ডিপজলের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তি পর্যায়ে দলবদলের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। একদিকে তার চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা এবং দানবীর হিসেবে পরিচিতি, অন্যদিকে তার রাজনৈতিক দোদুল্যমানতা তাকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

    একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বিপরীত রাজনৈতিক দলে অবস্থান করতে পারেন কিনা, এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত প্রশ্ন। ডিপজল যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন এবং বর্তমানে বিএনপির প্রতি তার নতুন করে প্রকাশিত সমর্থন, তা রাজনীতির জটিল এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হিসাব-নিকাশেরই প্রতিফলন।

    ডিপজলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বড় উদাহরণ। তার পোস্ট থেকে বোঝা যায়, তিনি আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান। তবে এটি ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তার মতো ব্যক্তিত্বের দলবদল শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, জনমনে কৌতূহল এবং বিতর্ক উভয়ই সৃষ্টি করেছে।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    ডিপজলের রাজনৈতিক অবস্থান: আ.লীগ থেকে বিএনপির ব্যানারে নতুন আলোচনা ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং ‘মুভিলর্ড’ খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। তবে এবার তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ভিন্ন কারণে। ডিপজল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেন। এতে তিনি লেখেন, “১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। লাখো শহীদের রক্তে লেখা বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।” রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এই পোস্ট দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। অথচ এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চেয়েছিলেন। ডিপজল মূলত ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে দলীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে গেলে শর্ত পূরণ না করায় তাকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়নি। এমনকি ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গিয়ে ব্যর্থ হন। আওয়ামী লীগের কোনো প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না এবং দল বা সহযোগী সংগঠনের কোনো পর্যায়েই তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে শর্ত পূরণ না হওয়ায় মনোনয়ন ফরম ক্রয়ের সুযোগ পাননি ডিপজল। অন্যদিকে, তার অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস বিবেচনায় তাকে বিএনপি-সমর্থক হিসেবেই বেশি পরিচিত মনে করা হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ডিপজলের পোস্টে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে তার বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন, কিন্তু দলীয় শর্ত পূরণ না করতে পারায় আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। এখন তার বর্তমান পদক্ষেপ বিএনপির প্রতি পুনরায় সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। একটি জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ডিপজলের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তি পর্যায়ে দলবদলের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। একদিকে তার চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা এবং দানবীর হিসেবে পরিচিতি, অন্যদিকে তার রাজনৈতিক দোদুল্যমানতা তাকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বিপরীত রাজনৈতিক দলে অবস্থান করতে পারেন কিনা, এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত প্রশ্ন। ডিপজল যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন এবং বর্তমানে বিএনপির প্রতি তার নতুন করে প্রকাশিত সমর্থন, তা রাজনীতির জটিল এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হিসাব-নিকাশেরই প্রতিফলন। ডিপজলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বড় উদাহরণ। তার পোস্ট থেকে বোঝা যায়, তিনি আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান। তবে এটি ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তার মতো ব্যক্তিত্বের দলবদল শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, জনমনে কৌতূহল এবং বিতর্ক উভয়ই সৃষ্টি করেছে। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    Fake
    1
    0 Kommentare 0 Anteile 3KB Ansichten 0 Vorschau
Suchergebnis