• বাংলাদেশে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার আগে, ভ্যাট আরোপের প্রেক্ষাপট এবং এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা দরকার।

    **ভ্যাট আরোপের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট**

    তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল জোগাড় করতে দ্রুত ভ্যাট আরোপের পথে হাঁটছে।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে কর আদায় বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে।

    নতুন ভ্যাটের ধরনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং অন্যান্য জ্বালানিতে ভ্যাট আরোপ। বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। মোবাইল সেবার মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট বৃদ্ধি।

    কর আরোপের ক্ষেত্রে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও রফতানিমুখী শিল্পকে কর ছাড় দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হয়।

    ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো
    মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি:

    ১. **ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    ২. **ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি:
    ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলি ভ্যাটের অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে অক্ষম। অনেক ব্যবসা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।

    ৩. **সামাজিক অস্থিরতা:**
    - ভ্যাট আরোপ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আন্দোলন ও প্রতিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে।
    - ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    ৪. **অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব:**
    - বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যেতে পারে।
    - ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে যায়।

    ---

    ### **সরকারের পক্ষে যুক্তি**
    ১. **রাজস্ব বৃদ্ধি:**
    - সরকারের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নে ভ্যাট বৃদ্ধি অপরিহার্য।

    ২. **অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ:**
    - ভ্যাট বৃদ্ধি করলে করের আওতা বাড়বে এবং অবৈধ ব্যবসা কমবে।

    ৩. **আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ:**
    - IMF ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে কর কাঠামো শক্তিশালী করতে হচ্ছে।

    ---

    ### **সমাধানের পথ**
    ১. **পরিকল্পিত ভ্যাট ব্যবস্থা:**
    - তাড়াহুড়া না করে পর্যায়ক্রমে ভ্যাট আরোপ করা।
    - ভোক্তাদের ওপর সরাসরি চাপ কমিয়ে প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করা।

    ২. **অবৈধ রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা:**
    - বড় করপোরেট ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর আদায় নিশ্চিত করা।
    - কালো টাকা সাদা করার নীতি কঠোরভাবে বাতিল করা।

    ৩. **নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা:**
    - নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমিয়ে রাখা।
    - সামাজিক সুরক্ষা খাত বাড়ানো।

    ৪. **কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ:**
    - ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার উপর ভ্যাটের চাপ কমিয়ে তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
    - বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।

    বর্তমান ভ্যাট আরোপের প্রক্রিয়া যদি তাড়াহুড়া করে করা হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, এবং প্রগতিশীল করনীতি গ্রহণ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

    বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

    ### ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির বিবরণ###

    - **৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:** জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এসব খাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়।

    - **শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:** সরকার সম্প্রতি দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ### ভ্যাট বৃদ্ধির পেছনের কারণ###

    - **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) শর্ত পূরণ:** IMF-এর ঋণ শর্ত পূরণে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ### ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব

    - **ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি:** হোটেল, রেস্তোরাঁ, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়িক খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    - **সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:** নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

    ### সমালোচনা ও সুপারিশ###

    - **ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া:** ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা করেছে।

    - **বেসিসের আহ্বান:** বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।

    সর্বশেষ ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
    বাংলাদেশে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার আগে, ভ্যাট আরোপের প্রেক্ষাপট এবং এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা দরকার। **ভ্যাট আরোপের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট** তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল জোগাড় করতে দ্রুত ভ্যাট আরোপের পথে হাঁটছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে কর আদায় বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে। নতুন ভ্যাটের ধরনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং অন্যান্য জ্বালানিতে ভ্যাট আরোপ। বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। মোবাইল সেবার মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট বৃদ্ধি। কর আরোপের ক্ষেত্রে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও রফতানিমুখী শিল্পকে কর ছাড় দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হয়। ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি: ১. **ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২. **ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলি ভ্যাটের অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে অক্ষম। অনেক ব্যবসা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। ৩. **সামাজিক অস্থিরতা:** - ভ্যাট আরোপ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আন্দোলন ও প্রতিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে। - ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৪. **অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব:** - বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যেতে পারে। - ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে যায়। --- ### **সরকারের পক্ষে যুক্তি** ১. **রাজস্ব বৃদ্ধি:** - সরকারের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নে ভ্যাট বৃদ্ধি অপরিহার্য। ২. **অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ:** - ভ্যাট বৃদ্ধি করলে করের আওতা বাড়বে এবং অবৈধ ব্যবসা কমবে। ৩. **আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ:** - IMF ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে কর কাঠামো শক্তিশালী করতে হচ্ছে। --- ### **সমাধানের পথ** ১. **পরিকল্পিত ভ্যাট ব্যবস্থা:** - তাড়াহুড়া না করে পর্যায়ক্রমে ভ্যাট আরোপ করা। - ভোক্তাদের ওপর সরাসরি চাপ কমিয়ে প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করা। ২. **অবৈধ রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা:** - বড় করপোরেট ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর আদায় নিশ্চিত করা। - কালো টাকা সাদা করার নীতি কঠোরভাবে বাতিল করা। ৩. **নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা:** - নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমিয়ে রাখা। - সামাজিক সুরক্ষা খাত বাড়ানো। ৪. **কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ:** - ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার উপর ভ্যাটের চাপ কমিয়ে তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। - বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। বর্তমান ভ্যাট আরোপের প্রক্রিয়া যদি তাড়াহুড়া করে করা হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, এবং প্রগতিশীল করনীতি গ্রহণ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ### ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির বিবরণ### - **৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:** জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এসব খাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়। - **শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:** সরকার সম্প্রতি দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। ### ভ্যাট বৃদ্ধির পেছনের কারণ### - **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) শর্ত পূরণ:** IMF-এর ঋণ শর্ত পূরণে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ### ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব - **ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি:** হোটেল, রেস্তোরাঁ, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়িক খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। - **সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:** নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ### সমালোচনা ও সুপারিশ### - **ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া:** ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা করেছে। - **বেসিসের আহ্বান:** বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। সর্বশেষ ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর নয়। দেশটির অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোর থেকেও অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির একটি অনলাইন প্রতিবেদন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের অচলাবস্থামার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ঢোকার চেষ্টা করলে একটি বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে
    জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর নয়। দেশটির অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোর থেকেও অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির একটি অনলাইন প্রতিবেদন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের অচলাবস্থামার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ঢোকার চেষ্টা করলে একটি বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে
    EYENEWSBD.COM
    যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ টিকটক: চমকপ্রদ কারণ ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা - Eye News BD
    জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর নয়। দেশটির অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোর থেকেও অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির একটি অনলাইন প্রতিবেদন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের অচলাবস্থামার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ঢোকার চেষ্টা করলে একটি বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে লে
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরে বর্ষবরণ উদযাপন রক্তাক্ত হামলার শিকার হয়েছে। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারের প্রাণকেন্দ্রে ভিড়ের মধ্যে একটি পিকআপ ট্রাক চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে পৌঁছেছে। শহরের প্রধান চিকিৎসক ডোয়াইট ম্যাককেনা বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ঘটনার বিবরণ
    বুধবার রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি পিকআপ ট্রাকটি জনসমাগমের মধ্যে চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সন্দেহভাজন হামলাকারী শামসুদ-দীন জব্বার (৪২), যিনি টেক্সাসের বাসিন্দা এবং একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। হামলার পরপরই ট্রাক চালকও মৃত্যুবরণ করেন, তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা।

    প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত
    লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি এই বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয়দের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিউ অরলিন্সের মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।

    পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ঘটনার গভীরে তদন্ত শুরু করেছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে ময়নাতদন্ত চলছে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

    শহরে শোকের ছায়া
    এই ঘটনার পর নিউ অরলিন্সে উৎসবের পরিবেশ থমকে গেছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।

    এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

    বিশ্ববাসীর কাছে একবার নয়, বারবার প্রমাণিত হচ্ছে—উৎসবের মুহূর্তেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক থাকা কতটা জরুরি।
    যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরে বর্ষবরণ উদযাপন রক্তাক্ত হামলার শিকার হয়েছে। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারের প্রাণকেন্দ্রে ভিড়ের মধ্যে একটি পিকআপ ট্রাক চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে পৌঁছেছে। শহরের প্রধান চিকিৎসক ডোয়াইট ম্যাককেনা বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার বিবরণ বুধবার রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি পিকআপ ট্রাকটি জনসমাগমের মধ্যে চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সন্দেহভাজন হামলাকারী শামসুদ-দীন জব্বার (৪২), যিনি টেক্সাসের বাসিন্দা এবং একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। হামলার পরপরই ট্রাক চালকও মৃত্যুবরণ করেন, তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি এই বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয়দের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিউ অরলিন্সের মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ঘটনার গভীরে তদন্ত শুরু করেছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে ময়নাতদন্ত চলছে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শহরে শোকের ছায়া এই ঘটনার পর নিউ অরলিন্সে উৎসবের পরিবেশ থমকে গেছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে। এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্ববাসীর কাছে একবার নয়, বারবার প্রমাণিত হচ্ছে—উৎসবের মুহূর্তেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক থাকা কতটা জরুরি।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 7KB Visualizações 0 Anterior
  • ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
    ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিদেশযাত্রার আলোচনা শুরু হয়। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় বিদেশ গমনের দিনক্ষণ জানা গেলেও সেটা পিছিয়ে যায়। এবার জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারী লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।

    গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থগিত করতে হয় এটি।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন।

    যার মধ্যে রয়েছেন—বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।

    এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
    ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিদেশযাত্রার আলোচনা শুরু হয়। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় বিদেশ গমনের দিনক্ষণ জানা গেলেও সেটা পিছিয়ে যায়। এবার জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারী লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থগিত করতে হয় এটি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। যার মধ্যে রয়েছেন—বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার। এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 3KB Visualizações 0 Anterior
  • অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও দেশের কৃতি আইনজ্ঞ এ এফ হাসান আরিফ এর মৃত্যুতে আমি তাঁর শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আইনবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে দেশে শুণ্যতার সৃষ্টি হলো। আইন পেশায় তাঁর অবদান সহকর্মী ও উত্তরপ্রজন্মের আইনজীবীদের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। আইনের শাসনের ভাবনায় তাঁর অভিমত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

    আমি এ এফ হাসান আরিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও দেশের কৃতি আইনজ্ঞ এ এফ হাসান আরিফ এর মৃত্যুতে আমি তাঁর শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আইনবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে দেশে শুণ্যতার সৃষ্টি হলো। আইন পেশায় তাঁর অবদান সহকর্মী ও উত্তরপ্রজন্মের আইনজীবীদের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। আইনের শাসনের ভাবনায় তাঁর অভিমত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি এ এফ হাসান আরিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 3KB Visualizações 0 Anterior
  • এখন পুলিশ প্রটেকশনে ওয়াজ করছেন ধর্ম উপদেষ্টা! হাহাহা...৷ একজন আমাকে পাঠাল। এটা কক্সবাজারে। সপ্তাহে দুই দিন অফিস করে আর বাকি দিনগুলোতে ওয়াজ-মাহফিল করা তার এখনকার রুটিন।
    এখন পুলিশ প্রটেকশনে ওয়াজ করছেন ধর্ম উপদেষ্টা! হাহাহা...৷ একজন আমাকে পাঠাল। এটা কক্সবাজারে। সপ্তাহে দুই দিন অফিস করে আর বাকি দিনগুলোতে ওয়াজ-মাহফিল করা তার এখনকার রুটিন।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    এ সময় প্রশ্ন রেখে শফিকুল আলম বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার চেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কি হতে পারে?

    তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে টেক্সট রেশনালাইজেশন করা হবে। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ রাখা হবে। যাতে আরও যুগোপযোগী হয়। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনকে যুগোপযোগী করা হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে সরকারের।

    প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি খুব হালনাগাদ করা হয়নি। এগুলো আরও হালনাগাদ করতে কাজ হচ্ছে।

    দেশের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতে কম্পিটিশন করতে পারে, সে রকম একটি মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চায় সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এজন্য শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হবে।

    শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিষয় অনেকাংশে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা কমিশন করা না হলেও অল্প সময়ে শিক্ষা খাতে যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব, তেমন কাজ করছে সরকার।
    জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় প্রশ্ন রেখে শফিকুল আলম বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার চেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কি হতে পারে? তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে টেক্সট রেশনালাইজেশন করা হবে। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ রাখা হবে। যাতে আরও যুগোপযোগী হয়। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনকে যুগোপযোগী করা হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে সরকারের। প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি খুব হালনাগাদ করা হয়নি। এগুলো আরও হালনাগাদ করতে কাজ হচ্ছে। দেশের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতে কম্পিটিশন করতে পারে, সে রকম একটি মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চায় সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এজন্য শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হবে। শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিষয় অনেকাংশে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা কমিশন করা না হলেও অল্প সময়ে শিক্ষা খাতে যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব, তেমন কাজ করছে সরকার।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 4KB Visualizações 0 Anterior
  • পেছনে ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে এখন ভাবনা নেই পরীমণির। সেগুলো নিয়ে আর ভাবতেও চান না তিনি। পরীমণি বলেন, আমার জীবনে যা ঘটেছে তাতে আমার পাগল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি তা হইনি। অনেকেই আমাকে বলেন, আমি এতটা শক্ত থাকি কীভাবে? এর উত্তর আমার কাছে নেই। কারণ, আমি জীবনকে অনেক সহজ করে দেখি। এটাকে কখনো জটিল করে ভাবি না। আমি বাঁচতে খুব ভালোবাসি। সেই সঙ্গে আমার জীবনকে অনেক ভালোবাসি। আমার মনে হয়, যিনি জীবন ভালোবাসেন তাকে এগিয়ে যেতে হয়। আমি সেটাই করছি।


    পেছনে ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে এখন ভাবনা নেই পরীমণির। সেগুলো নিয়ে আর ভাবতেও চান না তিনি। পরীমণি বলেন, আমার জীবনে যা ঘটেছে তাতে আমার পাগল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি তা হইনি। অনেকেই আমাকে বলেন, আমি এতটা শক্ত থাকি কীভাবে? এর উত্তর আমার কাছে নেই। কারণ, আমি জীবনকে অনেক সহজ করে দেখি। এটাকে কখনো জটিল করে ভাবি না। আমি বাঁচতে খুব ভালোবাসি। সেই সঙ্গে আমার জীবনকে অনেক ভালোবাসি। আমার মনে হয়, যিনি জীবন ভালোবাসেন তাকে এগিয়ে যেতে হয়। আমি সেটাই করছি।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • মাফ করে দিয়েন, আমাদের শেষ দেখা হলোই না: পরীমণি

    না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’র পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    নির্মাতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। এদিকে প্রথম সিনেমার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি।

    রোববার (২৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্মাতার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

    ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনিও….মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’

    পরীমণি ফেসবুকে পোস্টটি দেওয়া মাত্রই ১৩ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক। আরেকজন লেখেন, আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুক আমিন।

    প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তি পায় শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এতে জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পরীমণি। এ ছাড়া সিনেমায় আরও রয়েছেন, আনিসুর রহমান মিলন, পরীমণি, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াৎ, মিজু আহমেদ, রেবেকা প্রমুখ।
    মাফ করে দিয়েন, আমাদের শেষ দেখা হলোই না: পরীমণি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’র পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নির্মাতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। এদিকে প্রথম সিনেমার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি। রোববার (২৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্মাতার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনিও….মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’ পরীমণি ফেসবুকে পোস্টটি দেওয়া মাত্রই ১৩ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক। আরেকজন লেখেন, আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুক আমিন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তি পায় শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এতে জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পরীমণি। এ ছাড়া সিনেমায় আরও রয়েছেন, আনিসুর রহমান মিলন, পরীমণি, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াৎ, মিজু আহমেদ, রেবেকা প্রমুখ।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 2KB Visualizações 0 Anterior
  • পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

    ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

    অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে।

    ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য।

    সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা।

    শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন।

    এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে।

    মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত?
    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়! ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা। শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন। এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে। মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত?
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 3KB Visualizações 0 Anterior
  • বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টার বার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
    ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন।

    ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি” প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারেই ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে যদি এর সঙ্গে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন যুক্ত হয়, তাহলে নির্বাচন আরও ছয় মাস বিলম্বিত হতে পারে।

    তিনি নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন, “প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।”

    ড. ইউনূসের মতে, নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের শেষের দিক। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের প্রধান কাজ হবে ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা।

    কোথায় সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান হবে?
    ড. ইউনূস জানান, গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন, যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

    তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এবার গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদান স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।”

    কেন এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ?
    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নতুন কমিশনের কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।

    কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া?
    ড. ইউনূস তার ভাষণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে:

    ১ঃ ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে হবে।
    ২ঃ নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
    ৩ঃ ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
    ৪ঃ প্রথমবারের ভোটারদের অভিজ্ঞতা মসৃণ ও ইতিবাচক করতে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
    ৫ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ভাষণ একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়, যেখানে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য, নতুন ভোটারদের সম্পৃক্ততা, এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তার কথায় স্পষ্ট যে, নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের একটি সুযোগ।

    ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার দেওয়া পরিকল্পনা কেবল সময়োপযোগী নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রক্রিয়ায় কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং জাতি কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে।

    বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই আশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে, আমরা কতটা সঠিক পথে এগোচ্ছি।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টার বার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন। ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি” প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারেই ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে যদি এর সঙ্গে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন যুক্ত হয়, তাহলে নির্বাচন আরও ছয় মাস বিলম্বিত হতে পারে। তিনি নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন, “প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।” ড. ইউনূসের মতে, নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের শেষের দিক। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের প্রধান কাজ হবে ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা। কোথায় সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান হবে? ড. ইউনূস জানান, গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন, যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এবার গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদান স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।” কেন এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নতুন কমিশনের কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া? ড. ইউনূস তার ভাষণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে: ১ঃ ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে হবে। ২ঃ নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৩ঃ ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। ৪ঃ প্রথমবারের ভোটারদের অভিজ্ঞতা মসৃণ ও ইতিবাচক করতে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ৫ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ভাষণ একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়, যেখানে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য, নতুন ভোটারদের সম্পৃক্ততা, এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তার কথায় স্পষ্ট যে, নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের একটি সুযোগ। ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার দেওয়া পরিকল্পনা কেবল সময়োপযোগী নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রক্রিয়ায় কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং জাতি কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই আশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে, আমরা কতটা সঠিক পথে এগোচ্ছি। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 5KB Visualizações 0 Anterior
  • কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন: এক মহানায়কের বিদায়

    বিশ্বসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, তবলাবাদকের কিংবদন্তি ওস্তাদ জাকির হোসেন আমাদের মাঝে আর নেই। ৭৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর পরিবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নিশ্চিত করেছে এই বিষাদময় সংবাদ। হৃদরোগ এবং ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে টানা দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন।

    সংগীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি
    ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বাইয়ের মাহিম এলাকায় জন্ম নেওয়া জাকির হোসেন সংগীতের প্রতি ভালোবাসা পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তাঁর বাবা, বিশ্ববিখ্যাত তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা, তাঁকে শৈশবেই সংগীতের মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মৃদঙ্গ বাজানোর হাতেখড়ি এবং ১২ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে তবলা বাজানোর মাধ্যমে তাঁর সংগীতজীবন শুরু। তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

    আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়
    জাকির হোসেনের ছন্দময় তবলার বোল কেবল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি চারবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এবং সাতবার মনোনীত হয়েছেন। ২০২৪ সালেও তিনি তিনটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন, যা প্রমাণ করে যে তাঁর প্রতিভা কখনো ম্লান হয়নি।

    জীবনের শেষ অধ্যায়
    জাকির হোসেন কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। হৃদরোগ ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁর প্রয়াণ সংগীতজগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।

    জাকির হোসেনের কৃতিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
    ওস্তাদ জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এক আবেগঘন বার্তায় বলেন, "জাকির হোসেনজির তবলার বোল সর্বজনীন। ভাষা, সীমানা, সংস্কৃতি এবং প্রজন্ম অতিক্রম করে কথা বলে। তাঁর ছন্দের শব্দ ও কম্পন চিরকাল আমাদের হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে।"

    এক অনুপ্রেরণার নাম
    জাকির হোসেন শুধুই এক কিংবদন্তি তবলাবাদক নন, তিনি ছিলেন সংগীতপ্রেমীদের জন্য এক অমর অনুপ্রেরণা। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং ছন্দময়তার জন্য তিনি সবার মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তাঁর চলে যাওয়া সংগীত জগতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেও তাঁর ছন্দের প্রতিধ্বনি থেকে যাবে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল।

    ওস্তাদ জাকির হোসেন, সংগীত জগতের এক আলোকবর্তিকা, আমরা আপনাকে হারালেও আপনার সৃষ্টিকে চিরকাল স্মরণ করব। ওম শান্তি।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন: এক মহানায়কের বিদায় বিশ্বসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, তবলাবাদকের কিংবদন্তি ওস্তাদ জাকির হোসেন আমাদের মাঝে আর নেই। ৭৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর পরিবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নিশ্চিত করেছে এই বিষাদময় সংবাদ। হৃদরোগ এবং ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে টানা দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন। সংগীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বাইয়ের মাহিম এলাকায় জন্ম নেওয়া জাকির হোসেন সংগীতের প্রতি ভালোবাসা পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তাঁর বাবা, বিশ্ববিখ্যাত তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা, তাঁকে শৈশবেই সংগীতের মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মৃদঙ্গ বাজানোর হাতেখড়ি এবং ১২ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে তবলা বাজানোর মাধ্যমে তাঁর সংগীতজীবন শুরু। তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয় জাকির হোসেনের ছন্দময় তবলার বোল কেবল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি চারবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এবং সাতবার মনোনীত হয়েছেন। ২০২৪ সালেও তিনি তিনটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন, যা প্রমাণ করে যে তাঁর প্রতিভা কখনো ম্লান হয়নি। জীবনের শেষ অধ্যায় জাকির হোসেন কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। হৃদরোগ ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁর প্রয়াণ সংগীতজগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। জাকির হোসেনের কৃতিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ওস্তাদ জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এক আবেগঘন বার্তায় বলেন, "জাকির হোসেনজির তবলার বোল সর্বজনীন। ভাষা, সীমানা, সংস্কৃতি এবং প্রজন্ম অতিক্রম করে কথা বলে। তাঁর ছন্দের শব্দ ও কম্পন চিরকাল আমাদের হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে।" এক অনুপ্রেরণার নাম জাকির হোসেন শুধুই এক কিংবদন্তি তবলাবাদক নন, তিনি ছিলেন সংগীতপ্রেমীদের জন্য এক অমর অনুপ্রেরণা। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং ছন্দময়তার জন্য তিনি সবার মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তাঁর চলে যাওয়া সংগীত জগতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেও তাঁর ছন্দের প্রতিধ্বনি থেকে যাবে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল। ওস্তাদ জাকির হোসেন, সংগীত জগতের এক আলোকবর্তিকা, আমরা আপনাকে হারালেও আপনার সৃষ্টিকে চিরকাল স্মরণ করব। ওম শান্তি। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 4KB Visualizações 0 Anterior
Páginas impulsionada