• অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও দেশের কৃতি আইনজ্ঞ এ এফ হাসান আরিফ এর মৃত্যুতে আমি তাঁর শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আইনবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে দেশে শুণ্যতার সৃষ্টি হলো। আইন পেশায় তাঁর অবদান সহকর্মী ও উত্তরপ্রজন্মের আইনজীবীদের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। আইনের শাসনের ভাবনায় তাঁর অভিমত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

    আমি এ এফ হাসান আরিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও দেশের কৃতি আইনজ্ঞ এ এফ হাসান আরিফ এর মৃত্যুতে আমি তাঁর শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আইনবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে দেশে শুণ্যতার সৃষ্টি হলো। আইন পেশায় তাঁর অবদান সহকর্মী ও উত্তরপ্রজন্মের আইনজীবীদের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। আইনের শাসনের ভাবনায় তাঁর অভিমত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি এ এফ হাসান আরিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 3KB Visualizações 0 Anterior
  • দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল ঋণের জন্য দায়ী।রোববার (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী) হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি
    দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল ঋণের জন্য দায়ী।রোববার (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী) হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি
    EYENEWSBD.COM
    ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে বেক্সিমকো গ্রুপ, ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্ধেকই জনতা ব্যাংকের - Eye News BD
    দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল ঋণের জন্য দায়ী।রোববার (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী) হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1KB Visualizações 0 Anterior
  • বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ

    সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তরুণ ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে মুরুব্বি হিসেবে সব সময় সামনে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি দেশের সুশীল সমাজ ও ছাত্রদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবনা, নৈতিক অবস্থান এবং সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তাঁকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় করে তুলেছে।

    কে এই আসিফ নজরুল?
    ১৯৬৬ সালের ১২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া আসিফ নজরুল একজন বহু-গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তাঁর জন্মসূত্রে নাম মোঃ নজরুল ইসলাম। সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে তাঁর প্রতিশ্রুতি তাঁকে এক স্বতন্ত্র উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

    শিক্ষাজীবন: শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা
    আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS) থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। জার্মানির বন শহরে ইনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে পোস্ট-ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন তাঁর শিক্ষাগত কৃতিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

    কর্মজীবন: শিক্ষক থেকে জাতীয় মুখপাত্র
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পূর্বে আসিফ নজরুল ‘বিচিত্রা’ এবং ‘সাপ্তাহিক ২০০০’-এ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর সাংবাদিকতার সময় থেকেই তিনি স্পষ্টভাষী এবং সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কাজের পরিধি শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়; বিবিসি, সিএনএন এবং আল জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও তিনি সমাদৃত।

    লেখক পরিচিতি: কলমের সাহসী যোদ্ধা
    আসিফ নজরুলের কলম সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘১/১১ সুশাসন বিতর্ক’, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার: জাহানারা ইমামের চিঠি’, ‘আওয়ামী লীগের শাসনকাল’ এবং ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২: গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন, যেমন ‘নিষিদ্ধ কয়েকজন’, ‘ক্যাম্পাসের যুবক’, ‘পাপ’ এবং ‘অন্য আলোর দিন’। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘পিএইচডির গল্প’ তরুণ গবেষকদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

    সাহসী পদক্ষেপ এবং সমালোচনার মুখোমুখি
    সত্যের পক্ষে কথা বলার কারণে আসিফ নজরুল বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১২ সালে একটি টেলিভিশন টক-শোতে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্ট তাঁকে তলব করে। ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে আগুন দেওয়া হয়। এমনকি তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাঁর নৈতিক অবস্থানকে টলাতে পারেনি।

    ব্যক্তিগত জীবন: শৈল্পিক বন্ধন
    ব্যক্তিজীবনে আসিফ নজরুল জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কন্যা শীলা আহমেদের স্বামী। তাদের বন্ধন শৈল্পিক এবং চিন্তাশীল এক জীবনধারার প্রতীক।

    কেন তিনি আজকের সময়ের আইকন?
    বর্তমান সময়ে যখন সুশীল সমাজের নীরবতা এবং ভীতিপ্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তখন আসিফ নজরুল সাহসিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন; তিনি এক আদর্শ, এক অনুপ্রেরণা। তাঁর চিন্তাধারা, লেখনী এবং সাহসী অবস্থান আমাদের বুঝিয়ে দেয় কীভাবে একজন মানুষ সমাজকে বদলে দিতে পারেন।

    ড. আসিফ নজরুল কেবল একজন ব্যক্তি নন; তিনি এক আন্দোলন, এক দর্শন এবং এক প্রজন্মের স্বপ্ন। তাঁকে আরও জানুন, তাঁর বই পড়ুন, তাঁর বক্তব্য শুনুন – কারণ তিনি আমাদের সময়ের একজন সত্যিকারের নায়ক।
    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তরুণ ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে মুরুব্বি হিসেবে সব সময় সামনে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি দেশের সুশীল সমাজ ও ছাত্রদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবনা, নৈতিক অবস্থান এবং সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তাঁকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় করে তুলেছে। কে এই আসিফ নজরুল? ১৯৬৬ সালের ১২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া আসিফ নজরুল একজন বহু-গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তাঁর জন্মসূত্রে নাম মোঃ নজরুল ইসলাম। সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে তাঁর প্রতিশ্রুতি তাঁকে এক স্বতন্ত্র উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষাজীবন: শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS) থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। জার্মানির বন শহরে ইনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে পোস্ট-ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন তাঁর শিক্ষাগত কৃতিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। কর্মজীবন: শিক্ষক থেকে জাতীয় মুখপাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পূর্বে আসিফ নজরুল ‘বিচিত্রা’ এবং ‘সাপ্তাহিক ২০০০’-এ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর সাংবাদিকতার সময় থেকেই তিনি স্পষ্টভাষী এবং সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কাজের পরিধি শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়; বিবিসি, সিএনএন এবং আল জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও তিনি সমাদৃত। লেখক পরিচিতি: কলমের সাহসী যোদ্ধা আসিফ নজরুলের কলম সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘১/১১ সুশাসন বিতর্ক’, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার: জাহানারা ইমামের চিঠি’, ‘আওয়ামী লীগের শাসনকাল’ এবং ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২: গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন, যেমন ‘নিষিদ্ধ কয়েকজন’, ‘ক্যাম্পাসের যুবক’, ‘পাপ’ এবং ‘অন্য আলোর দিন’। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘পিএইচডির গল্প’ তরুণ গবেষকদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। সাহসী পদক্ষেপ এবং সমালোচনার মুখোমুখি সত্যের পক্ষে কথা বলার কারণে আসিফ নজরুল বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১২ সালে একটি টেলিভিশন টক-শোতে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্ট তাঁকে তলব করে। ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে আগুন দেওয়া হয়। এমনকি তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাঁর নৈতিক অবস্থানকে টলাতে পারেনি। ব্যক্তিগত জীবন: শৈল্পিক বন্ধন ব্যক্তিজীবনে আসিফ নজরুল জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কন্যা শীলা আহমেদের স্বামী। তাদের বন্ধন শৈল্পিক এবং চিন্তাশীল এক জীবনধারার প্রতীক। কেন তিনি আজকের সময়ের আইকন? বর্তমান সময়ে যখন সুশীল সমাজের নীরবতা এবং ভীতিপ্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তখন আসিফ নজরুল সাহসিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন; তিনি এক আদর্শ, এক অনুপ্রেরণা। তাঁর চিন্তাধারা, লেখনী এবং সাহসী অবস্থান আমাদের বুঝিয়ে দেয় কীভাবে একজন মানুষ সমাজকে বদলে দিতে পারেন। ড. আসিফ নজরুল কেবল একজন ব্যক্তি নন; তিনি এক আন্দোলন, এক দর্শন এবং এক প্রজন্মের স্বপ্ন। তাঁকে আরও জানুন, তাঁর বই পড়ুন, তাঁর বক্তব্য শুনুন – কারণ তিনি আমাদের সময়ের একজন সত্যিকারের নায়ক। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 3KB Visualizações 0 Anterior
  • ৩ মাস ক্ষমতায় আসছেন অফিস আদালতা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিক করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের তার ভাতা দিচ্ছেন না
    ৩ মাস ক্ষমতায় আসছেন অফিস আদালতা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিক করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের তার ভাতা দিচ্ছেন না
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior

  • ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
    ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
    পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

    আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
    পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।




    মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি

    ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
    মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
    বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 4KB Visualizações 0 Anterior
  • নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। নিচে তার পাঁচটি উগ্র বক্তব্য তুলে ধরা হলো:

    ১. বাংলাদেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের ঘোষণা (২০১৯)
    ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে এবং ভারতের জনগণের অধিকার দখল করছে। আমরা তাদের সনাক্ত করব এবং ভারত থেকে তাড়িয়ে দেব।"
    এই মন্তব্যে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই এটিকে ভারতের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেন।

    ২. ‘বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক’ (২০১৬)
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়ে বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তারা মমতার ভোটব্যাংক হয়ে গেছে।"
    এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার একে অসৌজন্যমূলক হিসেবে দেখে।

    ৩. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে’ মন্তব্য (২০১৫)
    ঢাকা সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন:

    "ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।"
    এই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

    ৪. বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা (২০১৪)
    ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় নরেন্দ্র মোদি বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি এবং এরা মূলত উগ্রপন্থী।"
    এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার একে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে দেখে।

    ৫. বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ মন্তব্য (২০২১)
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন:

    "বাংলাদেশে হিন্দুরা ক্রমাগত নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, আর ভারত এটা সহ্য করবে না।"
    এই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষ মোদির এই মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে মনে করে।

    নরেন্দ্র মোদির এসব উগ্র মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তার বক্তব্য প্রায়ই দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, এসব মন্তব্য ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়।

    #NarendraModi #IndiaBangladesh #ControversialStatements #SouthAsianPolitics #Diplomacy
    নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। নিচে তার পাঁচটি উগ্র বক্তব্য তুলে ধরা হলো: ১. বাংলাদেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের ঘোষণা (২০১৯) ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: "বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে এবং ভারতের জনগণের অধিকার দখল করছে। আমরা তাদের সনাক্ত করব এবং ভারত থেকে তাড়িয়ে দেব।" এই মন্তব্যে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই এটিকে ভারতের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেন। ২. ‘বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক’ (২০১৬) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়ে বলেন: "বাংলাদেশ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তারা মমতার ভোটব্যাংক হয়ে গেছে।" এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার একে অসৌজন্যমূলক হিসেবে দেখে। ৩. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে’ মন্তব্য (২০১৫) ঢাকা সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন: "ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।" এই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ৪. বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা (২০১৪) ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় নরেন্দ্র মোদি বলেন: "বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি এবং এরা মূলত উগ্রপন্থী।" এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার একে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে দেখে। ৫. বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ মন্তব্য (২০২১) ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন: "বাংলাদেশে হিন্দুরা ক্রমাগত নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, আর ভারত এটা সহ্য করবে না।" এই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষ মোদির এই মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে মনে করে। নরেন্দ্র মোদির এসব উগ্র মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তার বক্তব্য প্রায়ই দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, এসব মন্তব্য ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়। #NarendraModi #IndiaBangladesh #ControversialStatements #SouthAsianPolitics #Diplomacy
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 4KB Visualizações 0 Anterior
  • ভারত কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নাক গলায়, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়?

    ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তারা প্রায়ই দাবি করে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, যখন তাদের নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে?

    ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রায়ই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে, যা অনেক সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ, ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাদের দেশে মুসলমানরা চরম বৈষম্যের শিকার। গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লি দাঙ্গা, ধর্মীয় মব লিঞ্চিং—এসব ঘটনাগুলোই বলে দেয় ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অবস্থা কতটা শোচনীয়।

    ভারতের এই নাক গলানোর প্রবণতা নতুন নয়। এটি শুরু হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। সেই সময় ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করার জন্য তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল। এর ফলে তারা নিজেদের একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের এই নাক গলানোর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ভারতের সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয় নাগরিক সুবিধা থেকে। "সিএএ-এনআরসি" এর মতো বিতর্কিত আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাট—প্রতিটি অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নৈতিক অবস্থান নিতে চায়, যা অনেকাংশেই দ্বৈতনীতির উদাহরণ।

    ভারতের এই নাক গলানোর উদ্দেশ্য কী?
    ১. রাজনৈতিক ফায়দা তোলা:
    ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।

    ২. আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি:
    ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল।

    ৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব:
    সংখ্যালঘু ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে তারা বাংলাদেশের শাসক দলের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল।

    ভারতের দ্বৈতনীতি: কথায় এক, কাজে আরেক
    ভারতের এই নাক গলানোর আচরণ সরাসরি দ্বৈতনীতির পরিচায়ক। তারা যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে কেন তারা নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ?

    ভারতে মুসলিমদের অবস্থা দেখে স্পষ্ট যে, তারা শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। এ অবস্থায় তাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।

    বাংলাদেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত?
    বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় নীতিগত ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার রয়েছে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
    বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজের উচিত এই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেওয়া। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের দ্বৈতনীতি তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে তাদের এই আচরণের বিরোধিতা করা জরুরি।

    ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য যে দেশীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো তাদের দ্বৈতনীতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

    "যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তার অন্যের ঘরে নাক গলানো শোভা পায় না।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক

    #IndiaBangladeshRelations #MinorityRights #DiplomaticHypocrisy #BangladeshIndiaPolitics #HumanRightsViolations #ReligiousFreedom #SouthAsianPolitics #IndiaMuslimMinorities
    ভারত কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নাক গলায়, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়? ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তারা প্রায়ই দাবি করে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, যখন তাদের নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে? ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রায়ই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে, যা অনেক সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ, ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাদের দেশে মুসলমানরা চরম বৈষম্যের শিকার। গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লি দাঙ্গা, ধর্মীয় মব লিঞ্চিং—এসব ঘটনাগুলোই বলে দেয় ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অবস্থা কতটা শোচনীয়। ভারতের এই নাক গলানোর প্রবণতা নতুন নয়। এটি শুরু হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। সেই সময় ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করার জন্য তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল। এর ফলে তারা নিজেদের একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের এই নাক গলানোর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয় নাগরিক সুবিধা থেকে। "সিএএ-এনআরসি" এর মতো বিতর্কিত আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাট—প্রতিটি অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নৈতিক অবস্থান নিতে চায়, যা অনেকাংশেই দ্বৈতনীতির উদাহরণ। ভারতের এই নাক গলানোর উদ্দেশ্য কী? ১. রাজনৈতিক ফায়দা তোলা: ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। ২. আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি: ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল। ৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব: সংখ্যালঘু ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে তারা বাংলাদেশের শাসক দলের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল। ভারতের দ্বৈতনীতি: কথায় এক, কাজে আরেক ভারতের এই নাক গলানোর আচরণ সরাসরি দ্বৈতনীতির পরিচায়ক। তারা যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে কেন তারা নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ? ভারতে মুসলিমদের অবস্থা দেখে স্পষ্ট যে, তারা শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। এ অবস্থায় তাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত? বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় নীতিগত ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার রয়েছে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না। বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজের উচিত এই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেওয়া। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের দ্বৈতনীতি তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে তাদের এই আচরণের বিরোধিতা করা জরুরি। ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য যে দেশীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো তাদের দ্বৈতনীতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। "যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তার অন্যের ঘরে নাক গলানো শোভা পায় না। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক #IndiaBangladeshRelations #MinorityRights #DiplomaticHypocrisy #BangladeshIndiaPolitics #HumanRightsViolations #ReligiousFreedom #SouthAsianPolitics #IndiaMuslimMinorities
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 4KB Visualizações 0 Anterior
  • হোটেল-রেস্তোরাঁয় ‘স্মোকিং জোন’ বন্ধের দাবি
    প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান

    ধূমপানের ক্ষতি থেকে নারী-শিশুর সুরক্ষায় হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে অবহিত করতে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে আগত নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হয়। একইসঙ্গে সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে স্মোকিং জোন বন্ধ করা জরুরি বলে জানান প্রজ্ঞা ও আত্মা।

    সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

    এ সময় প্রজ্ঞা এবং আত্মা এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসডিজি’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তামাক একটি বাধা। বর্তমানে দেশে ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। বছরে ১ লাখ ৬১,০০০ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। এই পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটিসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিলসহ বেশকিছু প্রস্তাব আইন সংশোধনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    বৈঠকে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শংকর মৈত্র, আত্মা এর আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, মিজান চৌধুরী ও প্রজ্ঞা এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।
    হোটেল-রেস্তোরাঁয় ‘স্মোকিং জোন’ বন্ধের দাবি প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান ধূমপানের ক্ষতি থেকে নারী-শিশুর সুরক্ষায় হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এর একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে অবহিত করতে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে আগত নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হয়। একইসঙ্গে সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে স্মোকিং জোন বন্ধ করা জরুরি বলে জানান প্রজ্ঞা ও আত্মা। সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ সময় প্রজ্ঞা এবং আত্মা এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসডিজি’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তামাক একটি বাধা। বর্তমানে দেশে ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। বছরে ১ লাখ ৬১,০০০ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। এই পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটিসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিলসহ বেশকিছু প্রস্তাব আইন সংশোধনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৈঠকে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শংকর মৈত্র, আত্মা এর আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, মিজান চৌধুরী ও প্রজ্ঞা এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পিরোজপুরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা খারিজ
    পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন।

    মামলার পটভূমি
    ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার মত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন।

    রায়ের বিশ্লেষণ
    বুধবার মামলার অভিযোগ গঠন প্রক্রিয়ার দিন ধার্য থাকায় বিচারক মামলাটি পর্যালোচনা করেন। বিচারক বলেন, "আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।" ফলে তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং মামলাটি খারিজ করা হয়।

    আইনি প্রতিক্রিয়া
    মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামনুন আহসান মামলাটি খারিজ হওয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

    বিএনপির প্রতিক্রিয়া
    জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, "তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আইনের শাসন ফিরে এসেছে। ফলে মিথ্যা মামলা খারিজ হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "সব মামলায় তারেক রহমান খালাস পাবেন এবং বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।"

    প্রেক্ষাপট
    তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মামলাগুলোর আইনি ভিত্তি দুর্বল এবং সেগুলো রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

    ভবিষ্যত সম্ভাবনা
    এই রায় তারেক রহমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয়। এটি ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে চলমান অন্যান্য মামলার ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    এই রায় আইনের শাসনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে এবং দেশের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।
    তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পিরোজপুরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা খারিজ পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন। মামলার পটভূমি ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার মত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। রায়ের বিশ্লেষণ বুধবার মামলার অভিযোগ গঠন প্রক্রিয়ার দিন ধার্য থাকায় বিচারক মামলাটি পর্যালোচনা করেন। বিচারক বলেন, "আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।" ফলে তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং মামলাটি খারিজ করা হয়। আইনি প্রতিক্রিয়া মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামনুন আহসান মামলাটি খারিজ হওয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। বিএনপির প্রতিক্রিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, "তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আইনের শাসন ফিরে এসেছে। ফলে মিথ্যা মামলা খারিজ হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "সব মামলায় তারেক রহমান খালাস পাবেন এবং বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।" প্রেক্ষাপট তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মামলাগুলোর আইনি ভিত্তি দুর্বল এবং সেগুলো রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ভবিষ্যত সম্ভাবনা এই রায় তারেক রহমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয়। এটি ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে চলমান অন্যান্য মামলার ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই রায় আইনের শাসনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে এবং দেশের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 881 Visualizações 0 Anterior
  • ভারতীয় হিন্দু মহিলারা: চ্যালেঞ্জ ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি
    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিক

    ভারতীয় সমাজে হিন্দু মহিলাদের অবস্থা বহুস্তরীয় এবং জটিল। তাদের জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, যা সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে তাদের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। এই লেখায় আমরা ভারতের হিন্দু মহিলাদের সম্মুখীন প্রধান সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করবো এবং এই সমস্যাগুলোর পেছনের কারণগুলো উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করবো।

    ১. লিঙ্গভিত্তিক হিংসা ও অত্যাচার
    ভারতে হিন্দু মহিলারা নানা ধরনের লিঙ্গভিত্তিক হিংসা ও অত্যাচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। কুটনৈতিক হামলা, যৌন নির্যাতন, তীব্র পরিবারিক সংঘর্ষ এগুলো তাদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে এসব সমস্যা বেশি দেখা যায়, যেখানে সামাজিক বন্ধন ও ঐতিহ্যের কারণে অভিযোগ জানাতে বা সাহায্য পেতে মহিলারা বাধাপ্রাপ্ত হন।

    ২. শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধকতা
    ভারতের অনেক অংশে হিন্দু মহিলাদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সুযোগ সীমিত। পারিবারিক বাধ্যবাধকতা, সামাজিক রীতিনীতি, এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক হিন্দু মহিলা উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেন না বা স্বতন্ত্রভাবে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে সক্ষম হন না। এতে তাদের স্বনির্ভরতা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে বাধা সৃষ্টি হয়।

    ৩. সামাজিক চাপ ও মানসিক স্বাস্থ্য
    ভারতে হিন্দু মহিলারা প্রায়ই সামাজিক চাপের মুখোমুখি হন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সৌন্দর্যবাদের দৃষ্টিতে রূপবিচার, সামাজিক নিয়মনীতি অনুযায়ী আচরণ করার চাপ, এবং পারিবারিক প্রত্যাশা তাদের মানসিক ও আবেগিক ভার বহন করতে বাধ্য করে। এই চাপের ফলে মানসিক রোগ এবং হতাশার সমস্যা বেড়ে যায়।

    ৪. স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন
    ভারতে অনেক হিন্দু মহিলার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য মাদকাসক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, এবং পুনর্বাসনের সুযোগ সীমিত। স্বাস্থ্যসেবার অভাব তাদের জীবনের মান ও স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্ষতি সাধন করে।

    ৫. আইনি সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার
    আইনি সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে হিন্দু মহিলারা প্রায়ই অসন্তুষ্ট। বিচ্ছেদ, সম্পত্তি অধিকার, এবং যৌন নির্যাতনের মামলাগুলোতে প্রমাণ সংগ্রহ ও বিচার প্রক্রিয়া ধীর এবং জটিল হয়ে থাকে। এই কারণে অনেক মহিলা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায়পালন পেতে অক্ষম হন।

    সমাধান ও উদ্যোগ
    ভারতে হিন্দু মহিলাদের পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য বিভিন্ন সরকারী ও অ-সরকারী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে:

    শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম: হিন্দু মহিলাদের জন্য শিক্ষামূলক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে, যা তাদের কর্মজীবনে প্রবেশে সহায়তা করে।

    মানসিক স্বাস্থ্য সেবা: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিশেষ সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যা মহিলাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

    আইনি সহায়তা: হিন্দু মহিলাদের জন্য আইনি সহায়তা প্রদান এবং দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে নারী-সমতার ধারণা ও হিংসার বিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা চলছে, যা হিন্দু মহিলাদের সামাজিক অবস্থান উন্নত করতে সাহায্য করে।

    ভারতে হিন্দু মহিলাদের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলো গভীর এবং বহুমাত্রিক। তবে, বিভিন্ন সরকারী ও সমাজের উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ চলছে। সমাজে নারী-সমতার প্রচার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি, এবং আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা হিন্দু মহিলাদের জীবনকে আরও উন্নত এবং সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ এবং সংগ্রাম আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দিতে পারে।

    #ভারত #হিন্দুমহিলা #লিঙ্গভিত্তিকহিংসা #শিক্ষাসমস্যা #মানসিকস্বাস্থ্য #আইনিসুরক্ষা #নারীনির্ভরতা #সামাজিকচাপ #স্বাস্থ্যসেবা #নারীসমতা
    ভারতীয় হিন্দু মহিলারা: চ্যালেঞ্জ ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিক ভারতীয় সমাজে হিন্দু মহিলাদের অবস্থা বহুস্তরীয় এবং জটিল। তাদের জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, যা সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে তাদের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। এই লেখায় আমরা ভারতের হিন্দু মহিলাদের সম্মুখীন প্রধান সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করবো এবং এই সমস্যাগুলোর পেছনের কারণগুলো উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করবো। ১. লিঙ্গভিত্তিক হিংসা ও অত্যাচার ভারতে হিন্দু মহিলারা নানা ধরনের লিঙ্গভিত্তিক হিংসা ও অত্যাচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। কুটনৈতিক হামলা, যৌন নির্যাতন, তীব্র পরিবারিক সংঘর্ষ এগুলো তাদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে এসব সমস্যা বেশি দেখা যায়, যেখানে সামাজিক বন্ধন ও ঐতিহ্যের কারণে অভিযোগ জানাতে বা সাহায্য পেতে মহিলারা বাধাপ্রাপ্ত হন। ২. শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধকতা ভারতের অনেক অংশে হিন্দু মহিলাদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সুযোগ সীমিত। পারিবারিক বাধ্যবাধকতা, সামাজিক রীতিনীতি, এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক হিন্দু মহিলা উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেন না বা স্বতন্ত্রভাবে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে সক্ষম হন না। এতে তাদের স্বনির্ভরতা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে বাধা সৃষ্টি হয়। ৩. সামাজিক চাপ ও মানসিক স্বাস্থ্য ভারতে হিন্দু মহিলারা প্রায়ই সামাজিক চাপের মুখোমুখি হন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সৌন্দর্যবাদের দৃষ্টিতে রূপবিচার, সামাজিক নিয়মনীতি অনুযায়ী আচরণ করার চাপ, এবং পারিবারিক প্রত্যাশা তাদের মানসিক ও আবেগিক ভার বহন করতে বাধ্য করে। এই চাপের ফলে মানসিক রোগ এবং হতাশার সমস্যা বেড়ে যায়। ৪. স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন ভারতে অনেক হিন্দু মহিলার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য মাদকাসক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, এবং পুনর্বাসনের সুযোগ সীমিত। স্বাস্থ্যসেবার অভাব তাদের জীবনের মান ও স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্ষতি সাধন করে। ৫. আইনি সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার আইনি সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে হিন্দু মহিলারা প্রায়ই অসন্তুষ্ট। বিচ্ছেদ, সম্পত্তি অধিকার, এবং যৌন নির্যাতনের মামলাগুলোতে প্রমাণ সংগ্রহ ও বিচার প্রক্রিয়া ধীর এবং জটিল হয়ে থাকে। এই কারণে অনেক মহিলা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায়পালন পেতে অক্ষম হন। সমাধান ও উদ্যোগ ভারতে হিন্দু মহিলাদের পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য বিভিন্ন সরকারী ও অ-সরকারী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম: হিন্দু মহিলাদের জন্য শিক্ষামূলক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে, যা তাদের কর্মজীবনে প্রবেশে সহায়তা করে। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিশেষ সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যা মহিলাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। আইনি সহায়তা: হিন্দু মহিলাদের জন্য আইনি সহায়তা প্রদান এবং দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে নারী-সমতার ধারণা ও হিংসার বিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা চলছে, যা হিন্দু মহিলাদের সামাজিক অবস্থান উন্নত করতে সাহায্য করে। ভারতে হিন্দু মহিলাদের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলো গভীর এবং বহুমাত্রিক। তবে, বিভিন্ন সরকারী ও সমাজের উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ চলছে। সমাজে নারী-সমতার প্রচার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি, এবং আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা হিন্দু মহিলাদের জীবনকে আরও উন্নত এবং সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ এবং সংগ্রাম আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দিতে পারে। #ভারত #হিন্দুমহিলা #লিঙ্গভিত্তিকহিংসা #শিক্ষাসমস্যা #মানসিকস্বাস্থ্য #আইনিসুরক্ষা #নারীনির্ভরতা #সামাজিকচাপ #স্বাস্থ্যসেবা #নারীসমতা
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • ফেসবুক বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অন্যতম প্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এটি তথ্য বিনিময়, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ব্যবসা প্রসার, এবং সংবাদ প্রচারের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে, এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারে বেশ কিছু অনিয়ম এবং সমস্যার অভিযোগ উঠছে, যা সমাজ এবং ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

    ১. গোপনীয়তা লঙ্ঘন
    ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে বহুবার এই প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।

    কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডাল: ২০১৮ সালের এই ঘটনা দেখিয়েছিল কিভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছিল।

    ডেটা শেয়ারিং: ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে তা বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে শেয়ার করার অভিযোগও রয়েছে।

    ২. ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ানো
    ফেসবুক ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ানোর একটি প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

    রাজনৈতিক মিথ্যা প্রচারণা: নির্বাচনের সময় ভুয়া তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে।
    সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা: সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, ভুয়া পোস্ট বা ভিডিওর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়ছে।

    ৩. কনটেন্ট মডারেশনের অভাব
    ফেসবুকের কনটেন্ট মডারেশন সিস্টেম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।

    অনৈতিক বা সহিংস কনটেন্ট: পর্নোগ্রাফি, সহিংস ভিডিও, এবং বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট সহজেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
    অস্বচ্ছ নীতিমালা: কোন পোস্ট মুছে ফেলা হবে বা কোনটি থাকবে, সে বিষয়ে ফেসবুকের সিদ্ধান্ত প্রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়।

    ৪. আসক্তি তৈরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
    ফেসবুকের ডিজাইন ব্যবহারকারীদের আসক্ত করে রাখার জন্যই তৈরি।

    ডোপামিন হিট: লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর মধ্যে কৃত্রিম আনন্দ তৈরি হয়, যা আসক্তি বাড়ায়।
    মানসিক চাপ: ফেসবুকে অন্যের সুখের প্রদর্শন অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করে।

    ৫. ব্যবসায়িক অনিয়ম
    বিজ্ঞাপন জালিয়াতি: ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যে, এতে অনৈতিকভাবে বিজ্ঞাপনদাতাদের অর্থ খরচ করানো হয়।
    ছোট ব্যবসার ক্ষতি: ফেসবুকের অ্যালগরিদম প্রায়ই ছোট ব্যবসার কন্টেন্টকে পেছনে ঠেলে দেয়।
    ফেসবুকের অনিয়মের কারণ
    ১. লাভের লক্ষ্য: ব্যবহারকারীর কল্যাণের চেয়ে ফেসবুকের লাভ বৃদ্ধির লক্ষ্যই বেশি গুরুত্ব পায়।
    ২. অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ: ফেসবুকের মতো বৃহৎ প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অভাব রয়েছে।
    ৩. টেকনোলজির অপব্যবহার: এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি কখনো কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

    ফেসবুকের অনিয়মের ফলাফল
    ১. সামাজিক অবক্ষয়: ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করছে।
    ২. ব্যক্তিগত ক্ষতি: ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হলে তাদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি হয়।
    ৩. গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: ভুয়া তথ্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট অ্যালগরিদম গণতন্ত্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    সমাধান ও সুপারিশ
    ১. আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন:
    ফেসবুকের জন্য কঠোর নীতিমালা তৈরি এবং তা কার্যকর করতে হবে।
    ভুয়া তথ্য প্রচার রোধে স্থানীয় আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।

    ২. কনটেন্ট মডারেশন উন্নত করা:
    অ্যালগরিদমের পরিবর্তে মানবিক কনটেন্ট মডারেশন বাড়াতে হবে।
    বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কনটেন্ট দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৩. ব্যবহারকারীর দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি:
    সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।
    ভুয়া তথ্য যাচাইয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

    ৪. স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা:
    ফেসবুকের ডেটা ব্যবহারের বিষয়ে পরিষ্কার নীতিমালা থাকতে হবে।
    ব্যবহারকারীদের তাদের তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানার সুযোগ দিতে হবে।

    ফেসবুক যেমন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, তেমনি এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফেসবুকের লাগামহীন অনিয়ম রোধে সরকার, প্রতিষ্ঠান, এবং ব্যবহারকারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেন কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেই লক্ষ্যেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

    #ফেসবুক #সামাজিকমাধ্যম #ডেটালঙ্ঘন #ভুয়াতথ্য #সাম্প্রদায়িকসম্প্রীতি #ব্যবসা #গোপনীয়তা #সচেতনতা #বাংলাদেশ #অনুসন্ধানীলেখা
    ফেসবুক বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অন্যতম প্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এটি তথ্য বিনিময়, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ব্যবসা প্রসার, এবং সংবাদ প্রচারের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে, এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারে বেশ কিছু অনিয়ম এবং সমস্যার অভিযোগ উঠছে, যা সমাজ এবং ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ১. গোপনীয়তা লঙ্ঘন ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে বহুবার এই প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডাল: ২০১৮ সালের এই ঘটনা দেখিয়েছিল কিভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছিল। ডেটা শেয়ারিং: ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে তা বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে শেয়ার করার অভিযোগও রয়েছে। ২. ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ানো ফেসবুক ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ানোর একটি প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মিথ্যা প্রচারণা: নির্বাচনের সময় ভুয়া তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা: সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, ভুয়া পোস্ট বা ভিডিওর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়ছে। ৩. কনটেন্ট মডারেশনের অভাব ফেসবুকের কনটেন্ট মডারেশন সিস্টেম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। অনৈতিক বা সহিংস কনটেন্ট: পর্নোগ্রাফি, সহিংস ভিডিও, এবং বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট সহজেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অস্বচ্ছ নীতিমালা: কোন পোস্ট মুছে ফেলা হবে বা কোনটি থাকবে, সে বিষয়ে ফেসবুকের সিদ্ধান্ত প্রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়। ৪. আসক্তি তৈরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ফেসবুকের ডিজাইন ব্যবহারকারীদের আসক্ত করে রাখার জন্যই তৈরি। ডোপামিন হিট: লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর মধ্যে কৃত্রিম আনন্দ তৈরি হয়, যা আসক্তি বাড়ায়। মানসিক চাপ: ফেসবুকে অন্যের সুখের প্রদর্শন অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করে। ৫. ব্যবসায়িক অনিয়ম বিজ্ঞাপন জালিয়াতি: ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যে, এতে অনৈতিকভাবে বিজ্ঞাপনদাতাদের অর্থ খরচ করানো হয়। ছোট ব্যবসার ক্ষতি: ফেসবুকের অ্যালগরিদম প্রায়ই ছোট ব্যবসার কন্টেন্টকে পেছনে ঠেলে দেয়। ফেসবুকের অনিয়মের কারণ ১. লাভের লক্ষ্য: ব্যবহারকারীর কল্যাণের চেয়ে ফেসবুকের লাভ বৃদ্ধির লক্ষ্যই বেশি গুরুত্ব পায়। ২. অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ: ফেসবুকের মতো বৃহৎ প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অভাব রয়েছে। ৩. টেকনোলজির অপব্যবহার: এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি কখনো কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। ফেসবুকের অনিয়মের ফলাফল ১. সামাজিক অবক্ষয়: ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করছে। ২. ব্যক্তিগত ক্ষতি: ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হলে তাদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি হয়। ৩. গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: ভুয়া তথ্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট অ্যালগরিদম গণতন্ত্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাধান ও সুপারিশ ১. আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন: ফেসবুকের জন্য কঠোর নীতিমালা তৈরি এবং তা কার্যকর করতে হবে। ভুয়া তথ্য প্রচার রোধে স্থানীয় আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। ২. কনটেন্ট মডারেশন উন্নত করা: অ্যালগরিদমের পরিবর্তে মানবিক কনটেন্ট মডারেশন বাড়াতে হবে। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কনটেন্ট দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. ব্যবহারকারীর দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি: সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। ভুয়া তথ্য যাচাইয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ৪. স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা: ফেসবুকের ডেটা ব্যবহারের বিষয়ে পরিষ্কার নীতিমালা থাকতে হবে। ব্যবহারকারীদের তাদের তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানার সুযোগ দিতে হবে। ফেসবুক যেমন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, তেমনি এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফেসবুকের লাগামহীন অনিয়ম রোধে সরকার, প্রতিষ্ঠান, এবং ব্যবহারকারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেন কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেই লক্ষ্যেই সবাইকে কাজ করতে হবে। #ফেসবুক #সামাজিকমাধ্যম #ডেটালঙ্ঘন #ভুয়াতথ্য #সাম্প্রদায়িকসম্প্রীতি #ব্যবসা #গোপনীয়তা #সচেতনতা #বাংলাদেশ #অনুসন্ধানীলেখা
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • কর্তৃত্ববাদী শাসকরা জনগণের সামনে উদারতার বার্তা দিলেও, বাস্তবতায় তাদের শাসন পদ্ধতি হয় কঠোর। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা হলে, জনগণকে শান্ত রাখার জন্য সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দেয় "অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন"। কিন্তু নির্বাচনকালীন সহিংসতা, ভোট কারচুপি এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধের ঘটনা সেই প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

    বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় এই চিত্র আরও পরিষ্কার হয়েছে।

    1. বিরোধী দলীয় সমাবেশে বাধা: বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুলিশি হস্তক্ষেপ এবং গ্রেফতারের ঘটনা নিয়মিত খবরের শিরোনাম হচ্ছে।

    2. মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ: সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সংবাদ চ্যানেল বন্ধ, এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেন্সরশিপ কর্তৃত্ববাদী চর্চার এক সুস্পষ্ট উদাহরণ।

    3. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলনীতির পরিপন্থী।
    কর্তৃত্ববাদী শাসকরা জনগণের সামনে উদারতার বার্তা দিলেও, বাস্তবতায় তাদের শাসন পদ্ধতি হয় কঠোর। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা হলে, জনগণকে শান্ত রাখার জন্য সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দেয় "অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন"। কিন্তু নির্বাচনকালীন সহিংসতা, ভোট কারচুপি এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধের ঘটনা সেই প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় এই চিত্র আরও পরিষ্কার হয়েছে। 1. বিরোধী দলীয় সমাবেশে বাধা: বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুলিশি হস্তক্ষেপ এবং গ্রেফতারের ঘটনা নিয়মিত খবরের শিরোনাম হচ্ছে। 2. মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ: সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সংবাদ চ্যানেল বন্ধ, এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেন্সরশিপ কর্তৃত্ববাদী চর্চার এক সুস্পষ্ট উদাহরণ। 3. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলনীতির পরিপন্থী।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1KB Visualizações 0 Anterior
Páginas impulsionada