• পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

    ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

    অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে।

    ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য।

    সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা।

    শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন।

    এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে।

    মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত?
    পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়! ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা। শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন। এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে। মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত?
    0 Reacties 0 aandelen 3K Views 0 voorbeeld
  • বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ

    সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তরুণ ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে মুরুব্বি হিসেবে সব সময় সামনে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি দেশের সুশীল সমাজ ও ছাত্রদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবনা, নৈতিক অবস্থান এবং সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তাঁকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় করে তুলেছে।

    কে এই আসিফ নজরুল?
    ১৯৬৬ সালের ১২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া আসিফ নজরুল একজন বহু-গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তাঁর জন্মসূত্রে নাম মোঃ নজরুল ইসলাম। সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে তাঁর প্রতিশ্রুতি তাঁকে এক স্বতন্ত্র উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

    শিক্ষাজীবন: শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা
    আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS) থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। জার্মানির বন শহরে ইনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে পোস্ট-ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন তাঁর শিক্ষাগত কৃতিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

    কর্মজীবন: শিক্ষক থেকে জাতীয় মুখপাত্র
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পূর্বে আসিফ নজরুল ‘বিচিত্রা’ এবং ‘সাপ্তাহিক ২০০০’-এ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর সাংবাদিকতার সময় থেকেই তিনি স্পষ্টভাষী এবং সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কাজের পরিধি শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়; বিবিসি, সিএনএন এবং আল জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও তিনি সমাদৃত।

    লেখক পরিচিতি: কলমের সাহসী যোদ্ধা
    আসিফ নজরুলের কলম সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘১/১১ সুশাসন বিতর্ক’, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার: জাহানারা ইমামের চিঠি’, ‘আওয়ামী লীগের শাসনকাল’ এবং ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২: গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন, যেমন ‘নিষিদ্ধ কয়েকজন’, ‘ক্যাম্পাসের যুবক’, ‘পাপ’ এবং ‘অন্য আলোর দিন’। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘পিএইচডির গল্প’ তরুণ গবেষকদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

    সাহসী পদক্ষেপ এবং সমালোচনার মুখোমুখি
    সত্যের পক্ষে কথা বলার কারণে আসিফ নজরুল বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১২ সালে একটি টেলিভিশন টক-শোতে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্ট তাঁকে তলব করে। ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে আগুন দেওয়া হয়। এমনকি তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাঁর নৈতিক অবস্থানকে টলাতে পারেনি।

    ব্যক্তিগত জীবন: শৈল্পিক বন্ধন
    ব্যক্তিজীবনে আসিফ নজরুল জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কন্যা শীলা আহমেদের স্বামী। তাদের বন্ধন শৈল্পিক এবং চিন্তাশীল এক জীবনধারার প্রতীক।

    কেন তিনি আজকের সময়ের আইকন?
    বর্তমান সময়ে যখন সুশীল সমাজের নীরবতা এবং ভীতিপ্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তখন আসিফ নজরুল সাহসিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন; তিনি এক আদর্শ, এক অনুপ্রেরণা। তাঁর চিন্তাধারা, লেখনী এবং সাহসী অবস্থান আমাদের বুঝিয়ে দেয় কীভাবে একজন মানুষ সমাজকে বদলে দিতে পারেন।

    ড. আসিফ নজরুল কেবল একজন ব্যক্তি নন; তিনি এক আন্দোলন, এক দর্শন এবং এক প্রজন্মের স্বপ্ন। তাঁকে আরও জানুন, তাঁর বই পড়ুন, তাঁর বক্তব্য শুনুন – কারণ তিনি আমাদের সময়ের একজন সত্যিকারের নায়ক।
    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নাম ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তরুণ ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে মুরুব্বি হিসেবে সব সময় সামনে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি দেশের সুশীল সমাজ ও ছাত্রদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবনা, নৈতিক অবস্থান এবং সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তাঁকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় করে তুলেছে। কে এই আসিফ নজরুল? ১৯৬৬ সালের ১২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া আসিফ নজরুল একজন বহু-গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তাঁর জন্মসূত্রে নাম মোঃ নজরুল ইসলাম। সাহসী রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে তাঁর প্রতিশ্রুতি তাঁকে এক স্বতন্ত্র উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষাজীবন: শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS) থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। জার্মানির বন শহরে ইনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে পোস্ট-ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন তাঁর শিক্ষাগত কৃতিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। কর্মজীবন: শিক্ষক থেকে জাতীয় মুখপাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পূর্বে আসিফ নজরুল ‘বিচিত্রা’ এবং ‘সাপ্তাহিক ২০০০’-এ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর সাংবাদিকতার সময় থেকেই তিনি স্পষ্টভাষী এবং সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কাজের পরিধি শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়; বিবিসি, সিএনএন এবং আল জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও তিনি সমাদৃত। লেখক পরিচিতি: কলমের সাহসী যোদ্ধা আসিফ নজরুলের কলম সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘১/১১ সুশাসন বিতর্ক’, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার: জাহানারা ইমামের চিঠি’, ‘আওয়ামী লীগের শাসনকাল’ এবং ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২: গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন, যেমন ‘নিষিদ্ধ কয়েকজন’, ‘ক্যাম্পাসের যুবক’, ‘পাপ’ এবং ‘অন্য আলোর দিন’। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘পিএইচডির গল্প’ তরুণ গবেষকদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। সাহসী পদক্ষেপ এবং সমালোচনার মুখোমুখি সত্যের পক্ষে কথা বলার কারণে আসিফ নজরুল বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১২ সালে একটি টেলিভিশন টক-শোতে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্ট তাঁকে তলব করে। ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে আগুন দেওয়া হয়। এমনকি তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাঁর নৈতিক অবস্থানকে টলাতে পারেনি। ব্যক্তিগত জীবন: শৈল্পিক বন্ধন ব্যক্তিজীবনে আসিফ নজরুল জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কন্যা শীলা আহমেদের স্বামী। তাদের বন্ধন শৈল্পিক এবং চিন্তাশীল এক জীবনধারার প্রতীক। কেন তিনি আজকের সময়ের আইকন? বর্তমান সময়ে যখন সুশীল সমাজের নীরবতা এবং ভীতিপ্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তখন আসিফ নজরুল সাহসিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন; তিনি এক আদর্শ, এক অনুপ্রেরণা। তাঁর চিন্তাধারা, লেখনী এবং সাহসী অবস্থান আমাদের বুঝিয়ে দেয় কীভাবে একজন মানুষ সমাজকে বদলে দিতে পারেন। ড. আসিফ নজরুল কেবল একজন ব্যক্তি নন; তিনি এক আন্দোলন, এক দর্শন এবং এক প্রজন্মের স্বপ্ন। তাঁকে আরও জানুন, তাঁর বই পড়ুন, তাঁর বক্তব্য শুনুন – কারণ তিনি আমাদের সময়ের একজন সত্যিকারের নায়ক। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Reacties 0 aandelen 3K Views 0 voorbeeld

  • ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
    ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
    পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

    আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
    পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।




    মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি

    ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
    মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
    বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
    0 Reacties 0 aandelen 4K Views 0 voorbeeld
  • অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক ৯ মন্ত্রী-এমপি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে নতুন কমিশনের প্রথম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    যাদের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম, তাঁর স্ত্রী মমতাজ মনু, মেয়ে সামিয়া ইব্রাহিম, ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল, লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, তাঁর স্ত্রী জাহানারা আরজু, মেয়ে লাবিবা ফাইরম্নজ চৌধুরী, ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নূর নবী চৌধুরী শাওন, তাঁর স্ত্রী ফারজাহান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহির, তাঁর স্ত্রী আলেয়া আক্তার, ছেলে মো. ইফাত জামিল, সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তাঁর স্ত্রী সিলভিয়া পারভিন, ছেলে সাদমান শাহরিয়ার ও আহনাফ শাহরিয়ার, সাবেক এমপি বাহা উদ্দিন বাহার, তাঁর মেয়ে তাসনিম বাহার সূচনা, সাবেক এমপি আমির হাসেন আমু, তাঁর পালিত কন্যা সুমাইয়া, পিএ ফররম্নখ মজিদ মাহমুদ কিরণ, কিরণের স্ত্রী রাফেজা মজিদ এবং হোটেল রিজেন্সি এমডি কবির রেজা, ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন।

    এ ছাড়া এর আগে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৭ জনের নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আদালতে এই আবেদনও করা হবে।
    অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক ৯ মন্ত্রী-এমপি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে নতুন কমিশনের প্রথম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম, তাঁর স্ত্রী মমতাজ মনু, মেয়ে সামিয়া ইব্রাহিম, ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল, লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, তাঁর স্ত্রী জাহানারা আরজু, মেয়ে লাবিবা ফাইরম্নজ চৌধুরী, ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নূর নবী চৌধুরী শাওন, তাঁর স্ত্রী ফারজাহান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহির, তাঁর স্ত্রী আলেয়া আক্তার, ছেলে মো. ইফাত জামিল, সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তাঁর স্ত্রী সিলভিয়া পারভিন, ছেলে সাদমান শাহরিয়ার ও আহনাফ শাহরিয়ার, সাবেক এমপি বাহা উদ্দিন বাহার, তাঁর মেয়ে তাসনিম বাহার সূচনা, সাবেক এমপি আমির হাসেন আমু, তাঁর পালিত কন্যা সুমাইয়া, পিএ ফররম্নখ মজিদ মাহমুদ কিরণ, কিরণের স্ত্রী রাফেজা মজিদ এবং হোটেল রিজেন্সি এমডি কবির রেজা, ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন। এ ছাড়া এর আগে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৭ জনের নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আদালতে এই আবেদনও করা হবে।
    0 Reacties 0 aandelen 2K Views 0 voorbeeld
  • ‘আমরা সামরিক ট্রেনিং দেব যেন প্রত্যেক ছাত্র রাইফেল চালাতে জানে’
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, যুদ্ধ যদি তারা (ভারত) শুরু করে তাহলে এই যুদ্ধ তাদের দেশে গিয়েই শেষ হবে।

    তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি বাংলাদেশি নাগরিককে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করব যুদ্ধের জন্য। প্রত্যেকটি ছাত্র যেন রাইফেল চালাতে জানে। সামান্য ফিল্ডক্রাফট মিলিটারি ট্রেনিং আমরা তাদের দেব। যাতে করে কেউ যেন আমাদের দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকাতে না পারে। আমরা যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছি; চিরকাল জয়ী হবে বাংলাদেশ।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ভারত সরকার ও তাদের গণমাধ্যমের অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের জাতির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে গেলে বারবার তাদেরকে চিন্তা করতে হবে। যত বড় শক্তিই হোক- আরে ভারততো কিছুই না এর থেকে বড় শক্তিও যদি আসে তাহলেও বাংলাদেশকে পদানত করতে পারবে না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন এক বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা সৃষ্টি করবো। যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ কোনো কটাক্ষ করতে পারবে না। কোনো ভারতীয় দালাল বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। এখন আর কথা বলার সময় নাই, এখন একশনে যাওয়ার সময়।


    বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে। যেমন ৫ আগস্টের পরে অনেক জাতীয়তাবাদীর সৈনিক তৈরি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ৭১ সালে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ না করেও রাজাকারদের সঙ্গে ছবি তোলে পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম লিখিয়েছে। এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম জানবে কি না, আমার জানা নেই।

    তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা (ভারত) আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু এরা যে কখন বন্ধু, কখন শত্রু এটা বুঝতে হলে আমাদেরকে আরও কয়েকশ বছর বাঁচতে হবে। তারা এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদেরকে দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল হয় তারা (ভারত) শুধু তাদেরকেই আশ্রয় দেয়। ভারত শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে; এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক হবে না।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

    সমাবেশ শেষে তারা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তোপখানা সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
    ‘আমরা সামরিক ট্রেনিং দেব যেন প্রত্যেক ছাত্র রাইফেল চালাতে জানে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, যুদ্ধ যদি তারা (ভারত) শুরু করে তাহলে এই যুদ্ধ তাদের দেশে গিয়েই শেষ হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি বাংলাদেশি নাগরিককে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করব যুদ্ধের জন্য। প্রত্যেকটি ছাত্র যেন রাইফেল চালাতে জানে। সামান্য ফিল্ডক্রাফট মিলিটারি ট্রেনিং আমরা তাদের দেব। যাতে করে কেউ যেন আমাদের দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকাতে না পারে। আমরা যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছি; চিরকাল জয়ী হবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ভারত সরকার ও তাদের গণমাধ্যমের অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের জাতির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে গেলে বারবার তাদেরকে চিন্তা করতে হবে। যত বড় শক্তিই হোক- আরে ভারততো কিছুই না এর থেকে বড় শক্তিও যদি আসে তাহলেও বাংলাদেশকে পদানত করতে পারবে না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন এক বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা সৃষ্টি করবো। যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ কোনো কটাক্ষ করতে পারবে না। কোনো ভারতীয় দালাল বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। এখন আর কথা বলার সময় নাই, এখন একশনে যাওয়ার সময়। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে। যেমন ৫ আগস্টের পরে অনেক জাতীয়তাবাদীর সৈনিক তৈরি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ৭১ সালে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ না করেও রাজাকারদের সঙ্গে ছবি তোলে পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম লিখিয়েছে। এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম জানবে কি না, আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা (ভারত) আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু এরা যে কখন বন্ধু, কখন শত্রু এটা বুঝতে হলে আমাদেরকে আরও কয়েকশ বছর বাঁচতে হবে। তারা এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদেরকে দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল হয় তারা (ভারত) শুধু তাদেরকেই আশ্রয় দেয়। ভারত শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে; এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক হবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তোপখানা সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
    0 Reacties 0 aandelen 904 Views 0 voorbeeld
  • ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা
    আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “জুলাই আগস্ট মাসে গণহত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি জানতেন এবং এসব বাস্তবায়ন করতে সরাসরি তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

    মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “গণহত্যা চলাকালে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে সারা পৃথিবীর থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। তিনি দেশে সংঘটিত গণহত্যার তথ্য প্রকাশে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এতোবড় অপরাধকে বিশ্ব থেকে আড়াল করতে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে তাকে কে-বা কারা নির্দেশ দিয়েছেন বা করা এর সঙ্গে জড়িত, সেটি জানার জন্যও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

    এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

    সেদিন প্রথমবারের মত ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছিলেন পলক। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পলকসহ সেই সাবেক নয় মন্ত্রীকে আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
    ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই আগস্ট মাসে গণহত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি জানতেন এবং এসব বাস্তবায়ন করতে সরাসরি তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “গণহত্যা চলাকালে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে সারা পৃথিবীর থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। তিনি দেশে সংঘটিত গণহত্যার তথ্য প্রকাশে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এতোবড় অপরাধকে বিশ্ব থেকে আড়াল করতে, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে তাকে কে-বা কারা নির্দেশ দিয়েছেন বা করা এর সঙ্গে জড়িত, সেটি জানার জন্যও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সেদিন প্রথমবারের মত ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছিলেন পলক। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পলকসহ সেই সাবেক নয় মন্ত্রীকে আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
    0 Reacties 0 aandelen 1K Views 0 voorbeeld
  • কেন আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন?
    আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিক

    মানুষের সৃষ্টির কারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাত্ত্বিক, ধর্মীয় এবং দার্শনিক আলোচনা চলে আসছে। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ তাআলা মানুষকে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এই উদ্দেশ্য কেবল মানব জীবনের রহস্য নয়, বরং সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টি জগতের সম্পর্কের গভীর তাৎপর্য বহন করে।

    কুরআনের আলোকে মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্য
    পবিত্র কুরআনে মানুষের সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন:

    "আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য।"
    (সূরা আদ-ধারিয়াত: ৫৬)

    এখানে ইবাদতের অর্থ কেবল উপাসনা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা। মানুষকে সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হলো:

    ইবাদত করা:
    আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং আনুগত্য প্রকাশ করা।
    পরীক্ষা:
    মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।
    খলিফা হওয়া:
    পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা।
    মানুষের সৃষ্টিতে আল্লাহর করুণা ও জ্ঞান
    আল্লাহর ইচ্ছা ও জ্ঞানের পরিপূর্ণ প্রকাশ হলো মানুষের সৃষ্টি। তিনি মানুষকে জ্ঞান, বিবেক, এবং স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন, যা তাকে অন্য সৃষ্টির তুলনায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।

    জ্ঞান ও পরীক্ষা:
    আল্লাহ তাআলা মানুষকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা দিয়েছেন। এই ক্ষমতা দিয়ে তিনি মানুষকে পরীক্ষা করেন, তারা ভালো কাজ করে কিনা।

    সামাজিক জীবন:
    মানুষ সামাজিক জীব। আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে জীবনযাপন করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।

    পৃথিবীতে মানুষের ভূমিকা
    মানুষকে সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাকে পৃথিবীতে খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

    ১. পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ:
    পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ ও পরিবেশের প্রতি যত্ন নেওয়া মানুষের দায়িত্ব।

    ২. ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা:
    মানুষের কাজ হলো সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।

    দার্শনিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ
    অনেকে বিশ্বাস করেন, মানুষ সৃষ্টির পেছনে আরও গভীর তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে।

    আত্মউন্নয়ন:
    মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্য তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করা।

    পরার্থপরতা:
    মানুষকে সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ একটি নীতিবাক্য দিয়েছেন: "নিজের জন্য যা চাও, অন্যের জন্যও তা চাও।"

    উপসংহার
    মানুষের সৃষ্টি আল্লাহর মহত্ব ও করুণার প্রমাণ। তিনি মানুষকে শুধু তার উপাসনার জন্য সৃষ্টি করেননি, বরং পৃথিবীতে দায়িত্ব পালন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, এবং জীবনের পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ মানুষের মধ্যে যে গুণাবলি দিয়েছেন, তা তাকে শুধু পৃথিবীর একজন সত্তা নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীব হিসেবে উন্নত করে।

    মানুষের জন্য প্রয়োজন, সে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য বুঝে সঠিক পথে চলার চেষ্টা করে।


    #আল্লাহ #মানবসৃষ্টি #ইসলাম #ইবাদত #খলিফা #আধ্যাত্মিকতা #ন্যায় #কুরআন #দার্শনিকবিশ্লেষণ #জীবনেরউদ্দেশ্য
    কেন আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন? আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও সাংবাদিক মানুষের সৃষ্টির কারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাত্ত্বিক, ধর্মীয় এবং দার্শনিক আলোচনা চলে আসছে। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ তাআলা মানুষকে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এই উদ্দেশ্য কেবল মানব জীবনের রহস্য নয়, বরং সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টি জগতের সম্পর্কের গভীর তাৎপর্য বহন করে। কুরআনের আলোকে মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্য পবিত্র কুরআনে মানুষের সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন: "আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য।" (সূরা আদ-ধারিয়াত: ৫৬) এখানে ইবাদতের অর্থ কেবল উপাসনা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা। মানুষকে সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হলো: ইবাদত করা: আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং আনুগত্য প্রকাশ করা। পরীক্ষা: মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। খলিফা হওয়া: পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা। মানুষের সৃষ্টিতে আল্লাহর করুণা ও জ্ঞান আল্লাহর ইচ্ছা ও জ্ঞানের পরিপূর্ণ প্রকাশ হলো মানুষের সৃষ্টি। তিনি মানুষকে জ্ঞান, বিবেক, এবং স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন, যা তাকে অন্য সৃষ্টির তুলনায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। জ্ঞান ও পরীক্ষা: আল্লাহ তাআলা মানুষকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা দিয়েছেন। এই ক্ষমতা দিয়ে তিনি মানুষকে পরীক্ষা করেন, তারা ভালো কাজ করে কিনা। সামাজিক জীবন: মানুষ সামাজিক জীব। আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে জীবনযাপন করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে মানুষের ভূমিকা মানুষকে সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাকে পৃথিবীতে খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। ১. পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ: পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ ও পরিবেশের প্রতি যত্ন নেওয়া মানুষের দায়িত্ব। ২. ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা: মানুষের কাজ হলো সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। দার্শনিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ অনেকে বিশ্বাস করেন, মানুষ সৃষ্টির পেছনে আরও গভীর তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। আত্মউন্নয়ন: মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্য তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করা। পরার্থপরতা: মানুষকে সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ একটি নীতিবাক্য দিয়েছেন: "নিজের জন্য যা চাও, অন্যের জন্যও তা চাও।" উপসংহার মানুষের সৃষ্টি আল্লাহর মহত্ব ও করুণার প্রমাণ। তিনি মানুষকে শুধু তার উপাসনার জন্য সৃষ্টি করেননি, বরং পৃথিবীতে দায়িত্ব পালন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, এবং জীবনের পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ মানুষের মধ্যে যে গুণাবলি দিয়েছেন, তা তাকে শুধু পৃথিবীর একজন সত্তা নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীব হিসেবে উন্নত করে। মানুষের জন্য প্রয়োজন, সে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য বুঝে সঠিক পথে চলার চেষ্টা করে। #আল্লাহ #মানবসৃষ্টি #ইসলাম #ইবাদত #খলিফা #আধ্যাত্মিকতা #ন্যায় #কুরআন #দার্শনিকবিশ্লেষণ #জীবনেরউদ্দেশ্য
    0 Reacties 0 aandelen 3K Views 0 voorbeeld
  • ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ পরিবার রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার বাংলার জমিনে আর রাজনীতি করতে পারবে না।’
    ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ পরিবার রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার বাংলার জমিনে আর রাজনীতি করতে পারবে না।’
    0 Reacties 0 aandelen 898 Views 0 voorbeeld
  • ক্ষমতার লোভে হারাম কে হালাল করে নেওয়া একমাত্র ইসলামী রাজনীতিক সংগঠনের নাম কি.?
    ক্ষমতার লোভে হারাম কে হালাল করে নেওয়া একমাত্র ইসলামী রাজনীতিক সংগঠনের নাম কি.?
    0 Reacties 0 aandelen 712 Views 0 voorbeeld