• বাংলাদেশে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার আগে, ভ্যাট আরোপের প্রেক্ষাপট এবং এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা দরকার।

    **ভ্যাট আরোপের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট**

    তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল জোগাড় করতে দ্রুত ভ্যাট আরোপের পথে হাঁটছে।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে কর আদায় বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে।

    নতুন ভ্যাটের ধরনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং অন্যান্য জ্বালানিতে ভ্যাট আরোপ। বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। মোবাইল সেবার মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট বৃদ্ধি।

    কর আরোপের ক্ষেত্রে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও রফতানিমুখী শিল্পকে কর ছাড় দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হয়।

    ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো
    মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি:

    ১. **ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    ২. **ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি:
    ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলি ভ্যাটের অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে অক্ষম। অনেক ব্যবসা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।

    ৩. **সামাজিক অস্থিরতা:**
    - ভ্যাট আরোপ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আন্দোলন ও প্রতিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে।
    - ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    ৪. **অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব:**
    - বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যেতে পারে।
    - ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে যায়।

    ---

    ### **সরকারের পক্ষে যুক্তি**
    ১. **রাজস্ব বৃদ্ধি:**
    - সরকারের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নে ভ্যাট বৃদ্ধি অপরিহার্য।

    ২. **অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ:**
    - ভ্যাট বৃদ্ধি করলে করের আওতা বাড়বে এবং অবৈধ ব্যবসা কমবে।

    ৩. **আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ:**
    - IMF ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে কর কাঠামো শক্তিশালী করতে হচ্ছে।

    ---

    ### **সমাধানের পথ**
    ১. **পরিকল্পিত ভ্যাট ব্যবস্থা:**
    - তাড়াহুড়া না করে পর্যায়ক্রমে ভ্যাট আরোপ করা।
    - ভোক্তাদের ওপর সরাসরি চাপ কমিয়ে প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করা।

    ২. **অবৈধ রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা:**
    - বড় করপোরেট ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর আদায় নিশ্চিত করা।
    - কালো টাকা সাদা করার নীতি কঠোরভাবে বাতিল করা।

    ৩. **নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা:**
    - নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমিয়ে রাখা।
    - সামাজিক সুরক্ষা খাত বাড়ানো।

    ৪. **কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ:**
    - ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার উপর ভ্যাটের চাপ কমিয়ে তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
    - বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।

    বর্তমান ভ্যাট আরোপের প্রক্রিয়া যদি তাড়াহুড়া করে করা হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, এবং প্রগতিশীল করনীতি গ্রহণ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

    বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

    ### ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির বিবরণ###

    - **৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:** জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এসব খাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়।

    - **শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:** সরকার সম্প্রতি দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ### ভ্যাট বৃদ্ধির পেছনের কারণ###

    - **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) শর্ত পূরণ:** IMF-এর ঋণ শর্ত পূরণে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ### ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব

    - **ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি:** হোটেল, রেস্তোরাঁ, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়িক খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    - **সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:** নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

    ### সমালোচনা ও সুপারিশ###

    - **ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া:** ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা করেছে।

    - **বেসিসের আহ্বান:** বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।

    সর্বশেষ ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
    বাংলাদেশে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার আগে, ভ্যাট আরোপের প্রেক্ষাপট এবং এর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা দরকার। **ভ্যাট আরোপের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট** তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল জোগাড় করতে দ্রুত ভ্যাট আরোপের পথে হাঁটছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সঙ্গে ঋণচুক্তির শর্ত হিসেবে কর আদায় বাড়ানোর চাপ থাকতে পারে। নতুন ভ্যাটের ধরনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং অন্যান্য জ্বালানিতে ভ্যাট আরোপ। বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। মোবাইল সেবার মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট বৃদ্ধি। কর আরোপের ক্ষেত্রে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও রফতানিমুখী শিল্পকে কর ছাড় দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হয়। ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি: ১. **ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২. **ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলি ভ্যাটের অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে অক্ষম। অনেক ব্যবসা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। ৩. **সামাজিক অস্থিরতা:** - ভ্যাট আরোপ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললে আন্দোলন ও প্রতিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে। - ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে এবং সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৪. **অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব:** - বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যেতে পারে। - ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাহিদা কমে যায়। --- ### **সরকারের পক্ষে যুক্তি** ১. **রাজস্ব বৃদ্ধি:** - সরকারের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নে ভ্যাট বৃদ্ধি অপরিহার্য। ২. **অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ:** - ভ্যাট বৃদ্ধি করলে করের আওতা বাড়বে এবং অবৈধ ব্যবসা কমবে। ৩. **আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ:** - IMF ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে কর কাঠামো শক্তিশালী করতে হচ্ছে। --- ### **সমাধানের পথ** ১. **পরিকল্পিত ভ্যাট ব্যবস্থা:** - তাড়াহুড়া না করে পর্যায়ক্রমে ভ্যাট আরোপ করা। - ভোক্তাদের ওপর সরাসরি চাপ কমিয়ে প্রগতিশীল কর কাঠামো তৈরি করা। ২. **অবৈধ রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা:** - বড় করপোরেট ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর আদায় নিশ্চিত করা। - কালো টাকা সাদা করার নীতি কঠোরভাবে বাতিল করা। ৩. **নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা:** - নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমিয়ে রাখা। - সামাজিক সুরক্ষা খাত বাড়ানো। ৪. **কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ:** - ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার উপর ভ্যাটের চাপ কমিয়ে তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। - বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। বর্তমান ভ্যাট আরোপের প্রক্রিয়া যদি তাড়াহুড়া করে করা হয়, তবে তা দেশের অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, এবং প্রগতিশীল করনীতি গ্রহণ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ### ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির বিবরণ### - **৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:** জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এসব খাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়। - **শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:** সরকার সম্প্রতি দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। ### ভ্যাট বৃদ্ধির পেছনের কারণ### - **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) শর্ত পূরণ:** IMF-এর ঋণ শর্ত পূরণে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ### ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব - **ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি:** হোটেল, রেস্তোরাঁ, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়িক খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। - **সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:** নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ### সমালোচনা ও সুপারিশ### - **ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া:** ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা করেছে। - **বেসিসের আহ্বান:** বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। সর্বশেষ ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
    0 Comments 0 Shares 1K Views 0 Reviews
  • ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
    ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
    EYENEWSBD.COM
    বছরের শুরুতেই চমক: বুবলীর নতুন পরিচয় ‘পিনিকে’! - Eye News BD
    ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী বছরের শুরুতেই তার ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন। নতুন একটি পরিচয়ে দেখা মিলেছে তার। ‘পিনিক’ শিরোনামে একটি নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।বুবলীর এই নতুন পরিচয়টি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তার নতুন কাজটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ‘পিনিক’ প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের প্রজেক্ট, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো একটি ব্র্যান্ড ব
    0 Comments 0 Shares 2K Views 0 Reviews
  • এখন পুলিশ প্রটেকশনে ওয়াজ করছেন ধর্ম উপদেষ্টা! হাহাহা...৷ একজন আমাকে পাঠাল। এটা কক্সবাজারে। সপ্তাহে দুই দিন অফিস করে আর বাকি দিনগুলোতে ওয়াজ-মাহফিল করা তার এখনকার রুটিন।
    এখন পুলিশ প্রটেকশনে ওয়াজ করছেন ধর্ম উপদেষ্টা! হাহাহা...৷ একজন আমাকে পাঠাল। এটা কক্সবাজারে। সপ্তাহে দুই দিন অফিস করে আর বাকি দিনগুলোতে ওয়াজ-মাহফিল করা তার এখনকার রুটিন।
    0 Comments 0 Shares 2K Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টার বার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
    ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন।

    ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি” প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারেই ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে যদি এর সঙ্গে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন যুক্ত হয়, তাহলে নির্বাচন আরও ছয় মাস বিলম্বিত হতে পারে।

    তিনি নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন, “প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।”

    ড. ইউনূসের মতে, নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের শেষের দিক। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের প্রধান কাজ হবে ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা।

    কোথায় সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান হবে?
    ড. ইউনূস জানান, গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন, যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

    তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এবার গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদান স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।”

    কেন এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ?
    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নতুন কমিশনের কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।

    কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া?
    ড. ইউনূস তার ভাষণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে:

    ১ঃ ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে হবে।
    ২ঃ নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
    ৩ঃ ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
    ৪ঃ প্রথমবারের ভোটারদের অভিজ্ঞতা মসৃণ ও ইতিবাচক করতে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
    ৫ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ভাষণ একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়, যেখানে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য, নতুন ভোটারদের সম্পৃক্ততা, এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তার কথায় স্পষ্ট যে, নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের একটি সুযোগ।

    ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার দেওয়া পরিকল্পনা কেবল সময়োপযোগী নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রক্রিয়ায় কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং জাতি কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে।

    বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই আশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে, আমরা কতটা সঠিক পথে এগোচ্ছি।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার: প্রধান উপদেষ্টার বার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেন। ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি” প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারেই ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে যদি এর সঙ্গে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন যুক্ত হয়, তাহলে নির্বাচন আরও ছয় মাস বিলম্বিত হতে পারে। তিনি নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন, “প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।” ড. ইউনূসের মতে, নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ২০২৫ সালের শেষের দিক। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের প্রধান কাজ হবে ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা। কোথায় সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান হবে? ড. ইউনূস জানান, গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন, যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এবার গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদান স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।” কেন এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূসের এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নতুন কমিশনের কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া? ড. ইউনূস তার ভাষণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে: ১ঃ ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে হবে। ২ঃ নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৩ঃ ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। ৪ঃ প্রথমবারের ভোটারদের অভিজ্ঞতা মসৃণ ও ইতিবাচক করতে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ৫ঃ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ভাষণ একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়, যেখানে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য, নতুন ভোটারদের সম্পৃক্ততা, এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তার কথায় স্পষ্ট যে, নির্বাচন কেবল একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের একটি সুযোগ। ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার দেওয়া পরিকল্পনা কেবল সময়োপযোগী নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রক্রিয়ায় কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং জাতি কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই আশাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে, আমরা কতটা সঠিক পথে এগোচ্ছি। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Comments 0 Shares 5K Views 0 Reviews
  • কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন: এক মহানায়কের বিদায়

    বিশ্বসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, তবলাবাদকের কিংবদন্তি ওস্তাদ জাকির হোসেন আমাদের মাঝে আর নেই। ৭৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর পরিবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নিশ্চিত করেছে এই বিষাদময় সংবাদ। হৃদরোগ এবং ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে টানা দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন।

    সংগীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি
    ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বাইয়ের মাহিম এলাকায় জন্ম নেওয়া জাকির হোসেন সংগীতের প্রতি ভালোবাসা পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তাঁর বাবা, বিশ্ববিখ্যাত তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা, তাঁকে শৈশবেই সংগীতের মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মৃদঙ্গ বাজানোর হাতেখড়ি এবং ১২ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে তবলা বাজানোর মাধ্যমে তাঁর সংগীতজীবন শুরু। তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

    আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়
    জাকির হোসেনের ছন্দময় তবলার বোল কেবল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি চারবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এবং সাতবার মনোনীত হয়েছেন। ২০২৪ সালেও তিনি তিনটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন, যা প্রমাণ করে যে তাঁর প্রতিভা কখনো ম্লান হয়নি।

    জীবনের শেষ অধ্যায়
    জাকির হোসেন কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। হৃদরোগ ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁর প্রয়াণ সংগীতজগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।

    জাকির হোসেনের কৃতিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
    ওস্তাদ জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এক আবেগঘন বার্তায় বলেন, "জাকির হোসেনজির তবলার বোল সর্বজনীন। ভাষা, সীমানা, সংস্কৃতি এবং প্রজন্ম অতিক্রম করে কথা বলে। তাঁর ছন্দের শব্দ ও কম্পন চিরকাল আমাদের হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে।"

    এক অনুপ্রেরণার নাম
    জাকির হোসেন শুধুই এক কিংবদন্তি তবলাবাদক নন, তিনি ছিলেন সংগীতপ্রেমীদের জন্য এক অমর অনুপ্রেরণা। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং ছন্দময়তার জন্য তিনি সবার মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তাঁর চলে যাওয়া সংগীত জগতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেও তাঁর ছন্দের প্রতিধ্বনি থেকে যাবে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল।

    ওস্তাদ জাকির হোসেন, সংগীত জগতের এক আলোকবর্তিকা, আমরা আপনাকে হারালেও আপনার সৃষ্টিকে চিরকাল স্মরণ করব। ওম শান্তি।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন: এক মহানায়কের বিদায় বিশ্বসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, তবলাবাদকের কিংবদন্তি ওস্তাদ জাকির হোসেন আমাদের মাঝে আর নেই। ৭৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর পরিবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নিশ্চিত করেছে এই বিষাদময় সংবাদ। হৃদরোগ এবং ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে টানা দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন। সংগীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বাইয়ের মাহিম এলাকায় জন্ম নেওয়া জাকির হোসেন সংগীতের প্রতি ভালোবাসা পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তাঁর বাবা, বিশ্ববিখ্যাত তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা, তাঁকে শৈশবেই সংগীতের মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মৃদঙ্গ বাজানোর হাতেখড়ি এবং ১২ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে তবলা বাজানোর মাধ্যমে তাঁর সংগীতজীবন শুরু। তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয় জাকির হোসেনের ছন্দময় তবলার বোল কেবল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি চারবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এবং সাতবার মনোনীত হয়েছেন। ২০২৪ সালেও তিনি তিনটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন, যা প্রমাণ করে যে তাঁর প্রতিভা কখনো ম্লান হয়নি। জীবনের শেষ অধ্যায় জাকির হোসেন কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। হৃদরোগ ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁর প্রয়াণ সংগীতজগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। জাকির হোসেনের কৃতিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ওস্তাদ জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এক আবেগঘন বার্তায় বলেন, "জাকির হোসেনজির তবলার বোল সর্বজনীন। ভাষা, সীমানা, সংস্কৃতি এবং প্রজন্ম অতিক্রম করে কথা বলে। তাঁর ছন্দের শব্দ ও কম্পন চিরকাল আমাদের হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে।" এক অনুপ্রেরণার নাম জাকির হোসেন শুধুই এক কিংবদন্তি তবলাবাদক নন, তিনি ছিলেন সংগীতপ্রেমীদের জন্য এক অমর অনুপ্রেরণা। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং ছন্দময়তার জন্য তিনি সবার মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তাঁর চলে যাওয়া সংগীত জগতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেও তাঁর ছন্দের প্রতিধ্বনি থেকে যাবে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল। ওস্তাদ জাকির হোসেন, সংগীত জগতের এক আলোকবর্তিকা, আমরা আপনাকে হারালেও আপনার সৃষ্টিকে চিরকাল স্মরণ করব। ওম শান্তি। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Comments 0 Shares 4K Views 0 Reviews
  • 2025 সালে ইউটিউবে আর্নিং: চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও সফলতার রহস্য

    2025 সালে ইউটিউব এখনও আর্নিং-এর একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলেও, প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে সফল হতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় জানা এবং কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
    ইউটিউব এ আর্নিং করতে হলে জানা দরকার:
    * ইউটিউবের নীতিমালা: ইউটিউবের কমিউনিটি নির্দেশিকা এবং মনিটাইজেশন নীতি সম্পর্কে ভালো করে জানা জরুরি। নীতি লঙ্ঘনের কারণে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে
    * কনটেন্ট ক্রিয়েশন: আপনার কনটেন্ট আকর্ষণীয়, মূল্যবান এবং দর্শকদের কাছে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। ভিডিওর মান, শব্দ গুণমান এবং এডিটিংয়ের দিকে খেয়াল রাখুন।
    * সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): আপনার ভিডিওগুলো যাতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়, তার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং ভিডিওর ডেসক্রিপশন, ট্যাগ এবং টাইটেল লিখুন।
    * সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনার ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দর্শক বাড়ান।
    * অ্যানালিটিক্স: ইউটিউব অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ভিডিওর পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।
    * ট্রেন্ড: ইউটিউবে কোন ধরনের কনটেন্ট জনপ্রিয়, সেটা বুঝতে হবে। ট্রেন্ড অনুযায়ী আপনার কনটেন্ট তৈরি করুন।
    ইউটিউব এ আর্নিং-এর চ্যালেঞ্জ:
    * প্রতিযোগিতা: ইউটিউবে প্রতিযোগিতা খুবই তীব্র। আপনাকে অন্য ক্রিয়েটরদের থেকে আলাদা হতে হবে।
    * অ্যালগোরিদম: ইউটিউবের অ্যালগোরিদম ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, যার ফলে আপনার ভিডিওর রিচ কমে যেতে পারে।
    * মনিটাইজেশন নীতি: ইউটিউবের মনিটাইজেশন নীতি কঠোর হতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
    ইউটিউব থেকে ভালো আয় করতে গেলে করণীয়:
    * নিয়মিত ভিডিও আপলোড: নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে দর্শকদের জড়িত রাখুন।
    * কমিউনিটি তৈরি: দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং একটি সক্রিয় কমিউনিটি তৈরি করুন।
    * কল্যাবোরেশন: অন্য ক্রিয়েটরদের সাথে কল্যাবোরেশন করে আপনার দর্শক বাড়ান।
    * পেইড প্রমোশন: প্রয়োজনে পেইড প্রমোশনের মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলোর দর্শক বাড়ান।
    কম্পিটিশন ও সফলতার জন্য উপযুক্ত কনটেন্ট:
    * নিকেত: আপনার নিজস্ব একটি নিকেত তৈরি করুন এবং সেই নিকেতের উপর ফোকাস করুন।
    * দর্শকদের চাহিদা: দর্শকদের কী চান, সেটা বুঝুন এবং সেই অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করুন।
    * ট্রেন্ড: ট্রেন্ডিং টপিকগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন।
    * মূল্যবান কনটেন্ট: দর্শকদের জন্য মূল্যবান এবং তথ্যপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করুন।
    * ক্রিয়েটিভিটি: আপনার কনটেন্টকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করুন।
    সারসংক্ষেপ
    ইউটিউব এ আর্নিং করতে হলে ধৈর্য, পরিশ্রম এবং ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন, দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং ট্রেন্ড অনুযায়ী আপনার কনটেন্ট আপডেট করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আপনার নিজস্ব একটি নিকেত তৈরি করুন এবং সেই নিকেতের উপর ফোকাস করুন।
    মনে রাখবেন, ইউটিউব এ সফলতা রাতারাতি আসে না।
    আপনার সফলতা কামনা করি!
    2025 সালে ইউটিউবে আর্নিং: চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও সফলতার রহস্য 2025 সালে ইউটিউব এখনও আর্নিং-এর একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলেও, প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে সফল হতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় জানা এবং কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। ইউটিউব এ আর্নিং করতে হলে জানা দরকার: * ইউটিউবের নীতিমালা: ইউটিউবের কমিউনিটি নির্দেশিকা এবং মনিটাইজেশন নীতি সম্পর্কে ভালো করে জানা জরুরি। নীতি লঙ্ঘনের কারণে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে * কনটেন্ট ক্রিয়েশন: আপনার কনটেন্ট আকর্ষণীয়, মূল্যবান এবং দর্শকদের কাছে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। ভিডিওর মান, শব্দ গুণমান এবং এডিটিংয়ের দিকে খেয়াল রাখুন। * সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): আপনার ভিডিওগুলো যাতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়, তার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং ভিডিওর ডেসক্রিপশন, ট্যাগ এবং টাইটেল লিখুন। * সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনার ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দর্শক বাড়ান। * অ্যানালিটিক্স: ইউটিউব অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ভিডিওর পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন। * ট্রেন্ড: ইউটিউবে কোন ধরনের কনটেন্ট জনপ্রিয়, সেটা বুঝতে হবে। ট্রেন্ড অনুযায়ী আপনার কনটেন্ট তৈরি করুন। ইউটিউব এ আর্নিং-এর চ্যালেঞ্জ: * প্রতিযোগিতা: ইউটিউবে প্রতিযোগিতা খুবই তীব্র। আপনাকে অন্য ক্রিয়েটরদের থেকে আলাদা হতে হবে। * অ্যালগোরিদম: ইউটিউবের অ্যালগোরিদম ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, যার ফলে আপনার ভিডিওর রিচ কমে যেতে পারে। * মনিটাইজেশন নীতি: ইউটিউবের মনিটাইজেশন নীতি কঠোর হতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য হতাশাজনক হতে পারে। ইউটিউব থেকে ভালো আয় করতে গেলে করণীয়: * নিয়মিত ভিডিও আপলোড: নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে দর্শকদের জড়িত রাখুন। * কমিউনিটি তৈরি: দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং একটি সক্রিয় কমিউনিটি তৈরি করুন। * কল্যাবোরেশন: অন্য ক্রিয়েটরদের সাথে কল্যাবোরেশন করে আপনার দর্শক বাড়ান। * পেইড প্রমোশন: প্রয়োজনে পেইড প্রমোশনের মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলোর দর্শক বাড়ান। কম্পিটিশন ও সফলতার জন্য উপযুক্ত কনটেন্ট: * নিকেত: আপনার নিজস্ব একটি নিকেত তৈরি করুন এবং সেই নিকেতের উপর ফোকাস করুন। * দর্শকদের চাহিদা: দর্শকদের কী চান, সেটা বুঝুন এবং সেই অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করুন। * ট্রেন্ড: ট্রেন্ডিং টপিকগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। * মূল্যবান কনটেন্ট: দর্শকদের জন্য মূল্যবান এবং তথ্যপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করুন। * ক্রিয়েটিভিটি: আপনার কনটেন্টকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করুন। সারসংক্ষেপ ইউটিউব এ আর্নিং করতে হলে ধৈর্য, পরিশ্রম এবং ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন, দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং ট্রেন্ড অনুযায়ী আপনার কনটেন্ট আপডেট করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আপনার নিজস্ব একটি নিকেত তৈরি করুন এবং সেই নিকেতের উপর ফোকাস করুন। মনে রাখবেন, ইউটিউব এ সফলতা রাতারাতি আসে না। আপনার সফলতা কামনা করি!
    0 Comments 0 Shares 2K Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মহাকাশবিষয়ক চেতনা ও অনুপ্রেরণা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা ঢাকায় এসেছেন।রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত প্লেপেন স্কুলে আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং স্পেস, ইন্সপায়ারিং ইয়ং মাইন্ড’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।এই সফরটিকে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এই প্রথমবারের মতো নাসার কোনো প্রধান নভোচারী বাংলা
    বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মহাকাশবিষয়ক চেতনা ও অনুপ্রেরণা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা ঢাকায় এসেছেন।রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত প্লেপেন স্কুলে আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং স্পেস, ইন্সপায়ারিং ইয়ং মাইন্ড’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।এই সফরটিকে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এই প্রথমবারের মতো নাসার কোনো প্রধান নভোচারী বাংলা
    EYENEWSBD.COM
    ঢাকায় নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা: শিশুদের মহাকাশজয়ী স্বপ্নে অনুপ্রেরণা - Eye News BD
    বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মহাকাশবিষয়ক চেতনা ও অনুপ্রেরণা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা ঢাকায় এসেছেন।রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত প্লেপেন স্কুলে আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং স্পেস, ইন্সপায়ারিং ইয়ং মাইন্ড’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।এই সফরটিকে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এই প্রথমবারের মতো নাসার কোনো প্রধান নভোচারী বাংলা
    0 Comments 0 Shares 2K Views 0 Reviews
  • দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল ঋণের জন্য দায়ী।রোববার (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী) হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি
    দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল ঋণের জন্য দায়ী।রোববার (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী) হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি
    EYENEWSBD.COM
    ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে বেক্সিমকো গ্রুপ, ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্ধেকই জনতা ব্যাংকের - Eye News BD
    দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে দেশের ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল ঋণের জন্য দায়ী।রোববার (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী) হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি
    0 Comments 0 Shares 1K Views 0 Reviews
  • পিনাকী ভট্টাচার্য: গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর ও তরুণ প্রজন্মের আইডল
    কে এই পিনাকী ভট্টাচার্য?

    পিনাকী ভট্টাচার্য, এক নামেই যাকে চেনেন লাখো তরুণ-তরুণী। বাংলাদেশ থেকে বাধ্য হয়ে ফ্রান্সে নির্বাসিত এই অকুতোভয় ব্যক্তি নিজেকে পরিচয় দেন একজন লেখক, মানবাধিকার কর্মী এবং স্বাধীন কণ্ঠস্বর হিসেবে। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের মাটিতে, হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী হলেও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ বামপন্থী। তিনি এমন এক নাম যিনি নিজের চিন্তা ও আদর্শের জন্য নিজের দেশ ছেড়ে প্রবাসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে রিফিউজি হিসেবে অবস্থান করছেন। কিন্তু সেখান থেকেই তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রামী কণ্ঠ।

    কীভাবে তিনি জনপ্রিয় হলেন?
    পিনাকী ভট্টাচার্যের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র তাঁর কথা বলার ভঙ্গি বা যুক্তি নির্ভর সমালোচনার জন্যই নয়, বরং তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা স্পষ্ট ও নির্ভীকভাবে প্রকাশ করার জন্য। তাঁর ভিডিও, আর্টিকেল এবং বক্তৃতাগুলোতে ফুটে ওঠে বর্তমান সময়ের বাংলাদেশি রাজনীতির কঠোর বিশ্লেষণ।

    তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ছাড়া কোনো জাতি এগোতে পারে না।” এই সরল ও দৃঢ় অবস্থান তাঁকে তরুণদের মাঝে এক আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর সাহসী বক্তব্য, চমৎকার রসবোধ এবং হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনা মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ মনে করে, পিনাকী ভট্টাচার্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তাদের মনের ভাষায় কথা বলেন।

    পিনাকী ভট্টাচার্যের চিন্তাধারা
    পিনাকী ভট্টাচার্য বিশ্বাস করেন, একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং বাকস্বাধীনতার উপর। তিনি বলেন, “আমরা ভালো সম্পর্ক চাই, তবে তা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে।” তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে স্পষ্ট বার্তা দেয়।

    তাঁর আরেকটি বড় গুণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনস্তত্ত্ব বোঝার ক্ষমতা। তিনি জানেন কীভাবে মানুষের অসন্তোষ ও হতাশা গুলোকে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়। পিনাকী যখন আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ, দুর্নীতি এবং ভোটাধিকারহীনতার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন, তখন তাঁর কথা অনেকের কাছে নিছক সমালোচনা নয়, বরং এটি মানুষের অন্তরের কণ্ঠস্বর।

    কেন পিনাকী ভট্টাচার্য এত গুরুত্বপূর্ণ?
    বাংলাদেশে যেখানে ফ্যাসিজম এবং বাকস্বাধীনতাহীনতার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক সময়ের দাবী। তাঁর সমালোচনা শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের সীমাবদ্ধ নয়। তিনি দেশের উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুষ্ঠু কার্যক্রম এবং সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্যে যুক্তি এবং তথ্যের এমন সমন্বয় থাকে, যা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পণ্ডিত ব্যক্তিরাও মনোযোগ দিয়ে শোনেন।

    কীভাবে পিনাকী তরুণদের আইডল হয়ে উঠলেন?
    বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। পিনাকী ভট্টাচার্য এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর ভিডিওগুলোতে তরুণ প্রজন্ম তাদের নিজেদের সমস্যার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। তাঁর স্পষ্টবাদিতা, সাহসিকতা এবং মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার তাঁকে তরুণদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

    পিনাকী ভট্টাচার্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পর্ক
    পিনাকী ভট্টাচার্যের সবচেয়ে বড় সমালোচনা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাঁর মতে, “একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।” এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তিনি শুধুমাত্র সমালোচক নন; বরং একটি সুষ্ঠু এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন।

    ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পিনাকীর বার্তা
    পিনাকী ভট্টাচার্যের বার্তা খুবই পরিষ্কার — “সংকীর্ণতা ছেড়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।” তরুণ প্রজন্মকে তিনি স্বপ্ন দেখান একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজ গড়ার। তিনি বারবার বলেন, “দেশ আমাদের, পরিবর্তন আমাদের হাতেই সম্ভব।”

    পিনাকী ভট্টাচার্য একজন মানুষ, যিনি নিজের দেশের জন্য নিজের জীবনকে বাজি ধরেছেন। তাঁর কথায় যেমন যুক্তি আছে, তেমনি আছে তীব্র আবেগ। বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি তাঁর দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য শুধু একজন সমালোচক নন; তিনি বাংলাদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাঁর মতো মানুষের প্রয়োজন প্রতিটি সময়ে, প্রতিটি সমাজে।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক
    পিনাকী ভট্টাচার্য: গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর ও তরুণ প্রজন্মের আইডল কে এই পিনাকী ভট্টাচার্য? পিনাকী ভট্টাচার্য, এক নামেই যাকে চেনেন লাখো তরুণ-তরুণী। বাংলাদেশ থেকে বাধ্য হয়ে ফ্রান্সে নির্বাসিত এই অকুতোভয় ব্যক্তি নিজেকে পরিচয় দেন একজন লেখক, মানবাধিকার কর্মী এবং স্বাধীন কণ্ঠস্বর হিসেবে। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের মাটিতে, হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী হলেও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ বামপন্থী। তিনি এমন এক নাম যিনি নিজের চিন্তা ও আদর্শের জন্য নিজের দেশ ছেড়ে প্রবাসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে রিফিউজি হিসেবে অবস্থান করছেন। কিন্তু সেখান থেকেই তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রামী কণ্ঠ। কীভাবে তিনি জনপ্রিয় হলেন? পিনাকী ভট্টাচার্যের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র তাঁর কথা বলার ভঙ্গি বা যুক্তি নির্ভর সমালোচনার জন্যই নয়, বরং তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা স্পষ্ট ও নির্ভীকভাবে প্রকাশ করার জন্য। তাঁর ভিডিও, আর্টিকেল এবং বক্তৃতাগুলোতে ফুটে ওঠে বর্তমান সময়ের বাংলাদেশি রাজনীতির কঠোর বিশ্লেষণ। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ছাড়া কোনো জাতি এগোতে পারে না।” এই সরল ও দৃঢ় অবস্থান তাঁকে তরুণদের মাঝে এক আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর সাহসী বক্তব্য, চমৎকার রসবোধ এবং হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনা মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ মনে করে, পিনাকী ভট্টাচার্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তাদের মনের ভাষায় কথা বলেন। পিনাকী ভট্টাচার্যের চিন্তাধারা পিনাকী ভট্টাচার্য বিশ্বাস করেন, একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং বাকস্বাধীনতার উপর। তিনি বলেন, “আমরা ভালো সম্পর্ক চাই, তবে তা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে।” তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে স্পষ্ট বার্তা দেয়। তাঁর আরেকটি বড় গুণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনস্তত্ত্ব বোঝার ক্ষমতা। তিনি জানেন কীভাবে মানুষের অসন্তোষ ও হতাশা গুলোকে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়। পিনাকী যখন আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ, দুর্নীতি এবং ভোটাধিকারহীনতার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন, তখন তাঁর কথা অনেকের কাছে নিছক সমালোচনা নয়, বরং এটি মানুষের অন্তরের কণ্ঠস্বর। কেন পিনাকী ভট্টাচার্য এত গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে যেখানে ফ্যাসিজম এবং বাকস্বাধীনতাহীনতার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক সময়ের দাবী। তাঁর সমালোচনা শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের সীমাবদ্ধ নয়। তিনি দেশের উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুষ্ঠু কার্যক্রম এবং সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্যে যুক্তি এবং তথ্যের এমন সমন্বয় থাকে, যা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পণ্ডিত ব্যক্তিরাও মনোযোগ দিয়ে শোনেন। কীভাবে পিনাকী তরুণদের আইডল হয়ে উঠলেন? বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। পিনাকী ভট্টাচার্য এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর ভিডিওগুলোতে তরুণ প্রজন্ম তাদের নিজেদের সমস্যার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। তাঁর স্পষ্টবাদিতা, সাহসিকতা এবং মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার তাঁকে তরুণদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পিনাকী ভট্টাচার্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পর্ক পিনাকী ভট্টাচার্যের সবচেয়ে বড় সমালোচনা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাঁর মতে, “একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।” এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তিনি শুধুমাত্র সমালোচক নন; বরং একটি সুষ্ঠু এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পিনাকীর বার্তা পিনাকী ভট্টাচার্যের বার্তা খুবই পরিষ্কার — “সংকীর্ণতা ছেড়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।” তরুণ প্রজন্মকে তিনি স্বপ্ন দেখান একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজ গড়ার। তিনি বারবার বলেন, “দেশ আমাদের, পরিবর্তন আমাদের হাতেই সম্ভব।” পিনাকী ভট্টাচার্য একজন মানুষ, যিনি নিজের দেশের জন্য নিজের জীবনকে বাজি ধরেছেন। তাঁর কথায় যেমন যুক্তি আছে, তেমনি আছে তীব্র আবেগ। বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি তাঁর দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য শুধু একজন সমালোচক নন; তিনি বাংলাদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাঁর মতো মানুষের প্রয়োজন প্রতিটি সময়ে, প্রতিটি সমাজে। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
    0 Comments 0 Shares 2K Views 0 Reviews

  • ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
    ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
    পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

    আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
    পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।




    মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি

    ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর):
    ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
    মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
    বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ইসলামাবাদে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে আজ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আলোচনাপর্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর): ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
    0 Comments 0 Shares 4K Views 0 Reviews
  • নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। নিচে তার পাঁচটি উগ্র বক্তব্য তুলে ধরা হলো:

    ১. বাংলাদেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের ঘোষণা (২০১৯)
    ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে এবং ভারতের জনগণের অধিকার দখল করছে। আমরা তাদের সনাক্ত করব এবং ভারত থেকে তাড়িয়ে দেব।"
    এই মন্তব্যে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই এটিকে ভারতের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেন।

    ২. ‘বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক’ (২০১৬)
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়ে বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তারা মমতার ভোটব্যাংক হয়ে গেছে।"
    এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার একে অসৌজন্যমূলক হিসেবে দেখে।

    ৩. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে’ মন্তব্য (২০১৫)
    ঢাকা সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন:

    "ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।"
    এই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

    ৪. বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা (২০১৪)
    ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় নরেন্দ্র মোদি বলেন:

    "বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি এবং এরা মূলত উগ্রপন্থী।"
    এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার একে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে দেখে।

    ৫. বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ মন্তব্য (২০২১)
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন:

    "বাংলাদেশে হিন্দুরা ক্রমাগত নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, আর ভারত এটা সহ্য করবে না।"
    এই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষ মোদির এই মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে মনে করে।

    নরেন্দ্র মোদির এসব উগ্র মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তার বক্তব্য প্রায়ই দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, এসব মন্তব্য ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়।

    #NarendraModi #IndiaBangladesh #ControversialStatements #SouthAsianPolitics #Diplomacy
    নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কিছু উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিপুলভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। নিচে তার পাঁচটি উগ্র বক্তব্য তুলে ধরা হলো: ১. বাংলাদেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের ঘোষণা (২০১৯) ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: "বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে এবং ভারতের জনগণের অধিকার দখল করছে। আমরা তাদের সনাক্ত করব এবং ভারত থেকে তাড়িয়ে দেব।" এই মন্তব্যে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকেই এটিকে ভারতের মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেন। ২. ‘বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক’ (২০১৬) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শরণার্থীদের নিয়ে বলেন: "বাংলাদেশ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাদের সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তারা মমতার ভোটব্যাংক হয়ে গেছে।" এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার একে অসৌজন্যমূলক হিসেবে দেখে। ৩. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে’ মন্তব্য (২০১৫) ঢাকা সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন: "ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।" এই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ৪. বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’দের ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা (২০১৪) ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় নরেন্দ্র মোদি বলেন: "বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি এবং এরা মূলত উগ্রপন্থী।" এই বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। বাংলাদেশি জনগণ এবং সরকার একে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে দেখে। ৫. বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ মন্তব্য (২০২১) ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন: "বাংলাদেশে হিন্দুরা ক্রমাগত নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, আর ভারত এটা সহ্য করবে না।" এই বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষ মোদির এই মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে মনে করে। নরেন্দ্র মোদির এসব উগ্র মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তার বক্তব্য প্রায়ই দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, এসব মন্তব্য ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়। #NarendraModi #IndiaBangladesh #ControversialStatements #SouthAsianPolitics #Diplomacy
    0 Comments 0 Shares 4K Views 0 Reviews
  • ভারত কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নাক গলায়, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়?

    ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তারা প্রায়ই দাবি করে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, যখন তাদের নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে?

    ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রায়ই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে, যা অনেক সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ, ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাদের দেশে মুসলমানরা চরম বৈষম্যের শিকার। গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লি দাঙ্গা, ধর্মীয় মব লিঞ্চিং—এসব ঘটনাগুলোই বলে দেয় ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অবস্থা কতটা শোচনীয়।

    ভারতের এই নাক গলানোর প্রবণতা নতুন নয়। এটি শুরু হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। সেই সময় ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করার জন্য তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল। এর ফলে তারা নিজেদের একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের এই নাক গলানোর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ভারতের সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয় নাগরিক সুবিধা থেকে। "সিএএ-এনআরসি" এর মতো বিতর্কিত আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাট—প্রতিটি অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নৈতিক অবস্থান নিতে চায়, যা অনেকাংশেই দ্বৈতনীতির উদাহরণ।

    ভারতের এই নাক গলানোর উদ্দেশ্য কী?
    ১. রাজনৈতিক ফায়দা তোলা:
    ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।

    ২. আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি:
    ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল।

    ৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব:
    সংখ্যালঘু ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে তারা বাংলাদেশের শাসক দলের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল।

    ভারতের দ্বৈতনীতি: কথায় এক, কাজে আরেক
    ভারতের এই নাক গলানোর আচরণ সরাসরি দ্বৈতনীতির পরিচায়ক। তারা যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে কেন তারা নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ?

    ভারতে মুসলিমদের অবস্থা দেখে স্পষ্ট যে, তারা শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। এ অবস্থায় তাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।

    বাংলাদেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত?
    বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় নীতিগত ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার রয়েছে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
    বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজের উচিত এই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেওয়া। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের দ্বৈতনীতি তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে তাদের এই আচরণের বিরোধিতা করা জরুরি।

    ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য যে দেশীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো তাদের দ্বৈতনীতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

    "যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তার অন্যের ঘরে নাক গলানো শোভা পায় না।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    লেখক ও সাংবাদিক

    #IndiaBangladeshRelations #MinorityRights #DiplomaticHypocrisy #BangladeshIndiaPolitics #HumanRightsViolations #ReligiousFreedom #SouthAsianPolitics #IndiaMuslimMinorities
    ভারত কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নাক গলায়, যখন ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়? ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তারা প্রায়ই দাবি করে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, যখন তাদের নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে? ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রায়ই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে, যা অনেক সময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ, ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, তাদের দেশে মুসলমানরা চরম বৈষম্যের শিকার। গুজরাট দাঙ্গা, দিল্লি দাঙ্গা, ধর্মীয় মব লিঞ্চিং—এসব ঘটনাগুলোই বলে দেয় ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অবস্থা কতটা শোচনীয়। ভারতের এই নাক গলানোর প্রবণতা নতুন নয়। এটি শুরু হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। সেই সময় ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করার জন্য তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল। এর ফলে তারা নিজেদের একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা দেখায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের এই নাক গলানোর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘুদের বিশেষত মুসলিমদের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয় নাগরিক সুবিধা থেকে। "সিএএ-এনআরসি" এর মতো বিতর্কিত আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাট—প্রতিটি অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। তা সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নৈতিক অবস্থান নিতে চায়, যা অনেকাংশেই দ্বৈতনীতির উদাহরণ। ভারতের এই নাক গলানোর উদ্দেশ্য কী? ১. রাজনৈতিক ফায়দা তোলা: ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। ২. আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি: ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের কৌশল। ৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব: সংখ্যালঘু ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে তারা বাংলাদেশের শাসক দলের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি অনেকটাই নির্ভরশীল। ভারতের দ্বৈতনীতি: কথায় এক, কাজে আরেক ভারতের এই নাক গলানোর আচরণ সরাসরি দ্বৈতনীতির পরিচায়ক। তারা যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে কেন তারা নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ? ভারতে মুসলিমদের অবস্থা দেখে স্পষ্ট যে, তারা শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী। এ অবস্থায় তাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত? বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় নীতিগত ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার রয়েছে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, তা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না। বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজের উচিত এই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নেওয়া। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের দ্বৈতনীতি তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে তাদের এই আচরণের বিরোধিতা করা জরুরি। ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য যে দেশীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলানো তাদের দ্বৈতনীতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিচায়ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। "যে নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তার অন্যের ঘরে নাক গলানো শোভা পায় না। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক #IndiaBangladeshRelations #MinorityRights #DiplomaticHypocrisy #BangladeshIndiaPolitics #HumanRightsViolations #ReligiousFreedom #SouthAsianPolitics #IndiaMuslimMinorities
    0 Comments 0 Shares 4K Views 0 Reviews
More Results