• ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচার দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, তা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার বন্ধ হওয়া উচিত। সত্যের জয় হোক।

    #Bangladesh #MediaLies #StopFakeNews #IndiaBangladeshRelations #PeaceAndTruth
    ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচার দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, তা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার বন্ধ হওয়া উচিত। সত্যের জয় হোক। ✊ #Bangladesh #MediaLies #StopFakeNews #IndiaBangladeshRelations #PeaceAndTruth
    Truth
    1
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • আমরা জীবন দেব কিন্তু বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়ব না
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের আইনজীবী ভাইকে হত্যার মাধ্যমে তারা একটি হত্যার হোলি খেলার ফাঁদ পেতেছিল, কিন্তু বাংলার জনগণ ধৈর্য এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তাদের মুখে চুনকালি মেরে দিয়েছে।  শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা জীবন দেব কিন্তু বাংলাদেশের এক ইঞ্চি...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
  • বিজেপি অযথা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি করছে: পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষামন্ত্রী
    বিজেপি অযথা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি করছে: পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষামন্ত্রী
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 167 Views 0 Προεπισκόπηση
  • বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে বিজেপি অযথা রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার অভিযোগ নিয়ে সরব ভারতের ক্ষমতাশীন বিজেপি সরকার। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি রাস্তায়ও নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের এই মন্ত্রী।
    বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে বিজেপি অযথা রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার অভিযোগ নিয়ে সরব ভারতের ক্ষমতাশীন বিজেপি সরকার। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি রাস্তায়ও নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের এই মন্ত্রী।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 172 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ভারতের মিডিয়াগুলো এর মধ্যে দেখেছেন? অনলাইনে আজকাল সহজেই দেশ-বিদেশের মিডিয়া দেখা যায়। প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া চাইলেই দেখা যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়া তো আপনার মোবাইলেই উঁকিঝুঁকি মারে। কাজেই না দেখে উপায় থাকে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে—এসব মিডিয়ার দিকে তাকালে বিভ্রান্ত হতে হয়, আতঙ্কিত হতে হয়। ক্ষণিকের জন্য হলেও আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে—আসলেই কি বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বিচার সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে?
    ভারতের মিডিয়াগুলো এর মধ্যে দেখেছেন? অনলাইনে আজকাল সহজেই দেশ-বিদেশের মিডিয়া দেখা যায়। প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া চাইলেই দেখা যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়া তো আপনার মোবাইলেই উঁকিঝুঁকি মারে। কাজেই না দেখে উপায় থাকে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে—এসব মিডিয়ার দিকে তাকালে বিভ্রান্ত হতে হয়, আতঙ্কিত হতে হয়। ক্ষণিকের জন্য হলেও আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে—আসলেই কি বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বিচার সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে?
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 230 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ‘আওয়ামী ভোটব্যাংক’ কিংবা ‘ভারতপন্থী তকমা’ থেকে বের হতে চান হিন্দু নেতারা
    ‘আওয়ামী ভোটব্যাংক’ কিংবা ‘ভারতপন্থী তকমা’ থেকে বের হতে চান হিন্দু নেতারা
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 248 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ পরিবার রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার বাংলার জমিনে আর রাজনীতি করতে পারবে না।’
    ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শেখ পরিবার রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার বাংলার জমিনে আর রাজনীতি করতে পারবে না।’
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 835 Views 0 Προεπισκόπηση
  • এরশাদের পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ
    হাসিনা তার নিশান পেট্রল জিপের একপাশে জাতীয় পতাকা অন্যপাশে দলীয়
    (আওয়ামী লীগ) পতাকা লাগিয়ে তার (শেখ হাসিনার) নিজ জন্মভ‚মি এবং পিত্রালয়
    টুঙ্গিপাড়ায় এলেন। পরদিন সকালবেলা গ্রামের এক জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষকরা
    তাঁদের স্কুল পরিদর্শনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি
    আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এক বিকেলে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা উক্ত স্কুল পরিদর্শনে
    যান। গ্রামের পথ, মাটির পথ। সেই পথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যাচ্ছে। মাইল
    খানেক যাওয়ার পর দেখা গেল স্কুল। একটি মাঠ তার তিন দিকে লম্বা তিনটি বড়
    টিনের ঘর। তিনটি ঘরের দু’টিই অর্ধেকের বেশি ভেঙ্গে পড়ে আছে। একটি ভালো
    আছে। এই ভালো ঘরটি বেশি দিন হয়নি তৈরি হয়েছে। আর ভাঙ্গা দু’টি ঘর
    জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে। কেউ নেই দেখার তা বোঝাই যাচ্ছে। দূর থেকে দেখা
    যাচ্ছে এবং শোনা যাচ্ছে স্কুলের মাঠে পাঁচ সাত’শ শিশু-কিশোর এবং বালক লাইন
    দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং শ্লোগান দিচ্ছে জয় শেখ হাসিনা। জয় বঙ্গবন্ধু। বলতে
    গেলে এদের কারো গায়ে জামা নেই। মাঝে মাঝে কেউ কেউ আছে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র।
    অর্থাৎ গায়ে জামা তো নেই–ই পরনের প্যান্টও নেই। সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়েই লাইনে
    দাঁড়িয়ে আছে। আর তীব্র কণ্ঠে শ্লোগান দিচ্ছে জয় শেখ হাসিনা, জয় জাতীর পিতা
    শেখ মুজিব।
    ভেঙ্গে পড়ে থাকা স্কুল ঘর। আর সেই স্কুল মাঠেই দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ সাত’শ
    বস্ত্রহীন শিশু-কিশোর আর বালকের দল। এই হচ্ছে শেখ হাসিনার ও শেখ হাসিনার
    পিতার জন্মভ‚মির চেহারা। শিক্ষালয় বিধ্বস্ত, গায়ে বস্ত্র নেই, এরা দিনে দিনে আরো
    বড় হলে অন্ন পাবে কোথায়? দেখে গা শিউরে উঠল। হঠাৎ মনে হলো, আমাদের মাঝে তো বঙ্গবন্ধু কন্যা এরশাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা
    আছেন। দেখি তিনি কী বলেন!
    মাঠের এক কোণায় একটি জীর্ণ টেবিল, একটি চেয়ার আর একটি মাইক
    লাগানো আছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী ধীরে ধীরে এই টেবিলের সামনে এলেন, কিন্তু
    চেয়ারে বসলেন না। সরাসরি মাইকে বক্তব্য শুরু করলেন। তিনি ভাঙ্গা বিধ্বস্ত
    শিক্ষালয়ের কথা বললেন না, বললেন না বালকদের বস্ত্রহীনতার কথা, বললেন না
    ভবিষ্যতের অন্ন সংস্থানের কথা। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা এসব তিনি কিছুই বললেন না।
    তিনি বললেন, এত বড় মাঠ! এত বড় মাঠের কথা শহরের ছেলেরা তো চিন্তাই
    করতে পারে না। মাঠ ভরে গাছ লাগিয়ে দেবেন। অনেক গাছ লাগাবেন।
    নেত্রীর সফর সঙ্গীদের মধ্য থেকে একজন বললেন, পেয়ারা গাছ লাগাবেন।
    ছেলেরা খেতে পারবে।
    সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেত্রী বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, পেয়ারা গাছ লাগাবেন। এই
    ছেলেরা খেতে পারবে। অতঃপর নেত্রী ফিরে এলেন তার নিজ বাড়িতে।
    সামরিক একনায়ক জেনারেল এরশাদ একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান।
    জননেত্রী শেখ হাসিনা তার (এরশাদের) রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয়
    নেত্রী। অপরদিকে গৃহবধু বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন মনোভাব নিয়ে তার
    সংগঠন বিএনপি’কে শক্ত ভীতের উপর দাঁড় করিয়ে একক আন্দোলনের চেষ্টায় রত।
    জনগণের কাছে ধীরে ধীরে বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী হিসেবে ঠাঁই
    পেতে শুরু করেছেন এবং মাঝে মাঝে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়াও আরম্ভ করেছেন।
    বেগম জিয়ার আন্দোলনের কর্মসূচীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেখ হাসিনাও কৌশলে
    কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছেন
    এরশাদের পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার নিশান পেট্রল জিপের একপাশে জাতীয় পতাকা অন্যপাশে দলীয় (আওয়ামী লীগ) পতাকা লাগিয়ে তার (শেখ হাসিনার) নিজ জন্মভ‚মি এবং পিত্রালয় টুঙ্গিপাড়ায় এলেন। পরদিন সকালবেলা গ্রামের এক জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষকরা তাঁদের স্কুল পরিদর্শনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এক বিকেলে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা উক্ত স্কুল পরিদর্শনে যান। গ্রামের পথ, মাটির পথ। সেই পথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যাচ্ছে। মাইল খানেক যাওয়ার পর দেখা গেল স্কুল। একটি মাঠ তার তিন দিকে লম্বা তিনটি বড় টিনের ঘর। তিনটি ঘরের দু’টিই অর্ধেকের বেশি ভেঙ্গে পড়ে আছে। একটি ভালো আছে। এই ভালো ঘরটি বেশি দিন হয়নি তৈরি হয়েছে। আর ভাঙ্গা দু’টি ঘর জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে। কেউ নেই দেখার তা বোঝাই যাচ্ছে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে এবং শোনা যাচ্ছে স্কুলের মাঠে পাঁচ সাত’শ শিশু-কিশোর এবং বালক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং শ্লোগান দিচ্ছে জয় শেখ হাসিনা। জয় বঙ্গবন্ধু। বলতে গেলে এদের কারো গায়ে জামা নেই। মাঝে মাঝে কেউ কেউ আছে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র। অর্থাৎ গায়ে জামা তো নেই–ই পরনের প্যান্টও নেই। সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়েই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। আর তীব্র কণ্ঠে শ্লোগান দিচ্ছে জয় শেখ হাসিনা, জয় জাতীর পিতা শেখ মুজিব। ভেঙ্গে পড়ে থাকা স্কুল ঘর। আর সেই স্কুল মাঠেই দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ সাত’শ বস্ত্রহীন শিশু-কিশোর আর বালকের দল। এই হচ্ছে শেখ হাসিনার ও শেখ হাসিনার পিতার জন্মভ‚মির চেহারা। শিক্ষালয় বিধ্বস্ত, গায়ে বস্ত্র নেই, এরা দিনে দিনে আরো বড় হলে অন্ন পাবে কোথায়? দেখে গা শিউরে উঠল। হঠাৎ মনে হলো, আমাদের মাঝে তো বঙ্গবন্ধু কন্যা এরশাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন। দেখি তিনি কী বলেন! মাঠের এক কোণায় একটি জীর্ণ টেবিল, একটি চেয়ার আর একটি মাইক লাগানো আছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী ধীরে ধীরে এই টেবিলের সামনে এলেন, কিন্তু চেয়ারে বসলেন না। সরাসরি মাইকে বক্তব্য শুরু করলেন। তিনি ভাঙ্গা বিধ্বস্ত শিক্ষালয়ের কথা বললেন না, বললেন না বালকদের বস্ত্রহীনতার কথা, বললেন না ভবিষ্যতের অন্ন সংস্থানের কথা। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা এসব তিনি কিছুই বললেন না। তিনি বললেন, এত বড় মাঠ! এত বড় মাঠের কথা শহরের ছেলেরা তো চিন্তাই করতে পারে না। মাঠ ভরে গাছ লাগিয়ে দেবেন। অনেক গাছ লাগাবেন। নেত্রীর সফর সঙ্গীদের মধ্য থেকে একজন বললেন, পেয়ারা গাছ লাগাবেন। ছেলেরা খেতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেত্রী বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, পেয়ারা গাছ লাগাবেন। এই ছেলেরা খেতে পারবে। অতঃপর নেত্রী ফিরে এলেন তার নিজ বাড়িতে। সামরিক একনায়ক জেনারেল এরশাদ একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার (এরশাদের) রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেত্রী। অপরদিকে গৃহবধু বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন মনোভাব নিয়ে তার সংগঠন বিএনপি’কে শক্ত ভীতের উপর দাঁড় করিয়ে একক আন্দোলনের চেষ্টায় রত। জনগণের কাছে ধীরে ধীরে বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী হিসেবে ঠাঁই পেতে শুরু করেছেন এবং মাঝে মাঝে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়াও আরম্ভ করেছেন। বেগম জিয়ার আন্দোলনের কর্মসূচীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেখ হাসিনাও কৌশলে কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছেন
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 227 Views 0 Προεπισκόπηση
  • শেখ হাসিনার আমলে প্রতি বছর সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা পাচার

    পতিত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ডলার ১১৯ টাকা করে হিসেব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা। শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটির তিন মাসের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

    আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

    কমিটি জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলের দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং ভয়ংকর রকমের আর্থিক কারচুপির যে চিত্র রিপোর্টে পাওয়া গেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এই যুগান্তকারী কাজের জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর এটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা উচিত এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো উচিত।

    “‍এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে অর্থনীতিকে ভঙ্গুর দশায় আমরা পেয়েছি তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। জাতি এই নথি থেকে উপকৃত হবে।”

    প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের গরীব মানুষের রক্ত পানি করা টাকা যেভাবে তারা লুণ্ঠন করেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। দুঃখের বিষয় হলো, তারা প্রকাশ্যে এই লুটপাট চালিয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ অংশই এর মোকাবিলা করার সাহস করতে পারেনি। পতিত স্বৈরাচারী শাসনামলে ভয়ের রাজত্ব এতটাই ছিল যে বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যবেক্ষণকারী বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোও এই লুণ্ঠনের ঘটনায় অনেকাংশে নীরব ছিল।

    সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করেছে বলে জানান কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

    তিনি বলেন, সমস্যাটি আমরা যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও গভীর। এই ৩০ অধ্যায়ের ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে কীভাবে চামচা পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম দিয়েছে, কীভাবে তারা নীতি প্রণয়ন নিয়ন্ত্রণ করেছে।

    কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা ২৯টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বড় প্রকল্প পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রতিটিতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। ২৯টি বড় প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৭ বিলিয়ন ডলার বা ৭,৮০,০০০ কোটি টাকা।

    পরীক্ষা করা সাতটি প্রকল্পের আনুমানিক প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১,১৪,০০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত উপাদান যোগ করে, জমির দাম বেশি দেখিয়ে এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করে প্রকল্পের ব্যয় সংশোধিত করে ১,৯৫,০০০ কোটি টাকা করা হয়।

    তিনি বলেন, ব্যয়ের সুবিধা বিশ্লেষণ না করেই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে বিচারকাজ শুরুর পরামর্শও দেন তিনি।

    কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে এবং এর ৪০ শতাংশ অর্থ আমলারা লুটপাট করেছে।

    কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, বিগত শাসনামলে কর অব্যাহতির পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা গেলে শিক্ষা বাজেট দ্বিগুণ এবং স্বাস্থ্য বাজেট তিনগুণ করা যেতে পারত বলে জানান তিনি।

    কমিটির আরেক সদস্য এম. তামিম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে, এবং ১০ শতাংশ যদি অবৈধ লেনদেন ধরা হয়, তাহলে পরিমাণ হবে কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন সাথী, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।

    প্রতিবেদনটি শিগগিরই জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
    শেখ হাসিনার আমলে প্রতি বছর সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা পাচার পতিত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ডলার ১১৯ টাকা করে হিসেব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা। শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটির তিন মাসের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। কমিটি জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলের দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং ভয়ংকর রকমের আর্থিক কারচুপির যে চিত্র রিপোর্টে পাওয়া গেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এই যুগান্তকারী কাজের জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর এটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা উচিত এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো উচিত। “‍এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে অর্থনীতিকে ভঙ্গুর দশায় আমরা পেয়েছি তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। জাতি এই নথি থেকে উপকৃত হবে।” প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের গরীব মানুষের রক্ত পানি করা টাকা যেভাবে তারা লুণ্ঠন করেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। দুঃখের বিষয় হলো, তারা প্রকাশ্যে এই লুটপাট চালিয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ অংশই এর মোকাবিলা করার সাহস করতে পারেনি। পতিত স্বৈরাচারী শাসনামলে ভয়ের রাজত্ব এতটাই ছিল যে বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যবেক্ষণকারী বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোও এই লুণ্ঠনের ঘটনায় অনেকাংশে নীরব ছিল। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করেছে বলে জানান কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সমস্যাটি আমরা যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও গভীর। এই ৩০ অধ্যায়ের ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে কীভাবে চামচা পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম দিয়েছে, কীভাবে তারা নীতি প্রণয়ন নিয়ন্ত্রণ করেছে। কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা ২৯টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বড় প্রকল্প পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রতিটিতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। ২৯টি বড় প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৭ বিলিয়ন ডলার বা ৭,৮০,০০০ কোটি টাকা। পরীক্ষা করা সাতটি প্রকল্পের আনুমানিক প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১,১৪,০০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত উপাদান যোগ করে, জমির দাম বেশি দেখিয়ে এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করে প্রকল্পের ব্যয় সংশোধিত করে ১,৯৫,০০০ কোটি টাকা করা হয়। তিনি বলেন, ব্যয়ের সুবিধা বিশ্লেষণ না করেই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে বিচারকাজ শুরুর পরামর্শও দেন তিনি। কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে এবং এর ৪০ শতাংশ অর্থ আমলারা লুটপাট করেছে। কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, বিগত শাসনামলে কর অব্যাহতির পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা গেলে শিক্ষা বাজেট দ্বিগুণ এবং স্বাস্থ্য বাজেট তিনগুণ করা যেতে পারত বলে জানান তিনি। কমিটির আরেক সদস্য এম. তামিম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে, এবং ১০ শতাংশ যদি অবৈধ লেনদেন ধরা হয়, তাহলে পরিমাণ হবে কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন সাথী, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ। প্রতিবেদনটি শিগগিরই জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 366 Views 0 Προεπισκόπηση
  • বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বহুল আলোচিত এবং বহুমাত্রিক সমস্যা। এটি দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন, এবং সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলেছে। এখানে দুর্নীতির প্রধান দিক, কারণ, প্রভাব, এবং এর প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

    দুর্নীতির সংজ্ঞা

    দুর্নীতি হলো ক্ষমতার অপব্যবহার, যা ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে বেআইনিভাবে সুবিধা অর্জনের জন্য করা হয়। এর মধ্যে ঘুষ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, এবং অনৈতিক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত।

    দুর্নীতির প্রধান ক্ষেত্রসমূহ

    ১. সরকারি প্রশাসন:
    সরকারি দপ্তরে ফাইল প্রসেসিং থেকে শুরু করে চাকরির নিয়োগ পর্যন্ত প্রায় সবক্ষেত্রে ঘুষ এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে।

    ২. পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট (সরকারি ক্রয়):
    বাংলাদেশে বড় প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতার অভাব এবং অতিরিক্ত ব্যয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অনেকে সরকারি টেন্ডার পাওয়ার জন্য ঘুষ দেন বা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেন।

    ৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী:
    অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে ঘুষ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে।

    ৪. স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত:
    সরকারি হাসপাতালে সেবা পেতে অর্থ প্রদান এবং স্কুল-কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেন একটি সাধারণ সমস্যা।

    দুর্নীতির কারণ

    ১. দুর্বল আইনি কাঠামো:
    আইন থাকলেও প্রয়োগে ব্যর্থতা দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করে।

    2. প্রশাসনিক স্বচ্ছতার অভাব:
    সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব এবং জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।

    ৩. নির্বাহী বিভাগে রাজনৈতিক প্রভাব:
    অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আঁতাত দুর্নীতির মূল কারণ।

    ৪. নিম্ন বেতন ও কর্মপরিবেশ:
    সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামো নিম্ন হওয়ায় অনেক কর্মচারী ঘুষ নেওয়ার পথ বেছে নেন।

    দুর্নীতির প্রভাব

    ১. অর্থনৈতিক ক্ষতি:
    বিশাল অঙ্কের অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

    ২. সমাজে বৈষম্য:
    দুর্নীতির ফলে সম্পদের অপ্রতুল বণ্টন হয়, যা ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ায়।

    ৩. বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তির ক্ষতি:
    দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকে পিছিয়ে পড়ে।

    ৪. সাধারণ জনগণের ভোগান্তি:
    সরকারি পরিষেবাগুলো পেতে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়।

    দুর্নীতি মোকাবিলার জন্য করণীয়

    ১. দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন:
    বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতির জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

    ২. স্বচ্ছ প্রশাসন:
    সরকারি কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

    ৩. জবাবদিহিতা বৃদ্ধি:
    সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে।

    ৪. সাধারণ মানুষের সচেতনতা:
    দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিভিল সোসাইটির ভূমিকা জোরদার করতে হবে।

    ৫. স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন:
    দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

    উপসংহার

    দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি, যা শুধুমাত্র আইন বা প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, এবং একটি শক্তিশালী বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই দুর্নীতিকে নির্মূল করা সম্ভব। যদি এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ উভয়েরই উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন

    বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বহুল আলোচিত এবং বহুমাত্রিক সমস্যা। এটি দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন, এবং সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলেছে। এখানে দুর্নীতির প্রধান দিক, কারণ, প্রভাব, এবং এর প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। দুর্নীতির সংজ্ঞা দুর্নীতি হলো ক্ষমতার অপব্যবহার, যা ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে বেআইনিভাবে সুবিধা অর্জনের জন্য করা হয়। এর মধ্যে ঘুষ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, এবং অনৈতিক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত। দুর্নীতির প্রধান ক্ষেত্রসমূহ ১. সরকারি প্রশাসন: সরকারি দপ্তরে ফাইল প্রসেসিং থেকে শুরু করে চাকরির নিয়োগ পর্যন্ত প্রায় সবক্ষেত্রে ঘুষ এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। ২. পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট (সরকারি ক্রয়): বাংলাদেশে বড় প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতার অভাব এবং অতিরিক্ত ব্যয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অনেকে সরকারি টেন্ডার পাওয়ার জন্য ঘুষ দেন বা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেন। ৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে ঘুষ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে। ৪. স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত: সরকারি হাসপাতালে সেবা পেতে অর্থ প্রদান এবং স্কুল-কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেন একটি সাধারণ সমস্যা। দুর্নীতির কারণ ১. দুর্বল আইনি কাঠামো: আইন থাকলেও প্রয়োগে ব্যর্থতা দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করে। 2. প্রশাসনিক স্বচ্ছতার অভাব: সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব এবং জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। ৩. নির্বাহী বিভাগে রাজনৈতিক প্রভাব: অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আঁতাত দুর্নীতির মূল কারণ। ৪. নিম্ন বেতন ও কর্মপরিবেশ: সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামো নিম্ন হওয়ায় অনেক কর্মচারী ঘুষ নেওয়ার পথ বেছে নেন। দুর্নীতির প্রভাব ১. অর্থনৈতিক ক্ষতি: বিশাল অঙ্কের অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ২. সমাজে বৈষম্য: দুর্নীতির ফলে সম্পদের অপ্রতুল বণ্টন হয়, যা ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ায়। ৩. বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তির ক্ষতি: দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকে পিছিয়ে পড়ে। ৪. সাধারণ জনগণের ভোগান্তি: সরকারি পরিষেবাগুলো পেতে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। দুর্নীতি মোকাবিলার জন্য করণীয় ১. দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন: বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতির জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ২. স্বচ্ছ প্রশাসন: সরকারি কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ৩. জবাবদিহিতা বৃদ্ধি: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। ৪. সাধারণ মানুষের সচেতনতা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিভিল সোসাইটির ভূমিকা জোরদার করতে হবে। ৫. স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন: দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। উপসংহার দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি, যা শুধুমাত্র আইন বা প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, এবং একটি শক্তিশালী বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই দুর্নীতিকে নির্মূল করা সম্ভব। যদি এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ উভয়েরই উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব। লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση